উত্তরের হিমেল হাওয়ায় ঠান্ডা জেঁকে বসেছে। পৌষের শুরুতেই উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে শীতের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। আকাশে হালকা কুয়াশা ও মেঘের কারণে সকাল থেকে সূর্য না ওঠায় হিমেল হাওয়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
সকাল ১০টা পার হওয়ার পরও দুপুর ১টার দিকে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও রোদের তেমন প্রখরতা নেই, শীতের দাপট কমেনি। এই তীব্র হিমেল বাতাসের কারণে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ, দিনমজুর এবং চরাঞ্চলের বাসিন্দারা।
গত ৪ দিন ধরে জেঁকে বসা শীতের সঙ্গে সকাল থেকে যোগ হয়েছে কুয়াশা ও টানা হিমেল বাতাস। হিমেল হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সূর্যের দেখা না যাওয়ায় বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ফলে রাস্তায় মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে। এদিকে শীতের মধ্যে জীবিকার তাগিদে অনেকে কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হলেও তাদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে। ঠান্ডার দাপটে পৌর এলাকাসহ গ্রামাঞ্চলের অনেকেই আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। পাশাপাশি হিমেল বাতাসের কারণে অন্যান্য দিনের চেয়ে রাস্তায় কমছে রিকশাসহ অন্যান্য ছোট যান সেই সাথে লোকজনের আনাগোনা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।
বিশেষ করে রিকশা, ভ্যান ও অটোরিকশা সকালে বের হলেও যাত্রীর সংখ্যাও কম। বয়স্ক অটোরিকশা চালক হামিদুর রহমান বলেন, সকালে রিকশা বের করাই কঠিন হয়ে পড়ছে। বাতাসের কারণে টেকা কষ্টকর। বেলা বাড়ার পর যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে।
সন্ধ্যার পর রাস্তায় লোকজনের সংখ্যাও কম। আরিফ হোসেন বলেন, সোমবার,(২২ ডিসেম্বর ২০২৫) থেকে সূর্য তেমন দেখা পাওয়া যায়নি। ফলে ঠান্ডা বাড়তে থাকায় ক্রেতারাও তেমন জিনিষ কিনতে আসছে না। ভ্যান চালক শরিফুল জানান, হঠাৎ করে বাতাস বেড়ে যাওয়ায় প্রচুর ঠান্ডা পরিমাণ বেড়েছে। কষ্ট হলেও নিজের জীবিকার তাগিদে সকালে ভ্যান নিয়ে বের হতে হয়। ঠান্ডা বাতাসের কারণে পণ্য নিয়ে ভ্যান চালাতে কষ্ট হয়। এদিকে, শীত নিবারণের জন্য অভিজাত মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে ছুটছেন বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ। কদর বাড়তে শুরু করেছে গরম কাপড়ের।
সারাদেশ: কলারোয়ার মেছোবাঘ আটক
সারাদেশ: ঐতিহ্যসমৃদ্ধ এক জনপদ ভাটপাড়া গ্রাম
সারাদেশ: গ্রামীণ সড়কের দুই পাশে নেই সেই দৃশ্য