image
টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ) : খাল দখল, ভরাট ও দূষণের কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে -সংবাদ

খাল দখল ও দূষণে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত, আলু রোপণে বিঘ্ন

শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, টঙ্গীবাড়ী (মুন্সীগঞ্জ)

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল-টঙ্গীবাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে খাল দখল, ভরাট ও দূষণের কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। কোথাও খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে, আবার কোথাও খালের পানি নোংরা ও দূষণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে কৃষি জমিতে পানি আটকে গিয়ে সময়মতো আলু রোপনসহ কৃষি কাজ করতে পারছেন না কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, বর্ষা মৌসুমে খালে পানি জমে থেকে যায় এবং সঠিকভাবে নিষ্কাশন না হওয়ায় জমি দীর্ঘসময় পানিবন্দি থাকে। এতে আলু, শাকসবজি ও রবিশস্য চাষ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সময়মতো রোপণ না করতে পারায় উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে এবং অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে মৌসুমি ফসল চাষ।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, খাল রক্ষায় কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেই। বছর বছর সমস্যা আরও বাড়ছে। খাল সংস্কার, দখলমুক্ত করা এবং পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার জন্য তারা দ্রুত প্রশাসনের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পৃতীশ চন্দ্র পাল বলেন, টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ৯০ শতাংশ জমিতে আলুসহ নানা ফসলের আবাদ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তবে আড়িয়ল ইউনিয়নে আবাদে অগ্রগতি তুলনামূলকভাবে কম।

তিনি আরও জানান, বিভিন্ন স্থানে খালের মুখ বন্ধ ও দখল হয়ে থাকায় পানি নিষ্কাশনে ব্যাঘাত ঘটছে, ফলে ওই এলাকায় চাষাবাদ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

জেলা ও উপজেলা সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, খাল পুনরুদ্ধার ও সংস্কারের বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে। তবে কার্যকর উদ্যোগ ও নজরদারি ছাড়া এ পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব নয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

খাল দখল ও দূষণে পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থার অবনতি শুধু পরিবেশ নয়, আলু চাষসহ কৃষিকাজেও বড় ধরনের সংকট তৈরি করেছে। কৃষকরা দ্রুত সমাধানের অপেক্ষায় দিন গুনছেন।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি