সারের সংকট নিরসনে কালোবাজারী বন্ধ, দুর্নীতিগ্রস্ত ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ও ন্যায্য মূল্যে কৃষকের সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ খেতমজুর ও কৃষক সংগঠন, রংপুর জেলা শাখার নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, সদস্যসচিব আহসানুল আরেফিন তিতুসহ অন্যান্য নেতারা।
স্মারকলিপি পেশের পর গণমাধ্যমকে খেতমজুর ও কৃষক সংগঠন নেতারা বলেন, রংপুরের কৃষকরা তীব্র সার সংকটে ভুগছেন। রংপুরসহ উত্তরবঙ্গ দেশের শস্যভান্ডার। এ সময় আলু, ভুট্টা, গম, সরিষা, পেঁয়াজ, রসুন, তরমুজ, শীতকালীন সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের জন্য কয়েকটি সার বিশেষভাবে প্রয়োজন। কিন্তু কৃষকরা ডিলারদের কাছে সারের জন্য গেলে তারা প্রয়োজনীয় সার দিচ্ছে না। পর্যাপ্ত সার নেই বলে ডিলাররা কৃষকদের ফিরিয়ে দিচ্ছে।
অথচ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দাম দিলেই মিলছে সার। ডিলাররা সার বিক্রি না করলেও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে অতিরিক্ত দামে সার পাওয়া যাচ্ছে। সরকার নির্ধারিত ১,০৫০ টাকার ডিএপি সার বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১,৬০০-২,০০০ টাকায়। টিএসপি সারের সংকট বেশি হওয়ায় আরও চড়া দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে সারের অভাবে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যাবস্থা গ্রহণ করছে না।
খেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের নেতারা বলেন, আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানিয়েছি। অবিলম্বে সারের সংকট নিরসন এবং কালোবাজারী বন্ধ করতে হবে, দুর্নীতিগ্রস্ত ডিলারদের লাইসেন্স বাতিল করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান ও ন্যায্য মূল্যে কৃষকের সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় রংপুরের কৃষকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন করতে সংগঠন বাধ্য হবে।
এর আগে কৃষক সংগঠনের নেতারা রংপুর জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করে।