পলাশে এমরান ওরফে নয়ন বাবু (৩৫) নামে পাওয়ারলুম কারখানার এক নৈশপ্রহরীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় পলাশ উপজেলার ডাংগা ইউনিয়নের কেন্দুয়াব গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এমরান ওই গ্রামের আমির ইসলামের ছেলে। সে পেশায় পাওয়ারলুম কারখানার নিরাপত্তা কর্মী ছিলেন।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, মঙ্গলবার, (২৩ ডিসেম্বর ২০২৫) রাতে বাড়ির পাশে মোস্তফার পাওয়ারলুম কারখানার নাইড গার্ডের ডিউটি করতে যায় এমরান ওরফে নয়ন বাবু। পরে রাত ৩ টার দিকে পাওয়ারলুমের ভিতর থেকে প্রস্রাব করতে বাহিরে বের হয় তিনি। কিন্তু তারপর সে আর ভিতরে প্রবেশ করেনি। আজ ভোর পাঁচটার দিকে সিফাত নামে আরও এক শ্রমিক পাওয়ারলুমের বাহিরে বের হয়। এসময় তিনি এমরান ওরফে নয়ন বাবুকে পাওয়ারলুমের বাহিরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে তার পরিবার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। পরে ঢাকা নেওয়ার পথে এমরান ওরফে নয়ন বাবু মারা যায়।
নিহতের স্ত্রী জ্যোৎস্না বেগম বলেন, কামাল নামে তার স্বামীর এক বন্ধু এ হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারে। কিছুদিন আগেও কামাল রাত ১২টার সময় এসে আমার স্বামীকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। আজ দুপুরে কামালের বিদেশে চলে যাওয়ার কথা। কামাল আরও মানুষদের নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। আমি আমার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চাই।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ আল মামুন জানান, নিহত এমরান ওরফে নয়ন বাবু পাওয়ারলুম কারখানার নাইড গার্ডের চাকরি করতেন। রাতে প্রস্রাব করতে পাওয়ারলুমের বাহিরে আসার পর কে বা কারা মাথার পিছনে আঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ফেলে রাখে। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে এমরানের মৃত্যু হয়। নিহতের মাথায় কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: টানা দ্বিতীয়বার দেশের নাম্বার ওয়ান মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেল শাওমি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: বাংলাদেশে ক্রিয়েটর ডে আয়োজন করল টিকটক
সারাদেশ: রাণীনগরে চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার