দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়াবিদরা এটাকে চলতি শীত মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলছেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, গোপালগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ এবং নীলফামারী জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এ শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন চলতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
শুক্রবার,(২৬ ডিসেম্বর ২০২৫) সকালে দেয়া ১২০ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবওহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার (আজ) থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
আবওহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার (গতকাল) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় যশোর জেলায় দেশের সর্বনিম্ন ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজশাহীর বাঘাবাড়ি ও নীলফামারীর ডিমলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বড় এলাকাজুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়; ৬-৮ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৮-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
শুক্রবার সকাল থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। তবে কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দেশের অনেক জায়গায় ঠান্ডার অনুভূতি অব্যাহত থাকতে পারে। আজ থেকে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বিভিন্ন স্থানে মানুষের আনাগোনা কমে গিয়েছিল। গতকাল সকালের দিকেও শহরে মানুষের উপস্থিতি কম ছিল। তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগে বেশি পড়তে হয়েছে। তাদের উপার্জন কমে গেছে। ভ্যান ও রিকশা চালকরা যাত্রী পাচ্ছেন না। কৃষি শ্রমিকরাও মাঠে কাজ করতে পারছেন না।
বিভিন্ন জেলায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। এছাড়া মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারদিক। দুপুরের পর কুয়াশা কিছুটা কাটলেও সূর্য মেঘে ঢাকা থাকছে। কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় কৃষি শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো চরম বিপাকে পড়েছে। তারা কাজে বেরুতে পারছে না। পেটের দায়ে যারা বের হচ্ছেন তারাও ঠান্ডায় ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। শীত নিবারণে অসহায়-দুঃস্থ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেয়ার চেষ্টা করছেন। আবার অনেকে গবাদী পশুর শীত নিবারণে চটের বস্তা ব্যবহার করছেন। ক্রমেই তাপমাত্রা কমে যাওয়া এবং শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ায় শীতার্ত মানুষেরা চরম বিপাকে পড়েছেন। জেলাজুড়ে জবুথবু অবস্থা। শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলোকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।
গত কয়েকদিনের ঘন কুয়াশা আর হাড় কাঁপানো শীতে উত্তরবঙ্গের দরিদ্র ও অসহায় মানুষেরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমার, গঙ্গাধর ও ধরলা নদীর তীরবর্তী চর এলাকার মানুষ বেশি ভোগান্তিতে রয়েছেন। শীতবস্ত্রের অভাব ও আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় তাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকাগামী পরিবহনের চালক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘৪০ বছর ধইরে গাড়ি চালায়। এবেড্ডা কুয়াশা এট্টু বেশি। ঘন কুয়াশার কারণে রাতির বেলা অনেক ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতি হচ্চে। ঠিক সুমায় পৌঁচানো যাচ্চে না। দিন যত বাড়চে, শীত আর কুয়াশার জন্যি কষ্ট বাড়চে।’
সকাল ১০টার দিকে সড়কের পাশে বস্তার ওপর বসে রোদ পোহাচ্ছিলেন ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধা জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, ‘অ্যাতো শীতি মানুষ কীভাবে বাঁচে? পাতলা কাপুড় গায় দি রাতি ঘুম আসে না। রোদও ঠিকমতো ওটে না যে রোদ পুয়াবো। জাড়ে খুপ কষ্ট পাচ্চি। শুনচি সরকার নাকি কোম্বল দেচ্চে, আমাগের পইযন্ত আসপে কি না জানিনে।’
শীতের মৌসুম শুরুর পর থেকে বাড়ি বাড়ি জ্বর-কাশি-ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগের প্রকোপ বেড়ে গেছে। ৭৫ বছর বয়সী রাশিদা বেগম বলেন, ‘কয়দিন ধরে জ্বর। তারওপর শীতি বাঁচা মুশকিল হয়ে যাচ্চে। এট্টা গরম কাপুড়ও নেই যে গায় দি শীত তাড়াব।’
আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের সোনাতন গ্রামের কৃষি শ্রমিক জামাল উদ্দিন ও আশরাফুলের বাড়ি পৌর এলাকার হাজরাহাটি এলাকায়। জামাল উদ্দিন জানান, বাড়ি থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার পথ শীতের মধ্যে সাইকেল চালিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আসলেও বেশিরভাগ দিনই কাজ জুটছে না। আশরাফুল বলেন, ‘দিন য্যাতো যাচ্চে শীত ততই বাড়চে। হাতমাত অবাশ হয়ে যাচ্চে। কুয়াশার মদ্দি এত কষ্ট করে এতদূরতি আসার পর যদি কাজ না হয়, ক্যারামডা লাগে বলেন।’
চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশনসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত মাছের আড়তগুলোতে ভোররাত থেকে বেচাকেনা শুরু হয়। মৎস্য চাষি ও আড়তের শ্রমিকদেরও চরম শীতের মধ্যে পানি নেড়ে নেড়ে মাছ তাজা রাখতে হয়। স্থানীয় একটি আড়তের কর্মচারী মোরশেদ আলী বলেন, ‘ভোরবেলা থেইকে বেলা ১০টা পইযন্ত ঠান্ডা পানি নাড়তে হয়। ঠান্ডায় সারা শরীল হিম হয়ে যায়। মনডা বলে না খ্যাতার ভিতরতি বের হই।’
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ২৮ ডিসেম্বর (আগামীকাল) পর্যন্ত তাপমাত্রা ৯-১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করবে। তবে ২৯ ডিসেম্বর থেকে তাপমাত্রা নামতে শুরু করবে। কুয়াশা পরিস্থিতি একই থাকবে।
এদিকে বিভিন্ন জেলায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে শীতার্ত মানুষের জন্য গরম কাপড় ও কম্বল বিতরণ শুরু হলেও তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, জেলায় এ পর্যন্ত ১৫ হাজার শীতার্ত মানুষের মাঝে গরম কাপড় বিতরণ করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
দেশের ওপর এখন শীতের প্রভাব বাড়ার কারণ হিসেবে উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের কথা বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, এই বলয়ের প্রভাবে দেশে শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। এই বলয়ের বর্ধিতাংশ এখন পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
রোববার (আগামীকাল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার (পরশু) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
আগামী সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল ও নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
নৌপথে ৯ ঘণ্টা ফেরি বন্ধ
ঘন কুয়াশার কারণে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এবং মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজীরহাট নৌপথে ফেরিসহ সবধরনের নৌযান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে এসব নৌপথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় ৯ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়। আর আরিচা-কাজীরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু করে সকাল ১০টা ১০ মিনিটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এর আগে সন্ধ্যার পর থেকেই কুয়াশার কারণে এই নৌপথে ফেরিসহ অন্যান্য নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে থাকে।
এ সময় দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘ভাষাসৈনিক ডা. গোলাম মাওলা’ ও ‘শাহ পরাণ’ নামের দুটি রো-রো (বড়) ফেরি এবং ‘বাইগার’ নামের একটি কে-টাইপ (মাঝারি) ফেরি মাঝ নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে। দিক হারিয়ে ফেরি তিনটি আর সামনে এগোতে পারেনি। দুর্ঘটনা এড়াতে উপায় না পেয়ে ফেরিগুলো মাঝ নদীতে নোঙর করতে বাধ্য হয়। কুয়াশা ও তীব্র শীতে ফেরিতে থাকা যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন।
এদিকে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’, ‘এনায়েতপুরী’, ‘হাসনাহেনা’, ‘ভাষাশহীদ বরকত’ ও ‘শাহ মখদুম’ নামের পাঁচটি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়। একইভাবে পাটুরিয়াঘাট এলাকায় ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান’, ‘বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন’ ও ‘কেরামত আলী’ নামের তিনটি ফেরি নোঙর করে রাখা হয়।
ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা কয়েকশ’ যানবাহন আটকা পড়ে। এর মধ্যে ছিল যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়ি। এতে চালকসহ শত শত যাত্রী ভোগান্তির শিকার হন।
গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মাঝ নদীতে থাকা তিনটি ফেরি নিরাপদে ঘাটে পৌঁছালে দৌলতদিয়া ও পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল আবার শুরু হয়। এই তথ্য নিশ্চিত করেন বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম।
এদিকে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ নৌপথ মানিকগঞ্জের আরিচা ও পাবনার কাজীরহাট রুটেও কুয়াশার কারণে গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ‘বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান’ ও ‘চিত্রা’ নামের দুটি ফেরি মাঝ নদীতে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে দিক হারিয়ে নোঙর করে রাখে।
অপরাধ ও দুর্নীতি: লক্ষ্মীপুর নির্বাচন অফিসে আগুন লাগানোর ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার
অপরাধ ও দুর্নীতি: হাদি হত্যা: ফয়সালকে ভারতে পালাতে সহায়তাকারীসহ দুইজন কারাগারে
অর্থ-বাণিজ্য: শীতের সবজির দাম কমলেও বাড়তি মাছের দাম