আমনের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শীত আর কুয়াশাকে উপেক্ষা করে কেশবপুরে একদিকে চলছে বোরো আবাদের প্রস্তুতি, অন্যদিকে সেচ পাম্প দিয়ে বিলের পানি নিষ্কাশনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদী পলিতে ভরাট হওয়াসহ অপরিকল্পিত মাছের ঘেরের কারণে বিলগুলো বদ্ধ জলাশয়ে পরিণত হয়ে এ বিরূপ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। নব্বইয়ের দশক থেকে এভাবেই চলছে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কৃষকদের বোরো আবাদ।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে কেশবপুরে ১৪ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। বীজতলা তৈরি করা হয়েছে ৬০৭.৯ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে অর্জিত হয়েছে ৫৭০ হেক্টর জমি। হাইব্রিড ৪২ মেট্রিকটন, উচ্চ ফলনশীল উফশী ২১৭ মেট্রিকটন। ধান আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করতে সরকারিভাবে ৩ হাজার জনকে ২ কেজী করে হাইব্রিড বীজ ধান ও কৃষক পর্যায়ে উন্নত জাতের বীজ উৎপাদন ও প্লট প্রদর্শনীর বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। মৌসুমী বায়ুর শুরুতেই এ উপজেলায় বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু মৌসুমী বায়ুর শেষ দিকে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় উপজেলার ত্রিমোহিনী, সাগরদাঁড়ি, মজিদপুর, মঙ্গলকোট ও বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়নের আংশিকসহ সব জায়গায় বোরো আবাদে কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। অন্যদিকে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদী পলিতে ভরাট হওয়ায় পাঁজিয়া, সুফলাকাটি ও গৌরীঘোনা ইউনিয়নের অধিকাংশ বিলে এখনও অঠেই পানি। এসব এলাকায় সেচপাম্প দিয়ে চলছে বিলের পানি নিষ্কাশন। যে কারণে এসব এলাকায় বোরো আবাদ বিলম্ব হবে। জলাবদ্ধতার কারণে কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার মধ্যে অবস্থিত ২৭ বিলের সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমির আংশিক এবার বোরো আবাদ হবে বলে কৃষকরা আশাবাদী।
মজিদপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল গনি জানান, গত আমন মৌসুমে চার বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছিলাম। জুন-জুলাইয়ের ভারী বর্ষায় বেজিকড়, খদ্দেরকুড় ও বিনাকুড় বিল তলিয়ে যায়। ফলে কোনো আমন ধান ঘরে ওঠেনি। তাই আমনের ক্ষতি পোষাতে শীত আর কুয়াশাকে উপেক্ষা করেই বোরো ধান আবাদে জমি প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, তার ব্লকের শ্রীরামপুর, বায়সা, মজিদপুর, দেউলী এলাকার উঁচু জমিতে বোরো আবাদ শুরু হয়েছে। এবার সব বিলে বোরো আবাদ হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল্ল্যাহ আল মামুন বলেন, এ উপজেলার উঁচু জমিতে বোরো আবাদ চলছে। অপারদিকে, পূর্বাঞ্চলের বিলের পানি নিষ্কাশনে ৬ থেকে ৭ স্থানে সেচ কার্যক্রম চলছে। জানুয়ারির শেষের দিকে জানা যাবে কি পরিমান জমিতে ধানের আবাদ হবে। আমনের ক্ষতি পোষাতে এবার বোরো আবাদে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: নকিয়ার সঙ্গে বিপিসিএস কনসোর্টিয়াম সদস্যদের এসএলটিই চুক্তি স্বাক্ষর
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: ফুডপ্যান্ডার ‘পাউ-পাউ প্লাশি চ্যালেঞ্জ’ ক্যাম্পেইন চালু
সারাদেশ: বাঁচতে চান ইয়ানুর বেগম
সারাদেশ: তাড়াশে আঞ্চলিক সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি