image

রনজিৎ দাসের খামারে গাছে গাছে কাঁচা-পাকা আপেল কুল

শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, দশমিনা (পটুয়াখালী)

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের উদ্যোক্তা কৃষক রনজিৎ চন্দ্র দাসের খামারে গাছে গাছে হরেক রকমের কাঁচা-পাকা আপেল কুল ঝুলছে। তার কৃষি খামারে বিষমুক্ত আপেল কূলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে উৎপাদিত আপেল কূল পাঠানো হচ্ছে। কৃষক রনজিৎ চন্দ্র দাস প্রায় ১ একর জমিতে বিভিন্ন জাতের আপেল কুলের চাষ করেছে। উপজেলা কৃষি বিভাগের স্মলহোল্ডার এগ্রিকালচারাল কম্পিটিটিভনেস প্রজেক্ট (এসএসিপি-রেইনস) এর আওতায় প্রমানিত প্রযুক্তিগত প্যাকেজ (ফল) প্রদর্শনী মাধ্যমে আপেল কুল চাষ করা হয়। তার খামারে বলসুন্দরী, আপেল কুল,কাস্মীরী কুল, নারিকেল কুলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে জমিতে উচু ঢিবি তৈরি করে কুলের চারা বপন করেন। খামারের চারদিকের কুল গাছে শুধু কুলের সমারোহ বিরাজ করছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, অত্র এলাকার মাটি কূল চাষের জন্য উপযোগী। বিগত কয়েক বছর ধরেই উপজেলায় বানিজ্যিক ভাবে কূল চাষ শুরু হয়। ফলটি লাভজনক হওয়ায় উপজেলায় কূল চাষীর সংখ্যা বেড়ে যায়। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের সড়কের পাশের আবাদি ও অনাবাদি জমি, খামারসহ পতিত জমিতে কূল চাষ করে অনেক বেকার যুবক লাভবান হচ্ছে। উন্নত জাতের আপেল কূল গাছ তেমন বড় হয় না। ছোট ছোট গাছেই প্রচুর পরিমানে কূল ধরে থাকে। গাছগুলো ছোট ছোট হওয়ায় কূলের ভারে ডাল মাটিতে নুইয়ে পড়ে যায়। গাছ ছোট হবার কারনে কূল সংগ্রহ করতে তেমন বেগ পেতে হয় না। কূল সংরক্ষন ও বাজারে বিক্রি করার জন্য উদ্যোক্তরা সর্বদা ব্যস্ত থাকছে। বর্তমানে কূলের মৌসুম চলছে। অত্র উপজেলায় আপেলকূল ও বাউকূলের ব্যাপক চাষ হয়েছে। এই দুই প্রজাতির কূল মিষ্টি হওয়ায় হাট-বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা,মাটির উর্বরতা এবং চাহিদা থাকায় অত্র উপজেলার উদ্যোক্তা কৃষকরা কৃষি খামার ছাড়াও আবাদি ও অনাবাদি জমিতে আপেল কূল চাষ করে লাভবান হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাফর আহমেদ দৈনিক সংবাদ প্রতিনিধিকে জানায়, দশমিনা উপজেলার মাটি কূল চাষের জন্য উপযোগী। চলতি মৌসুমে উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে উন্নত প্রজাতির কূল চাষের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। আবহাওয়া ভাল থাকায় কুলের ব্যাপক ফলন হয়েছে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি