image
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) : জমির উপরিভাগের মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে -সংবাদ

কিশোরগঞ্জে চলছে টপসয়েল বিক্রর মহোৎসব, উর্বরতা হারাচ্ছে কৃষি জমি

শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না জমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) বিক্রি মহোৎসব।

পরিবেশ আইন অমান্য করে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। আবার মাটি ব্যবসায়ীরা কম দামে জমির উর্বর এই মাটি কিনে বিক্রি করছে বেশি দামে। ফলে কৃষি জমির উর্বরতা হারানোর পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়ছে পরিবেশের ভারসাম্য। ভেঙে যাচ্ছে এলাকার রাস্তা-ঘাট।

অভিযোগ রয়েছে, একদল অসাধু ব্যবসায়ী কৃষকদেরকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে এসব মাটি কিনে পাচার করছে ক্যানেল সংস্কার কাজে এবং ঘরের ভিট তৈরিসহ বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। যদিও প্রশাসন বলছে, জমির উপরিভাগের মাটি কাটা অবৈধ। যারা অবৈধভাবে মাটি কাটবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে।

জানা যায়, উপজেলার চাঁদখানা চন্ডির বাজার সদর ইউপির পাম্পের মোড় গাড়াগ্রাম দোলা পুষনা দোলাসহ ৫/৭টি স্পটে অবাধে চলছে কৃষি জমি থেকে মাটি বিক্রি। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জমিতে লেগে আছে ট্রাক-ট্রাক্টরের দীর্ঘ লাইন। ফসলি এসব জমি থেকে এক্সেভেটরের মাধ্যমে মাটি কেটে সেগুলো পরিবহন করা হচ্ছে ট্রাক্টরের মাধ্যমে। আর এসব মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে বসতভিটা, শিল্প-প্রতিষ্ঠান ও ক্যানেল সংস্কারে। মাটি ব্যবসায়ীরা প্রতি ট্রাক্টর মাটি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করে সেগুলো বিক্রি করে দিচ্ছে ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। আর এতে করে অধিক মুনাফা আদায় করে নিচ্ছে চক্রটি।

মাগুড়া ইউনিয়নের দোলাপাড়া গ্রামের কৃষক সুমন শাহ আজকের পত্রিকা কে বলেন আমাদের জমিগুলো উঁচু জমি হওয়ায় আবাদ কম হয়। এ জন্য অল্প টাকার বিনিময়ে উঁচু মাটি বিক্রি করেছি। একই ইউনিয়নের অলিয়ার রহমান বলেন বাহে হামরা মূর্খ সুরখো মানুষ না বুঝি উচা জমির মাটি বেচাচু; কায়ো কায়ো কয়চে ফলন বোলে কম হইবে। চাঁদখানা ইউনিয়নের সরঞ্জাবাড়ী গ্রামের (মাসুদ রানা) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন আমাদের এলাকার মাফিয়ারা কৃষকদের প্রলোভন দেখিয়ে মাটি নগন্য দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম জানান জমির উপরিভাগের ছয় থেকে দশ ইঞ্চিতে জৈব পদার্থ বিদ্যমান থাকে। উপরিভাগ কাটার ফলে জমির ফসল উৎপাদনের ক্ষমতা হ্রাস পায়। তাই সেগুলো কাটা অথবা বিক্রি করা যাবে না। তবুও অসাধু চক্রের ফাঁদে পড়ে সামান্য কিছু টাকার জন্য জমির উপরিভাগের মাটি কাটার অনুমতি দিচ্ছেন অনঅভিজ্ঞ কৃষকরা।কৃষি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়ে জানালে তিনি আরো বলেন, টপ সয়েল কাটা বন্ধ করা আমাদের কাজ না। অথচ ট্রাকটরের মাধ্যমে কৃষি জমির মাটি পাচার করা হচ্ছে জেলার বিভিন্ন স্থানে। এমতাবস্থায় পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক রাখতে এবং এলাকার রাস্তা ঘাট রক্ষায় প্রশাসনের আরও কঠোর নজরদারি কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিমা আঞ্জুম সোহানিয়া আমি শুনলাম এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি