সিরাজগঞ্জের চরে এবার আগাম জাতের বাদাম চাষে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। খরচ কম লাভ বেশি এ চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে কৃষকেরা। ইতিমধ্যেই আগাম জাতের বাদাম চাষাবাদ প্রায় শেষ হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে সিরাজগঞ্জে ৫ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার যমুনা চরে এ চাষাবাদ সবচেয়ে বেশি হয়েছে এ ছাড়া জেলার ফুলজোড়, করতোয়া, ইছামতি ও বড়াল নদীর চরে এ লাভজনক বাদাম চাষাবাদ করছে কৃষকরা।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারো বিশেষ করে জেলার চর এলাকায় আগাম জাতের বাদাম চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের শেষ দিক থেকে আগাম জাতের বাদাম রোপন করে এবং জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে জমি থেকে বাদাম উত্তোলন করা হয়। এছাড়া দেশি বাদাম চাষাবাদেও প্রায় একই সময় বাদাম উত্তোলন করা হয়ে থাকে। এ চাষাবাদে সার, সেচ তেমন প্রয়োগ করা হয় না। প্রতি বিঘায় গড়ে প্রায় ১২/১৩ মন বাদাম উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে চরাঞ্চলে এ বাদামের উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে। এ জেলার নাটুয়ারপাড়া, তেকানী, চরগিরিশ, খাসরাজবাড়ি, নিশ্চিন্তপুর, মনসুর নগর, শুভগাছা, মেছড়া, কাটাঙ্গা, স্থল, ওমরপুর, বেলতৈল, গোটিয়ারচর, উজানচর, এনায়েতপুরের চরে এ চাষ বেশি করেছে কৃষকেরা । সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ স্থানীয় কৃষকদের এ বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই চরাঞ্চলে আগাম জাতের বাদাম চাষে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক এ কে এম মঞ্জুরে মওলা বলেন, বাদাম চাষে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বাদাম চাষ বেশি করেছে কৃষকেরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে চরাঞ্চলে বাদাম চাষে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। অল্প দিনের মধ্যেই নতুন বাদাম বাজারে উঠবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অর্থ-বাণিজ্য: আমদানি চাপে বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে ৭৫০ কোটি ডলার
ক্যাম্পাস: ওসমান হাদীর মৃত্যুতে জবিতে দোয়া মাহফিল
অর্থ-বাণিজ্য: শওকত আজিজ আবারও বিটিএমএর সভাপতি
অর্থ-বাণিজ্য: ক্ষুদ্রঋণ ব্যাংকের লাইসেন্স কে দেবে, তা এখনো ঠিক হয়নি
অর্থ-বাণিজ্য: আইসিএমএবি বেস্ট করপোরেট অ্যাওয়ার্ড ২০২৫ প্রদান
অর্থ-বাণিজ্য: প্রথম নারী এমডি পেল ডিএসই