বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় অস্ত্রের মুখে অপহরণের শিকার লোটো শোরুমের স্বত্বাধিকারী পিন্টু আকন্দকে হত্যা করা হয়েছে। অপহরণের কয়েক ঘণ্টা পর গতকাল সোমবার রাত ৩টার দিকে আদমদীঘী উপজেলার কুমাড়পাড়া এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার রহমান জানান। নিহত ৩৫ বছর বয়সী পিন্টু আকন্দ নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার বাসিন্দা।
পুলিশ বলছে, গতকাল সোমবার রাত ৯টা ৮ মিনিটের দিকে দুপচাঁচিয়া উপজেলার লোটো শোরুমের সামনে একটি সাদা রঙের হায়েস মাইক্রোবাস এসে থামে। গাড়ি থেকে মুখ ঢাকা চার জন নেমে আসে। তাদের একজন আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে শোরুমের ভেতরে ঢুকে ব্যবসায়ী পিন্টুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টেনে-হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনেন। পরে বাইরে অপেক্ষায় থাকা সহযোগীদের সহায়তায় পিন্টুকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়ক ধরে আদমদীঘী উপজেলার দিকে চলে যায় তারা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতোয়ার বলেন, ‘ঘটনার সময়কার একটি সিসিটিভি ফুটেজ হাতে এসেছে। এতে অপহরণের পুরো দৃশ্য দেখা গেছে। ‘ফুটেজে দেখা যায়, দুর্বৃত্তদের সবার মুখ ঢাকা ছিল এবং তারা দ্রুত ঘটনাটি সংঘটিত করে পালিয়ে যায়।’ এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।‘বাকিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তবে হত্যার মূল কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’ নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।