সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয় পরিচালিত ইউনিয়ন ভিত্তিক কিশোর কিশোরী ক্লাব প্রকল্পের ২২ জন প্রশিক্ষক ৬ মাস ভাতার টাকা পায়না। প্রশিক্ষার্থী কিশোর কিশোরীদের বরাদ্দের নাস্তা দেওয়া হয় না। ফলে প্রকল্পটি বন্ধের উপক্রম হয়েছে।
কুষ্টিয়ার খোকসার পৌরসভা ও ৯ ইউনিয়নে সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ের অর্থায়নে ২০১৯ সালে থেকে কিশোর কিশোরী ক্লাব নামের সহশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ১০টি প্রশিক্ষন কেন্দ্র চালু রয়েছে। কবিতা আবৃত্তি, গান, মার্শাল আট ও জেন্ডার বিষয়ে কিশোর কিশোরীদের প্রতিভা বিকাশে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে প্রকল্পটি। এক বছর মেয়াদি প্রকল্পে প্রতিটি ইউনিয়নের ৩০ জন কিশোর কিশোরকে সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার দুই দিন প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে পালন করছিলো।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে পর এ প্রকল্পে সরকারী অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। নতুন অর্থ বরাদ্দ না আসার ফলে জুলাই মাস থেকে কিশোর-কিশোর ক্লাব প্রকল্পটি দুই জন জেন্ডার প্রমোটার সহ ২২ জন প্রশিক্ষকের ভাতা টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিশোর কিশোরীদের সপ্তাহের দুটি প্রশিক্ষন ক্লাসের নাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। জন প্রতি নাস্তার জন্য বরাদ্দ ছিলো ৩০ টাকা। তার পরেও খুরিয়ে খুরিয়ে চলছিলো প্রকল্পটি। দিনদিন প্রতিটি কেন্দ্রে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
সম্প্রতি ওসমানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কানে ভেসে এলো সমবেত কন্ঠে লোকগীতি“ দে দে পাল তুলে দে, মাঝি হেলা করিস না”। উকি দিয়ে দেখা গেলো একটি শ্রেণি কক্ষের ভিতরে ১০/১২ জন কিশোর কিশোর সেখান হারমনিয়মের সাথে গানটি ঠিক করছে। এতজন প্রশিক্ষকও আছেন।
এই ক্লাবেই সদস্য সাবেকুর নাহার এ্যানি। অষ্টম শ্রেনির ছাত্রী। নিজে হারমনিয়াম বাজিয়ে গান গাইতে পারে না। তবে প্রশিক্ষকের সহযোগীতায় গেয়ে শোনালেন অন্য একটি দেশ গান। মেয়েটির বেশ সুরেলা কন্ঠ। ভালো গায়কী।
প্রশিক্ষক মামুনূর রশিদ জানালের তাদের দুর অবস্থার কথা। সপ্তাহে প্রতিটি ক্লাসের জন্য তাকে ৫শ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। তাও আবার জুলাই মাসের পর আর দেওয়া হয়নি। একই সময় থেকে কিশোর কিশোরীদের নাস্তাও বন্ধ রয়েছে। এক সময় তাদের ভাতা হয়তো পরিশোধ করা হবে। কিন্তু এই ক্লাসে ৩০ জন কিশোর কিশোরী আছে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। তাদের সেশন শেষ হয়ে যাবে। তাদের নাস্তার টাকার কি হবে।
প্রশিক্ষক রেজওয়ান আলী খান ও কবি বিশ্বাস জানান, প্রকল্পটির মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে কিশোর কিশোরীরা সহ শিক্ষা হিসেবে গান, কবিতা, মার্শল আট ও জেন্ডার সম্পর্কে জনতে পারছিলো। কিন্তু প্রকল্পটি বন্ধ করে দেওয়া হলে গ্রামের খেটে খাওয়া শ্রেণির মানুষের সন্তানরা এক ধাপ পিছিয়ে যাবে। তারা প্রকল্পটি চালু রাখুর জন্য আহবান জানান। উপজেলা মহিলা বিষয়োক কর্মকর্তা রুবি আক্তার জানান, সামাজি প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও কিশোর কিশোরী ক্লাব প্রকল্প গ্রামের ছেলে মেয়েদের জন্য সময় উপযোগী প্রকল্প। প্রকল্পটি বন্ধ হয়নি। চলতি বছরের মে মাসের পর আর অর্থ বরাদ্দ না আসায় প্রশিক্ষকদের সন্মানী ও কিশোর কিশোরীদের নাস্তা বন্ধ রয়েছে। আগামীতে বরাদ্দ আসবে বলে তিনি শুনেছেন।
অর্থ-বাণিজ্য: অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত কাগজশিল্প
অর্থ-বাণিজ্য: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি অনেক বেড়েছে
অর্থ-বাণিজ্য: ইজিসিবির শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা
অর্থ-বাণিজ্য: ডিসেম্বরের ২৩ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহ ১৩.৪ শতাংশ বৃদ্ধি