image
রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) : তীব্র শীতে কাহিল মানুষ -সংবাদ

হাড় কাঁপানো শীতে মানুষের জীবন বিপর্যস্ত

সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম)

গত ২ দিনে বয়ে যাওয়া উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার তীব্র শীতের দাপটে কাহিল করেছে কুড়িগ্রামের হত দরিদ্রতম উপজেলা চর রাজিবপুর বাসীরা। এদিকে ২ দিনসুর্যের তেমন দেখানা মেলায় শীতের তীব্রতা বেড়েই চলছে।

শীতে কাহিল চর বাসীর নিকট সরকারি কিংবা বেসরকারীভাবে কোন শীতবস্ত্র পৌছেনি। ফলে শীতে কাতরাচ্ছে চর ও দ্বীপচরের দু:স্থ ও সাধারন মানুষ।

নদী তীরবর্তি মানুষগুলোর অবস্থা আরও দুরাবস্থা। হাতে টাকা পয়সা না থাকায় অনেকে গরম কাপড় কিনতে পারছেন । ফলে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। অত্যন্ত ঠান্ডায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো পড়েছে চরম বিপাকে।

মানুষের পাশাপাশি গবাদী পশুগুলো তীব্র শীতে কাহিল হয়ে পড়েছে। গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে শীত জনিত রোগ। হাসপাতাল গুলোতে ভিড় জমাচ্ছে শীত জনিত রোগী। ঘনকুয়াশার কারণে ঢাকাগামী বাস ও নদী পথে স্যালো চালিত নৌকা গন্তব্য পৌছঁতে দেরি হচ্ছে। প্রায়দিনই সন্দ্যায় ছেড়ে আসা নৌকাগুলোর যাত্রীদেও রাতে নৌকাতেই রাত্রী যাপন করতে হ”্ছে বলে শোনা গেছে।

মোহনগঞ্জ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন জানান, বড়চর , কীর্তনতারী, ভেলামারী , চরনেওয়াজি, মাষ্টারপাড়া , সন্ন্যাসীকান্দি ও দিয়ারার চর নদী তীরবর্তি মানুষের কাহিল অবস্থা ।

কোদালকাটি ইউনিয়নের বাসিন্দা আমিনুর রহমান মাস্টার জানান, নদী বিচ্ছন্নতার ইউনিয়ন বাসীর অবস্থা কাহিল করে ফেলেছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাকে শীতার্তদেও মাঝে এগিয়ে আসার আহবান করেছেন।

রাজিবপুর সদও ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিরন মো. ইলিয়াস জানান, তার এলাকায় জেলে সম্প্রদায়, বেশকয়েকটি গুচ্ছগ্রাম শীতার্থ মানুষের মাঝে জিও, এনজিও ও বৃত্তবানদেও পাশে দাড়ানোর আহবান করেছেন। চর রাজিবপুর প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, সরকারিভাবে ১৪শত শীত বস্ত্র হাতে পেয়েছেন। ২/১ দিনের মধ্যে বিতরন করা হবে। তবে সরকারের পাশা পাশি বে সরকারী সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন তিনি।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি