উত্তরের হিমেল বাতাস ও ঘন কুয়াশার কারণে রংপুরের পীরগাছায় জেঁকে বসেছে হাড়কাঁপানো শীত। গত কয়েকদিন ধরে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলছে। ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের তীব্রতা আরো বেড়েছে। এতে কাবু হয়ে পড়েছে ছিন্নমূল ও নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। উপজেলার অধিকাংশ হতদরিদ্র মানুষের শীত নিবারণের গরম কাপড় নেই। এ পরিস্থিতিতে দুস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য সরকারিভাবে ১ হাজার ৮০০টি কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব কম্বল চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল হলেও এখনও বিতরণ করা হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন থেকে দুপুরের পর সূর্যের মূখ দেখা গেলেও গতকাল বুধবার দিনভর দেখা মেলেনি। এতে শীত বস্ত্রের অভাবে কাহিল হয়ে পড়েছে দুস্থ ও অসহায় মানুষ। বিশেষ করে তিস্তা নদী বেষ্ঠিত উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের দুস্থ ও অসহায় মানুষগুলো শীত বস্ত্রের অভাবে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
ছাওলা ইউনিয়নের শিবদেব চরের কৃষক মশিয়ার রহমান বলেন, দুইদিন থাকি খুব জার (ঠান্ডা)। সকালে কামের (কাজের) জন্য বাইর হওয়া যায় না। জারত হাত-পা হিয়াল (বরফ) হয়ে আসে। ছাওলা ইউনিয়নের গাবুড়া গ্রামের সাজু, নুরুল, সামাদ ও আব্দুল গনি আক্ষেপ করে বলেন, আমরা হতদরিদ্র হলেও আমাদের কপালে কোন কিছু জোটে না। কেউ আমাদের দিকে দেখে না।
তাম্বুলপুর ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রশিদ মুকুল বলেন, দরিদ্র শীতার্ত মানুষের জন্য এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোন শীতবস্ত্র পাওয়া যায়নি। বেসরকারিভাবেও এখন পর্যন্ত কেউ শীতবস্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসেনি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলতাফ হোসেন বলেন, সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া ১৮০০ কম্বল সব ইউনিয়নে বিতরণ করা হবে।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাশীষ বসাক বলেন, কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। দ্রুত শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।