খেজুর গুর! একটা পরিচিত নাম। কালের বিবর্তনে একেবারে হারিয়ে না গেলেও দিন দিন কমে যাচ্ছে এর অস্তিত্ব। একদিন হয়তো খুঁজেও পাওয়া যাবেনা রাঙ্গাবালীসহ উপকুলীয় এলাকায়। গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক গাছিরা, এই পেশা ছেরে দিয়েছেন। শীতকালীন পিঠে পার্বন, ফিন্নি পায়েসের কথা এক রকম ভুলেই গেছে রাঙ্গাবালীবাসী। ধারনা করা হচ্ছে, সেদিন বেশি দুরে নয়, যেদিন উধাও হয়ে যাবে, গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য পান্তাভাত আর খেজুর গুরের প্রচলন।
দেখা হয় বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের গাছি অসিম গাজীর সাথে। তিনি এখনো এই পেশা ছেরে দেন নি। ষাটোর্ধ বয়স্ক এই গাছি জানান, অনেক বছর ধরে সে এই গাছির কাজ করেন। তবে আগের মতো সেই ব্যবসা নেই। আগে একটা গাছ থেকে যে রস পাওয়া যেত, এখন তিনটা গাছেও সে রস পাওয়া যায়না। গাছের সংখ্যা কমে গেছে, রসও অনেক কম। ভবিষ্যতে আরও কমতে পারে। তিনি আরও বলেন, গাছ কাটার সময় এলে গাছের গোড়ার মাটি শুকিয়ে, গাছ আধমরা হয়ে যায়। যে কারনে রস হয়না।
আবুল হাসেম নামের এক মুরুব্বী বলেন, আগে এই দিনে গরম তাওয়ালে রস দিয়া পান্তা ভাত খেতাম। ঘরে ঘরে পিঠা তৈরী হতো। কত ভাল লাগতো। আর এখন রস চোখেও দেখিনা। সামনের দিকে খাজুর মিঠা খেতে হলে যশোর যেতে হবে।
অর্থ-বাণিজ্য: অধিকাংশ শেয়ারে দাম বাড়লেও পতন থামেনি শেয়ারবাজারে
সারাদেশ: শিমের বেগুনি ফুলেই কৃষাণীর স্বপ্ন
সারাদেশ: মহানন্দা নেশাজাতীয় সিরাপ জব্দ