image
রায়পুর (লক্ষীপুর) : ধান মাড়াইয়ে ব্যস্ত কৃষকরা -সংবাদ

রায়পুরে ধানের বাম্পার ফলনেও হাসি নেই কৃষকের মুখে

শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, রায়পুর (লক্ষীপুর)

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় আমন ধানের বাম্পার ফলন হলেও দাম না থাকায় কৃষকের মুখে হাসি নেই। হাটবাজারে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকায়।

কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে সাড়ে ৩০ থেকে ৩০ টাকা, যা প্রতি মণে দাঁড়ায় প্রায় ১৩০০ টাকা। তাই বাজারে ধান বিক্রি করে খরচের টাকা উঠছে না কৃষকের।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রায়পুরে আমন ধান কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। এ বছর বড় দুর্যোগ না হওয়ায় আশানুরূপ ফলনও হয়েছে। উপজেলায় এ বছর ১৩ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে আরও বেশি। এসব জমি থেকে ৭০ থেকে ৮০ হাজার মেট্রিক টন ধান পাওয়া যাবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। তাদের ধারণা, চলতি মাসের কৃষকের ধান ঘরে তোলা শেষ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে চরের ৮০ এলাকায় জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। বাজারে তেমন কোনো ক্রেতা না থাকায় ধানের দাম না পাওয়ায় কৃষকদের মাথায় হাত উঠেছে। রায়পুরে পুরোদমে চলছে মাড়াই এবং নতুন ধান ঘরে তোলার কর্মযজ্ঞ। চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত চাল মজুদ থাকায় এ বছর ধানের দাম কমলেও বাজারে চাউলের দাম কমেনি।

স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, এ মৌসুমে উৎপাদন ভালো হলেও বাজারে ধানের দাম খুবই কম। সার-বীজ ও কীটনাশকের দাম অনেক বেশি ছিল। যে দামে ধান বিক্রি করছি তাতে খরচের টাকা উঠছে না। এ বছর আমন চাষে আমাদের লোকসান হবে।

রায়পুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, এ মৌসুমে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগবালাই কম থাকায় আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে। বাম্পার ফলন হলে প্রথম ধাপে বাজারে দাম কিছুটা কম থাকে । তিনি কৃষকদের এখনই হতাশ না হয়ে মৌসুম শেষে ধান বিক্রির পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যায়।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি