চকরিয়ায় সংরক্ষিত বনের জমি জবরদখলে নিয়ে অবৈধ স্থাপনা
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন বনবিটের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতরে বনভূমি জবরদখলে নিয়ে এখনো অবৈধ স্থাপনা তৈরির মহোৎসবে মেতেছে কতিপয় দখলবাজ চক্র। এরইমধ্যে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের ফাঁসিয়াখালী বনবিটের রিংভং মৌজার দরগা গেটের পিছনে সংরক্ষিত বনভূমি জবরদখলে নিয়ে তৈরি করা একটি পাকা বাড়ির অবৈধ স্থাপনা অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করে দিয়েছে বনবিভাগ। বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মারুফ হোসেনের নির্দেশে ফাসিয়াখালী বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: সাদেকুর রহমান এর নেতৃত্বে বনকর্মীরা শনিবার টানা দুই ঘন্টা অভিযান চালিয়ে এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে অন্তত ৫০ লাখ টাকার বেহাত হওয়া বনভুমি উদ্ধার করেছে। অভিযানের সময় ফাসিয়াখালী বনবিট কর্মকর্তা
মো. খসরুল আমীন ছাড়াও বনবিভাগের ফাঁসিয়াখালী ও ডুলাহাজারা বনবিটের বনকর্মী এবং ভিলেজাররা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী বন রেঞ্জ অফিসার মোঃ সাদেকুর রহমান। তিনি বলেন, বেশকিছু দিন আগে কতিপয় দখলবাজ চক্র বনকর্মীদের অগোচরে ফাঁসিয়াখালী বনবিটের রিংভং মৌজার দরগা গেটের পিছনে সংরক্ষিত বনভূমি জবরদখলে নিয়ে সেখানে অবৈধভাবে পাকা বাড়ির স্থাপনা তৈরি করে। খবর পেয়ে শনিবার বনকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে সদ্য নির্মিত অবৈধ স্থাপনা ভেঙে উচ্ছেদ করে দিয়ে বনবিভাগের বেহাত হয়ে পড়া অন্তত ৫০ লাখ টাকার বনভুমি উদ্ধার করা হয়েছে।
ফাসিয়াখালী রেঞ্জ অফিসার মোঃ সাদেকুর রহমান বলেন, উদ্ধারকৃত বনভূমিতে ঘেরাবেড়া দেয়ার জন্য ফাসিয়াখালী বনবিট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে বনবিভাগের পক্ষথেকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
‘সারাদেশ’ : আরও খবর
