শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ছাত্রদল ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় হাতবোমা বিস্ফোরণে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার চৌরঙ্গ মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ইসাহাক সরদার (৩৪), নাঈম ইসলাম (২৬), নিরব (১৯), আরমান দরর্জি (২৫) এবং মোহাম্মদ আলী (৩২)। নাঈমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি চারজন শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত সবাই ছাত্রদলকর্মী বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শরীফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিকেলে এক মিছিল বের করে এনসিপি নেতাকর্মীরা। মিছিলটি চৌরঙ্গী এলাকায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলকে সাইড দেওয়া নিয়ে ছাত্রদলের এক কর্মীর সঙ্গে এনসিপি কর্মীদের বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের সময় হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, একজনের গায়ে মোটরসাইকেল লাগাকে কেন্দ্র করে প্রথমে হাতাহাতি হয়, যা পরে দলীয় সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় একটি পক্ষ হাতবোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।
ছাত্রদলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, এনসিপির নেতাকর্মীরা তাদের এক কর্মীকে মারধর করেছেন এবং পরে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। অপরদিকে, এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ছাত্রদলের এক কর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের মিছিলে ঢুকে পড়ে এবং এনসিপির একজনের ওপর হামলা চালায়। পরে ছাত্রদলের সদস্যসচিব ও তার লোকজন দেশি অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে বলে এনসিপি নেতা জানান।
ঘটনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও সরাসরি হস্তক্ষেপ করেনি। প্রায় ৪০ মিনিট পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। সংঘর্ষ থামলেও এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সারাদেশ: খুলনায় এনসিপি নেতা গুলিবিদ্ধ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: ‘সিইও অব দ্য ইয়ার’ সম্মাননা অর্জন করলো বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী