image
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : ছারপত্রবিহীন ইটভাটা -সংবাদ

গজারিয়ায় পরিবেশ ছাড়পত্র বিহীন চলছে ইট ভাটার কার্যক্রম

শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ)

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বড়ভাটেরচর এলাকায় ফসলি ও জনবসতিপুর্ণ এলাকায় বছরের পর বছর প্রশাসনের অনুমোদন ও পরিবেশ ছাড়পত্র বিহীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনার খবর পাওয়া গেছে মেসার্স কুতুবিয়া ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটার বিরুদ্ধে।

তথ্যের সতত্য নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানিয়েছে।

পরিবেশ ছাড় পত্র না থাকায় উল্লিখিত ইটের ভাটাটিকে গত বছর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত মোটা অংকের অর্থ জরিমানা করেছিল।

অপর দিকে ঢাকা-চট্টগ্রামের মহাসড়কের গজারিয়া অংশের ভাটেরচর বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় বাজার,হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জনবসতিপুর্ণ লোকালয় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে এএনএন নামের অপর একটি ইটভাটা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য বলছে, নির্ধারিত বায়ুমানের চেয়ে ১৩৬% দূষিত বায়ু নির্গত হয় ইটভাটার ধোঁয়া থেকে। এসব ধোঁয়া পরিবেশ দুষণের পাশাপাশি চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলছে শিশু, বৃদ্ধ ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের। মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার বড়ভাটেরচর এলাকায় কাজরী নদীর তীরে গড়ে উঠা ফসলি জমি সংলগ্ন মেসার্স কুতুবীয়া ব্রিকস ইটভাটা পরিবেশ ছাড়পত্র ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমোদনবিহীন ভাবে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ভাটায় ইট পোড়ানোর কার্যক্রম পরিচালনা করছেন বলে জানা যায়।

ইটভাটা গড়ে উঠেছে নদী তীরবর্তী ফসলি জমি ও জনবসতিপুর্ন গ্রামে, এতে শিশুসহ নানা বয়সী মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও দৈহিক বৃদ্ধিতে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব।

গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ গত বছর ৪ ডিসেম্বর উপজেলার দুটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিল গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন। চলতি ইট পোড়ানো মৌসুমেও কার্যক্রম পরিচালনা করছে মেসার্স কুতুবিয়া ব্রিকস (কেবিএম)

এদিকে, ইট পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত যানবাহনের কারণে ভাটা সংলগ্ন রাস্তায় ছোট ও মাঝারি আকারের যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে পড়ে বলে ভুক্তভোগীদের দাবী। আর ফসলি জমি ও নদী ঘেঁষে গড়ে উঠা ভাটা পরিচালনায় ব্যাহত হচ্ছে কৃষি উৎপাদনও। ইটভাটার এমন দৌরাত্ম্য ও পরিবেশ বিপর্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দুষছেন সচেতন মহল।

বড়ভাটেরচর গ্রামের একাধিক বাসিন্দা ও পথচারীরা বলেন, আম, জাম, নারকেল গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছে ফলন কমে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর এবং প্রশাসনের যারা আছেন তারা আসলে উদাসীন, যে যেভাবে পারছে লুটপাট করুক, পরিবেশের বিপর্যয় ঘটুক, মানুষ ধ্বংস হয়ে যাক, আমাদের ক্ষতি হোক এতে কারো কিছু যায় আসছে না। ভাটা পরিচালনা কর্মকতার বক্তব্য জানতে চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি