গাজীপুরে ‘স্ত্রীকে হত্যার’ পর শ্বশুরকে মোবাইলে কল করে জানানো যুবককে কুড়িগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। হত্যার ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই র্যাব-১ এবং র্যাব-১৩ সদস্যদের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের পোড়াবাড়ী র্যাব-১-এর স্পেশালাইজড কোম্পানির লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. নাফিজ বিন জামাল।
গ্রেপ্তার জালাল দুলু (৩০) কুড়িগ্রামের উলিপুর থানার বসুনিয়া গ্রামের মো. আ. আজিজের ছেলে। তার স্ত্রী মাস্তুরা আক্তার সুমা (২৮) গাজীপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। তিনি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার পূর্ব নড়াইল এলাকার মিরাজুল ইসলামের মেয়ে। এ বিষয়ে র্যাবের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জালাল ও সুমা গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন চান্দনা এলাকার রমিজ উদ্দিনের মালিকানাধীন ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন। যৌতুক দাবিসহ পারিবারিক কলহের জের ধরে গত বৃহস্পতিবার আনুমানিক রাত আড়াইটায় সুমাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং মৃতদেহটি রুমে তালাবদ্ধ অবস্থায় রেখে জালাল তার শ্বশুরকে ফোন দিয়ে হত্যার বিষয়ে জানান। খবর পেয়ে বাসন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় সুমার বাবা মিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে বাসন থানায় একটি যৌতুকের জন্য হত্যা মামলা করেন।
পরবর্তীতে আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য গাজীপুরের র্যাব-১, স্পেশালাইজড কোম্পানি পোড়াবাড়ি ক্যাম্প-এর আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় আসামি জালাল কুড়িগ্রামের রাজারজাট থানার ৭ নম্বর নাজিম খান ইউপির রামকৃষ্ণ মন্ডলপাড়া এলাকায় আত্মগোপনে থাকার তথ্য পাওয়া যায়।
পরে গত শুক্রবার রাত ১টা ১০ মিনিটে র্যাব-১ এবং র্যাব-১৩, সদর কোম্পানি, রংপুরের যৌথ আভিযানিক দল অভিযান চালিয়ে জালালকে মন্ডলপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালাল স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেপ্তারকৃত জালালকে বাসন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানান র্যাব।