খুলনায় সাংবাদিক নিহত
খুলনায় সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন (৪৫) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও এলাকাভিত্তিক পূর্বশত্রুতার জেরসহ তিন-চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তদন্তে নেমেছে।
তবে হত্যাকাণ্ডের একদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কারণ উদ্ঘাটন এবং সন্দেহভাজন কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি। শুক্রবার,(১৯ ডিসেম্বর ২০২৫) বিকেল পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (উত্তর) সুদর্শন রায় বলেন, সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঘেরের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ ও এলাকাভিত্তিক পূর্বশত্রুতার জেরসহ তিন-চারটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
আশা করছি, দ্রুত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
আড়ংঘাটা থানার ওসি শাহজাহান আহমেদ জানান, শুক্রবার (শুক্রবার) দুপুরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিহত এমদাদুল হক মিলনের লাশের ময়না তদন্ত হয়েছে।
তবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার, বিকেল ৫টা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
ওসি বলেন, নিহতের পরিবারের সদস্যরা থানায় আসলেই মামলা নেয়া হবে। অপরাধীদের ধরতে অভিযান চলছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আড়ংঘাটা থানার শলুয়া বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে থাকা অবস্থায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে ইমদাদুল হক মিলন ঘটনাস্থলে নিহত ও দেবাশীষ বিশ্বাস নামে অপর আরেকজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের দুজনের মাথায় গুলি লাগে।
নিহত ইমদাদুল হক মিলন শলুয়া গ্রামের মো. বজলুর রহমানের ছেলে। তিনি শলুয়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালাতেন। গুলিবিদ্ধ দেবাশীষ বিশ্বাস শলুয়া গ্রামের রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের ছেলে। দেবাশীষ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।