image
সাঘাটা (গাইবান্ধা): মিষ্টি আলুর ফলন ভাল হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি -সংবাদ

সাঘাটায় মিষ্টি আলুর বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, সাঘাটা (গাইবান্ধা)

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম কচুয়া ও রামনগর মৌজা জুড়ে মিষ্টি আলু চাষ বদলে দিয়েছে এলাকার গ্রামীণ অর্থনীতির চিত্র। এক সময় যে জমিগুলো অনাবাদী ছিলো, ধান লাগালেও ফলন হতো অত্যান্ত কম। উৎপাদন খরচ তুলতেই কৃষকদের হিমশিম খেতে হতো। সেই জমিগুলোতেই বর্তমানে মিষ্টি আলুর চাষ করে কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে।

স্থানীয় কৃষকদের ভাষ্য মতে, পাঁচ বছর আগেও এই এলাকায় মিষ্টি আলু চাষ ছিল খুবই সীমিত। তখন কৃষকরা প্রধানত ধান চাষের উপর নির্ভরশীল ছিলেন। কিন্তু জমির প্রকৃতি ধান চাষের জন্য তেমন উপযোগী না হওয়ায় ফলন হতো কম। অনেক জমি থাকতো পরিত্যক্ত। উৎপাদন খরচের তুলনায় ফলন ভালো না হওয়ায় কৃষকরা পড়তেন হতাশায়। পরিস্থিতির পরিবর্তন আসে মিষ্টি আলু চাষের বিস্তারের মধ্যদিয়ে। বর্তমানে এই দুই মৌজায় প্রায় ২শ১৬ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের হাইব্রিড মিষ্টি আলুর চাষ হচ্ছে। কৃষকরা জানান, প্রতি শতকে গড়ে আড়াই থেকে তিন মণ আলু উৎপাদন হচ্ছে। বাজারে প্রতিমণ আলু ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৪শ’ টাকা দরে বিক্রি হওয়ায় লাভের অঙ্ক উল্লেখ যোগ্যভাবে বেড়েছে। ফলে কৃষকের আস্থার জায়গা পূরণ করছে মিষ্টি আলু। মিষ্টি আলু চাষের বড় সুবিধা হলো, অল্প সময়ে ফলন ঘরে তোলা যায়। অন্য ফসলের তুলনায় অল্প সময় ও উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় অল্প পুঁজিতে বেশি লাভ পাওয়া সম্ভব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জমি থেকেই আলু বিক্রি করা যায়। পাইকাররা সরাসরি ক্ষেত থেকে আলু সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চারিদিকে সবুজের সমারোহ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আসাদুজ্জামান বলেন, মিষ্টি আলু কন্দাল জাতীয় ফসল, বৈরি আবহাওয়াতেও ক্ষেতের তেমন ক্ষতি করতে পারে না। তাছাড়া অল্পদিনের ফসল হওয়ায় উৎপাদন খরচ কম, লাভ তুলনামূলক বেশি। একারণে মিষ্টি আলু চাষে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে। তিনি আরো জানান, কচুয়া ইউনিয়নের মাটি ও আবহাওয়া মিষ্টি আলু চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। কৃষকদের উন্নতজাতের বীজ, সঠিক সার ব্যবহার ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পর্কে নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। মিষ্টি আলু চাষ গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে।

সম্প্রতি