লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় দিন-রাতে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে। অর্থের বিনিময়ে অথবা হুমকি দিয়ে জমির মালিকদের কাছে থেকে এসব মাটি নিচ্ছে একটি চক্র। গভীর করে মাটি কাটায় ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ছে পাশের ফসলি জমিও। মাটি পরবিহণে শতাধকি ট্রাক দিন-রাত চলাচলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গ্রামীণ সড়কগুলোও। প্রশাসনে অভিযানে মাটি কাটা সাময়কি বন্ধ হলেও, সুযোগ বুঝে আবারও প্রভাবশালীদরে ছত্রছায়ায় শুরু হয় মাটি কাটা।
স্থানীয় জানান, দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি চক্র উপজেলার চরাঞ্চলে উত্তর চরবংশী, দক্ষিন চরবংশী ও চরআবাবিল ইউনিয়নের অবৈধভাবে মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে। এসব ইউনিয়নের মূল সড়ক থেকে অন্তত দেড় কিলোমিটার ভেতরের জমিগুলো থেকে খননযন্ত্র দিয়ে মাটি কেটে ট্রাকে এক এক করে এসব মাটি নিয়ে সড়কপথ ইটভাটাগুলোতে। এতে ওই সব সড়কে সামান্য বাতাসে বা যানবাহন গেলেই ধুলাবালু উড়ে সড়ক অন্ধকার হয়ে যায়। এতে সড়কপথে যাতায়াতকারী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, যাঁরা মাটি কাটা, ড্রাম্প ট্রাক ও ইটভাটায় মাটি সরবরাহের ব্যবসা করেন, তাঁদের সবাই অনেক প্রভাবশালী। তাঁদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। প্রতিবাদ করলেই মার খেতে হয়। প্রশাসন মাঝে মধ্যে গাড়ী চালকসহ ভাটার জরিমানা করলেও মূল প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া মাটি বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান কাউছার বলেন, চরাঞ্চলে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রির বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার সাথে সাথে মোবাইল কোর্টে মাধ্যমে অভিযান করে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ৮টি ড্রাম্প ট্রাক জব্দ করে কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: টানা দ্বিতীয়বার দেশের নাম্বার ওয়ান মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেল শাওমি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: বাংলাদেশে ক্রিয়েটর ডে আয়োজন করল টিকটক
সারাদেশ: রাণীনগরে চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার