উত্তরের হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশায় সিরাজগঞ্জে জেঁকে বসেছে শীত। পৌষের কনকনে শীতে মানুষসহ গবাদি পশুরাও রীতি মতো কাবু হয়ে পড়েছে। শনিবার সারাদিন সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে কোনো জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। পাশাপাশি গবাদি পশুগুলোকে চট-ছালা কিংবা পুরানো কাপড় পড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। প্রচন্ড শীতের কারনে গবাদি পশু গুলি খাবার কম খাচ্ছে ফলে দুধের উৎপাদন কমে গেছে বলে খামারীরা জানান। সিরাজগঞ্জের গবাদি খামারী সাইফুল ইসলাম, দোরতা চরের চরের আব্দুর রাজ্জাক জানান, তীব্র শীতে আমরা গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পরেছি । এক দিকে যেমন কনকনে শীত অপর দিকে বিভিন্ন ঘাস সহ পশু খাদ্য সংগ্রহে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে কাচা ঘাস ও অন্যান্য গো খাদ্যের দাম।
শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া এলাকার খামারী মোমতাজ উদ্দিন জানান তীব্র শীত ও কনকনে বাতাসে বাথানে গবাদি পশু নিয়ে আমরা পরেছি বিপাকে গাভী গুলি খাওয়াও কমিয়ে দিয়েছে।
এক দিকে তীব্র শীত অপরদিকে গাভী কম কাওয়ার কারনে দুধ উৎপাদনও কমে গেছে বলে তিনি জানান। তিনি জানান তার খামারে বাগে প্রতি দিন ১০/ ১২ মন দুধ উৎপাদন হতো শিতের কারনে ১ মন দুধ উৎপাদন কমে গেছে। এব্যপারে সিরাজগঞ্জে প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আনোয়ারুল হক জানান, ঠান্ডার হাত থেকে রক্ষার জন্য গোয়াল ঘর পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখার পরমশৃ দিয়েছেন।
গবাদি পশুকে পুষ্টিকর খাবার বেশী করে খাবার দেয়ার পরামর্শও দেন। মানুষের পাশপাশি গবাদি পশুর এখনো তেমন কোন রোগ দেখা না দিলেও টিকাদান কর্মসূচী অব্যাহত রয়েছে।
গবাদি খামারীদের উঠান বৈঠকের মাধ্যমে নানা গবাদি পশুকে চট বা ছালা পরানোর পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া গবাদি পশুর খামার গুলি ক্ষতির হাত থেকে রক্ষার জন্য সংশ্লিস্ট বিভাগের নজরদারিতে আছে।