লক্ষ্মীপুরের রায়পুর-হায়দরগঞ্জ অঞ্চলিক মহাসড়কের সংস্কারসহ প্রশস্তকরণের কাজে ঠিকাদারের নানা অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও স্বেচ্ছাচারিতার ফলে ধুলায় অতিষ্ঠ হয়ে শিক্ষার্থী, পথচারী, বৃদ্ধ, শিশুসহ এলাকাবাসী পড়েছে সীমাহীন দুর্ভোগে, মুখ থুবড়ে পড়ছে জনজীবন। সড়কের পাশে সকল দোকানপাট এমনকি বাড়ি পর্যন্ত ধুলা থেকে বাঁচতে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে। সড়কের চলমান উন্নয়নের মধ্যেই চলছে পরিবহনসহ সব ধরনের যানবাহন।
জানাযায়, রায়পুর-হায়দগঞ্জ ১১ কিলোমিটার সড়কের ধুলায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কার কাজে ধীরগতির কারণে এবং শুস্ক মৌসুমে সড়কের ধুলাবালিতে নাভিশ্বাস উঠেছে সড়কে যাতায়াতকারী মানুষের। ১৮ মাস মেয়াদের প্রকল্পের দুই বছর চলে গেলেও ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়নি এখনও। বর্ষায় কর্দমাক্ত এবং শুস্ক মৌসুমে ধুলাবালি ও খোদাই করা সড়কের কারণে উপজেলার চরাঞ্চলের ৩টি ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। দোকানপাট,বাড়ি ঘর, গাছ-গাছালিতে ধুলার আস্তর পড়ে আছে। ধুলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মোটরসাইকেল আরোহী, পথচারী ও স্কুলগামী শিশুরা। ধুলার কারণে সড়কের পাশে অবস্থিত বিভিন্ন দপ্তর, শিক্ষা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ বাসাবাড়িতে বসবাসরত মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এছাড়া প্রচণ্ড ধুলার কারণে মহাসড়কের পাশে বাস করা মানুষ শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঠিকাদারের ইচ্ছে মত ধীরগতির কাজ আর নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারে ধুলায় নাকাল মহাসড়কে চলাচলকারী মানুষগুলো। আঞ্চলিক মহাসড়কের এই উন্নয়নকাজের ধীর গতিতে উপজেলার প্রায় ১১ কিলোমিটার সড়ক এখন ধুলার রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সড়কে মাঝে মাঝে পানি ছিটানো হলেও বাকি সড়ক ধুলায় আচ্ছন্ন থাকে সারা দিন। ধুলায় সড়ক আচ্ছন্ন থাকার কারণে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটেছে।
সড়কের পাশে মিতালীবাজার এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হক জানান, আজ প্রায় এক বছর পর্যন্ত ঘরের জানালা খুলতে পারি না। পলিথিন দিয়ে বাড়ির সামনের দিকটা মুড়িয়ে রেখেছি তার পরেও ধুলার কারণে পরিবারের সবার শ্বাসকষ্ট ও কাশি লেগেই রয়েছে। কবে এ উন্নয়নকাজ শেষ হবে জানি না। আমরা এ ধুলা থেকে মুক্তি চাই।
এ ব্যাপারে রায়পুর উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মন্সী বলেন, উন্নয়নকাজের ফলে সৃষ্ট ধুলা নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রযুক্তি নেই তবে নিয়মিত পানি ছিটিয়ে ধুলা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কাজে সংশ্লিষ্টরা পানি ছিটানোর কাজটি ঠিকমতো করছেন না বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। আমরা ঠিকাদারদের মাধ্যমে রাস্তায় ঠিকভাবে পানি দেবার ব্যবস্থা করব। তা ছাড়া রাস্তায় পিস ঢালার কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হবে। আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই এ দুর্ভোগের অবসান ঘটবে।
অপরাধ ও দুর্নীতি: লক্ষ্মীপুর নির্বাচন অফিসে আগুন লাগানোর ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার
অপরাধ ও দুর্নীতি: হাদি হত্যা: ফয়সালকে ভারতে পালাতে সহায়তাকারীসহ দুইজন কারাগারে
অর্থ-বাণিজ্য: শীতের সবজির দাম কমলেও বাড়তি মাছের দাম