image
কিশোরগঞ্জ : ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান করা টাকা গননা করছেন স্বেচ্ছাসেবীরা -সংবাদ

পাগলা মসজিদের ১৩টি দানবাক্সে মিলেছে ১১ কোটি ৯১ লাখ টাকা

রোববার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১৩টি দানবাক্সে এবার মিলেছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ২৮ হাজার ৪৮১ টাকা। এছাড়া পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার। তিন মাস ২৭ দিন পর এ টাকা বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। শনিবার দিনভর গণনা শেষে সন্ধ্যায় দানবাক্স খোলা কমিটির আহবায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. এরশাদুল আহমেদ গণমাধ্যম কর্মীদেরকে এ তথ্য জানান। এর আগে গত ৩০ আগস্টে ১৩টি দানবাক্সে সর্বোচ্চ রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭ হাজার ২২০ টাকা মিলেছিল। তখন ৪ মাস ১৮ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল।

শনিবার সকাল ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক মো. এরশাদুল আহমেদসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। তখন ১৩টি দানবাক্সে ৩৫ বস্তা টাকা পাওয়া যায়।

দানবাক্সের টাকাগুলো বস্তায় ভরে মসজিদের দ্বিতীয়তলায় নিয়ে গণনা শুরু করা হয়। টাকা গণনায় অংশ নেন পাগলা মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসার ১১০ জন ও আলজামিয়াতুল ইমদাদিয়া মাদ্রাসার ২৫০ জন ছাত্র, পাগলা মসজিদের ৩৩ জন স্টাফ, রূপালী ব্যাংকের ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য অংশ নেন। ঐতিহাসিক এ মসজিদে দেশ বিদেশের নানা ধর্মের মানুষ দান করে থাকেন। এ মসজিদে দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়-এমন বিশ্বাস থেকেই প্রতিদিন দানের পরিমাণ বাড়ছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আসলাম মোল্লা জানান, পাগলা মসজিদকেন্দ্রীক একটি আধুনিক ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে। তিন একর জমির উপর ১০ তলাবিশিষ্ট এই ভবন হবে। বর্তমানে পাগলা মসজিদের অ্যাকাউন্টে ১০৪ কোটি টাকা জমা আছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে বলে তিনি জানান।

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন জানান, দানবাক্সগুলো খোলা থেকে টাকা গণনা এবং টাকাগুলো ব্যাংকে জমা রাখা পর্যন্ত কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য, বাংলার বারো ভূঁইয়ার অন্যতম ঈশা খানের বংশধর দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিলকদর পাগলা নরসুন্দা নদীর তীরে বসে নামাজ আদায় করতেন। তিনি মারা গেলে পরবর্তীতে তার ভক্তরা সেখানে মসজিদটি নিমার্ণ করেন। জিলকদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি পাগলা মসজিদ হিসেবে পরিচিতি পায় বলে স্থানীয়রা জানান।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

» মাঠ ভরে ফসলে, ঘর ভরেনি স্বস্তি আদিবাসী নারীর বেদনার দিনলিপি

» আত্রাইয়ে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার

সম্প্রতি