image

ভূমিকম্প: স্বপ্নের বাড়ি, সম্পদ সবই আছে, নেই শুধু তারা !

বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক,বশিকপুর থেকে ফিরে,

ভূমিকম্পে পুরান ঢাকার কসাইটুলিতে নিহত পিতা পুত্রের মৃত্যুর এক মাস পরও তাদের লক্ষীপুর সদরের বশিকপুর গ্রামের বাড়িতে এখনো চলছে শোকের মাতম। বাড়ির সামনে পিতা পুত্রের কবর। ব্যবসার টাকা তৈরী করা স্বপ্নের বাড়ি ও সম্পদ সবই রয়ে গেছে। দেখার কেউ নেই। বোন ঝর্ণা বেগম বাড়িতে থেকে ভাইয়ের স্মৃতি ধরে রাখছেন। তবে বন্ধ হয়ে গেছে ঢাকার কাপড়ের ব্যবসাও।

সম্প্রতি ওই ব্যবসায়ীর গ্রামের বাড়িতে খোঁজ নিতে গিয়ে জানা গেছে, বাড়িটি খালি । বাড়িটির গেট লাগানো অবস্থায় পড়ে আছে। গেটের কড়া নাড়াতে ভিতর থেকে একজন বেরিয়ে এসে জানায়, ভাই মারা যাওয়ার পর বাড়িটি এখন খালি পড়ে আছে। তাই বোন এসে বাড়িতে থাকেন। থাকার আর কেউ নেই।

সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর নিহত ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমের বোন ঝর্ণা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানায়,ভাই ও ভাতিজা মারা যাওয়ার পর এখন বাড়িতে কেউ নেই। বাড়িটি খালি। এ জন্য বোন বাড়িতে থাকেন। কয়েক বছর আগে গ্রামের বাড়িতে থাকার জন্য আব্দুর রহিম প্রধান সড়কের পাশ্বে নতুন করে ভবন তৈরী করেন। ঢাকায় সদরঘাটে কাপড়ের ব্যবসা করত।

ব্যবসার অনেক টাকা বকেয়া ছিল। কার কাছে টাকা পাবে অনেক কিছুর হিসাব নেই। বাড়িও খালি। দেখার কেউ নেই। এখন আছে শুধু স্মৃতি। ভাইয়ের স্মৃতি নিয়ে বাড়িতে থেকে দিন কাটছেন।

স্থানীয়রা জানায়,ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমে পরিবার এক সময় গ্রামে সুপারির ব্যবসা করত। এখন ঢাকা এসে কাপড়সহ অন্যান্য ব্যবসা শুরু করেন। গত ২১ নভেম্বর শুক্রবার সকালের ভূমিকম্পের সময় তারা মাংস কিনতে গিয়ে তারা মারা যান।

বুধবার, (২৪ ডিসেম্বর ২০২৫) রাতে নিহত ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমের ভাই ফিরোজ আলম বলেন,ভূমিকম্পে ভাই ও ভাতিজার মৃত্যুর পর তাদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেছে। পাওয়া টাকা আদায় করতে একজনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

একজন সরকারি কর্মকর্তা বাড়িতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার আশ্বাস দিলেও দিয়েছেন ২৫ হাজার টাকা। এরপর আর কেউ খোজ খবর নেয়নি। বুধবার, এক মাস পূর্ণ হয়েছে। গ্রামের বাড়িতে পরিবারের কেউ নেই। ঢাকায় স্ত্রী ও কন্যা থাকেন। তারা এখনো শোকাহত,কথা বলতে চায় না বলে তিনি জানায়।

উল্লেখ্য গত ২১ নভেম্বর শুক্রবার সকালে সুরটোলার বাসা থেকে পিতাপুত্র মাংস কিনতে কসাইটুলি এলাকায় যান। হঠাৎ ভূমিকম্পে দেয়ালের কার্ণিশ থেকে ইট ও পলেস্তার ভেড়ে তাদের উপর পড়ে তারা আহত হন। তাৎক্ষণিক ভাবে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকব আব্দুর রহিম ও তার ছেলে মেহেরাব হোসেন রিমনকে মৃত ঘোষনা করেন।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি