image
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত

গৌরনদীতে চাচার ষড়যন্ত্রে দুই ভাতিজা হয়রানীর অভিযোগ

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, গৌরনদী (বরিশাল)

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সুন্দরদী গ্রামে চাচায় ষড়যন্ত্র করে ৩৯বছর আগের একটি দলিল বের করে। যাহার দলিল নং-৫৯৬/৮৬ দুই ভাতিজাকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। হয়রানিকৃত ভাতিজা দুইজন হলেন ব্যবসায়ী রিপন মিত্র ও সুমন মিত্র।

ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, টরকী বন্দর ভিক্টোরী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সুন্দরদী মৌজার ১০৪৫ নম্বর খতিয়ানের ১৯৩৪ নম্বর দাগে অবস্থিত ৮১ শতক জমির ওপর দীর্ঘদিন ধরে তাদের পৈতৃক বসতবাড়ি। জমিটির রেকর্ডীয় মালিক ছিলেন হরিমোহন মিত্র ও কিশোরী মোহন মিত্র। পরবর্তীতে উত্তরাধিকার সূত্রে জমির মালিক হন মনোরঞ্জন মিত্র এবং তার মৃত্যুর পর তার তিন ছেলে ব্রজবিলাস মিত্র, স্বপন কুমার মিত্র ও নারায়ণ চন্দ্র মিত্র ।

ভাইদের মধ্যে জমি ভাগ-বাটোয়ারা হয়। ভাগ-বাটোয়ারা হওয়ার পরে দুই ভ্ইা জমি বিক্রির পর ব্রজবিলাস মিত্রের অংশে থাকা জমিতে মন্দির ও শ্মশান রয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে ব্রজবিলাস মিত্রের মৃত্যুর পর তার দুই ছেলে রিপন ও সুমন মিত্র উত্তরাধিকার সূত্রে ওই জমির মালিক হন।

রিপন ও সুমন মিত্র জানান, ২০১০ সালে ব্যবসার প্রয়োজনে তারা ইসলামী ব্যাংক টরকী বন্দর শাখা থেকে ঋণ নেন। পরবর্তীতে তাদের মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার খরচ জোগাতে আরও ঋণ নিতে বাধ্য হন। ঋণের বোঝা বেড়ে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত তারা বসতঘরসহ ১৪ শতক জমি বিক্রি করে দেন। বর্তমানে তাদের কাছে অবশিষ্ট থাকে মাত্র ৫ শতক জমি, যেখানে পুরোনো শ্মশান রয়েছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, আশ্রয় সংকটে পড়ায় তারা বসতঘর নির্মাণের উদ্যোগ নিলে চাচা নারায়ণ চন্দ্র মিত্র বাধা দেন। পরে তিনি মন্দির ভাঙার অভিযোগ তুলে স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দেন এবং সংবাদমাধ্যমে ভুল তথ্য সরবরাহ করেন। এর জেরে বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যন্ত নড়েচড়ে বসে।

রিপন ও সুমন মিত্র দাবি করেন, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপনের মাধ্যমে তারা অবৈধ মন্দির ভাঙার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেলেও নারায়ণ চন্দ্র মিত্র আদালতে মামলা করে জমির ওপর ১৪৪/১৪৫ ধারা জারি করান। ফলে তারা বসতঘর নির্মাণ করতে না পেরে বর্তমানে ভাড়া বাসায় থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

এ বিষয়ে রিপন মিত্র বলেন, “আমরা চাচার ষড়যন্ত্রের শিকার। তিনি প্রশাসন, সংবাদমাধ্যম ও আদালতকে ব্যবহার করে আমাদের হয়রানি করছেন। আমরা এই অনৈতিক হয়রানি থেকে মুক্তি চাই।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণ চন্দ্র মিত্র বলেন, “ওই মন্দিরটি আমাদের পারিবারিক পুরোনো মন্দির। এটি দেবোত্তর সম্পত্তি নয়। আমি আমার বড় ভাই ব্রজবিলাস মিত্রের কাছ থেকে ১০ শতক জমি ক্রয় করেছি। যার দলিল রয়েছে। জমি নিয়ে দাবি আছে, মন্দির নিয়ে কোনো বিরোধ নেই।”

এ বিষয় রিপন মিত্র আরো বলেন বিগত ৭ থেকে ৮ মাস আগে একদিন রাতে একটি দলিললের ফটোকপি দেওয়া হয়। তাতে লেখা দলিল নং ৫৯৬/৮৬ তারিখ ১৬/০২/১৯৮৬ তাতে লেখা প্রথম পাতায় ১০৪৫ নং খতিয়ানের ১৯৩৪ নং দাগের ১০ শতাংশ জমি । বিক্রি করে নারায় মিত্রর ভাই বজ্রবাসী মিত্র।

ওই দলিলের দ্বিতীয় পতায় নিচে লেখা তফসিফ বর্নিত ভূমি যাহা আমার নিজ নামে গৌরনদী থানা বরাগ আদালতে ৭৭জি ৭৫-৭৬ নং মিউটেশন কেসের ১৫/০১/১৯৭৬ তারিখে হুকুম মোতাবেক রেকড আমার। ৪র্থ পাতায় লেখা সাব কবলা দলিল মুলে অদ্য সাব বিক্রয় করিলাম।

তার পরের পাতায় তফসিল বর্নিত ভূমির খতিয়ান ১০৪৫ দাগ নং ১৯৪৩ জমির পরিমান ১০ শতাংশ। লেখক ২ জন। স্বপন কুমার সরকার লাই নং- ২২৭৬। লেখক জিতেন্দ্র নার্থ সরকার লাই নং- ২১২২। তাদের ১০৪৫ খতিয়ানে একটি মাত্র দাগ ১৯৩৪ জমির পরিমান ৮১ শতাংশ। বজ্রবাসী মিত্রর নামে যে, রেকডটি দেখিয়েছে নিজ নামে সেটা তার দাদা মনোরঞ্জন মিত্র’র মিউটেশন কেস নং-৭৭জি। সেটা বসিয়েছে তার ছেলের নামে। আবার লিখেছে দলিল মুলে তা হলেতো একটি পিট দলিলের নং থাকার কথা। দাগ দিয়েছে ২টি তফসিল ভুক্ত দাগ দিয়েছে ১৯৪৩ সেটি তার বাড়ির দাগ না।রিপন মিএ আরো বলেন ,এটা আমার বাবার দেয়া দলিল নয়। আমার দাদা মনোরঞ্ঝন মিএ তখন জীবিত। তাহার মৃত হয় ১৯৯০সনে,আমার চাচা নারায়ন চন্দ্র মিএ আমার বাবার নাম দিয়ে একটি খাড়া দলিল করেছে।

গৌরনদী ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন এই দিলল দিয়ে কোন দিন মিউটেশন হবে না। মিউটেশন কেছ ও দাগে জটিলতা রয়েছে।

সম্প্রতি