image
লাখাই (হবিগঞ্জ) : যনজটে স্থবির সড়ক -সংবাদ

লাখাইয়ে যত্রতত্র দাঁড় করে রাখা সিএনজি-টমটম, দুর্ভোগ চরমে

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, লাখাই (হবিগঞ্জ)

লাখাই উপজেলায় যাত্রীদের হয়রানির শেষ নেই। উপজেলার প্রতিটি বাজারের সড়কের মধ্যে যত্রতত্র যানবাহন দাঁড় করে রাখা। সারি সারি টমটম, অটোরিক্সা, সিএনজি ও বাসের কারণে কেবল যানজটই সৃষ্টি হচ্ছে না, কখনো কখনো দুর্ঘটনাও ঘটছে। সারি সারি যানবাহনের কারণে বাজারে আসা ক্রেতা সাধারণ কেনাকাটার জন্য দোকানে আসা-যাওয়া করতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। আইনেরও তোয়াক্কা করছে না চালকরা।

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কয়েক বার বাজার এলাকা থেকে কিছু দুরে বাস স্ট্যান্ড নতুন জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। কিন্তু চালকদের যেন অভ্যাসের পরিবর্তন হচ্ছে না। দুই-এক দিন যেতে না যেতেই চালকরা আবার বাজার এলাকায় সড়কের উপর যত্রতত্র যানবাহন দাঁড় করে রাখা তাদের জন্য নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। এই সড়কের যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। কোন কোন বাস মেরামতও করা হচ্ছে মূল সড়কের উপর। ওয়ানওয়ে সড়কের দু’দিকে বাসের লম্বা সারি মূল সড়ককে সরু করে নিয়ে আসে। তেমন একটা জায়গা অবশিষ্ট থাকে না ফলে অন্য যে কোন মালবাহী পরিবহন তথা সিএনজি অটোরিক্সা, টমটম

চলতেও প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে অন্য যানবাহনগুলো। এ নিয়ে এলাকার লোকজনের মধ্যেও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে যাত্রী সাধারণ ও এলাকাবাসী ফুঁেস উঠেছেন। যে কোন সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে বাজার এলাকায় এই যানবাহন স্ট্যান্ড ও পার্কিং নিয়ে।

অন্যদিকে, উপজেলার প্রত্যেকটি বাজার এলাকায় ও বাজারের ভিতরের রাস্তার উপর গড়ে উঠেছে একাধিক চা-স্টল ও ফলের দোকান সহ অন্যান্য দোকান পাঠ। দিন দিন বাড়ছে দোকানের সংখ্যা। অভিযোগ রয়েছে-রহস্যজনক কারণে এসব অবৈধ দোকান গড়ে উঠলেও কেউ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অদৃশ্য কোন এক খুঁটির জোরে একের পর এক অস্থায়ী দোকান গড়ে উঠছে। অস্থায়ী এসব দোকানের জন্য চালকরা যানবাহন ঘুরাতে গিয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। উপজেলার কোন কোন বাজরে দোকান মালিকরা মুল সড়কের উপর দোকানের মালামাল রেখেও চলাচলের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। উপজেলার বুল্লা বাজারে যানবাহন স্ট্যান্ডে কথা হয় হবিগঞ্জ সদর লুকড়া গ্রামের ব্যবসায়ী দিলোয়ার হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, হবিগঞ্জ-লাখাই সড়কে প্রতিটি বাজার এলাকায় সড়কের উপর অবৈধ যানবাহনের স্ট্যান্ড বানানো হয়েছে। নিয়ম বহির্বত করে আইনের তোয়াক্কা না করে। এখানকার যানবাহন চালকদের কাছে আমরা যাত্রীরা অনেকটা অসহায়। কারো যেন কিছু বলার নেই।

এলাকার বাসিন্দা রুহেনা বেগম বলেন, পরিবহন শ্রমিকরা যে যভোবে পারছে সে ভাবইে রাস্তার উপর গাড়ি রাখছে। প্রতিবাদ করলে ইজ্জত নিয়ে টানাটানিতে পড়তে হয়। তাই মান-সম্মানের ভয়ে অনেকেই নিরবে তাদের এ অত্যাচার মেনে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। বর্তমানে উপজেলার প্রতিটি বাজারে সড়কের উপর যানবাহনের স্ট্যান্ড ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। যানবাহনের স্ট্যান্ড বাজার এলাকা থেকে স্থানান্তর ও বাসস্ট্যান্ডে শৃংখলা ফেরাতে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধি জরুরি।

উপজেলার বামৈ বাজরে যানবাহন স্ট্যান্ডে কথা হয় সামাদ মিয়ার সাথে তিনি বলেন,বাজার এলাকা থেকে যানবাহন স্ট্যান্ড স্থানান্তরের পরও ঘুরে ফিরে চালকরা কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে যানবাহনের স্ট্যান্ড গড়ে তোলে। এটি পথচারী ও এলাকাবাসীর জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে যানবাহনের স্ট্যান্ড ও পার্কিং নিয়ে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাজার এলাকায় সড়কের উপর যানবাহনের স্ট্যান্ড ও দাঁড় করে যানবাহন মেরামতের দৃশ্য দেখলে মনে হয় যেন-সেখানে আইনের কোন বালাই নেই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, যানজট নিরসনের ব্যাপারে ইইন শৃংখলা সভায় আলাপ আলোচনা হয়েছে অতিদ্রুত এর একটা ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন পুরো উপজেলাবাসী।

সম্প্রতি