image
ছবি: সংগৃহীত

সরিষাবাড়ীতে হাজার হাজার একর ভূমি রেকর্ড সংক্রান্ত জটিলতা

মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, সরিষাবাড়ী (জামালপুর)

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে হাজার হাজার একর জমি সর্বশেষ ১৯৮২ সালে ভূমি জরিপের অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় জমির মালিকানা হস্তান্তর, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ ও নামজারি ও ভূমির মালিকানা নিয়ে ব্যাপক সমস্যা, জটিলতা ও বিতণ্ডা দেখা দিয়েছে।

উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে রয়েছে ১ নং সাতপোয়া ইউনিয়ন ২ নং পোগলদিঘা ৪ নং আওনা ৫ নং পিংনা ইউনিয়ন ও ৭ নং কামরাবাদ ইউনিয়ন। এই ৫ ইউনিয়নের পশ্চিম এলাকা যমুনা নদী বেষ্টিত চর অঞ্চল। ১৯৮২ সালে সর্বশেষ ভূমি জরিপের সময় এই এলাকার অধিকাংশ মৌজার জমি নতুন চর দেখা দেয়। কিন্তু অধিকাংশ ভূমি পানিতে নিমজ্জিত থাকায় ভূমি জরীপ বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সরজমিনে যেতে না পারায় ঘর বসে জরীপের কাজ সম্পন্ন করেন। এক্ষেত্রে জরীপ কাজে একজনের ভূমি অন্য মালিকের নামে বা ৮/১০ জন মালিকের ভূমি একজন মালিকের নামে রেকর্ড করা হয়। কোন কোন ভূমি জরিপ থেকে বাদ পরে যায়।বর্তমানে ৫টি ইউনিয়নের ১০/১৫ টি মৌজার হাজার হাজার একর জমি চর জেগে উঠে ফসলের ভান্ডার হিসেবে অত্যন্ত গুরূত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

কিন্তু অধিকাংশ ভূমি ভুল মালিকের নামে রেকর্ড হওয়ায় জমির মালিকানা, ভূমি হস্তান্তর ও ভূমি উন্নয়ন কর, নামজারি করা যাচ্ছে না। ফলে একদিকে যেমন দিন দিন রেকর্ড সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিচ্ছে, তেমনি ভূমি উন্নয়ন কর থেকে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। এবিষয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক মো. ইউসুপ আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ভূমি জরিপ সংক্রান্ত বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জরূরী ভিত্তিতে নতুন করে ভূমি জরিপ সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য জামালপুর জেলা প্রশাসক ও ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর বিভাগের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি এলাকাবাসীর একান্ত কাম্য।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি