image
গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ) : ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনে আটকা সেতু নির্মাণ -সংবাদ

গজারিয়ায় ফুলদী নদীতে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের দুই যুগেও হয়নি সেতু

মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, গজারিয়া (মুন্সীগঞ্জ)

প্রায় দুই যুগ আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ফুলদী নদীতে সেতু নির্মাণ হয়নি আজও।

এতে ইঞ্জিন নৌকায় করে নদী পারাপার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন উপজেলা সদরের দুই পাড়ের অর্ধ লাখ বাসিন্দা। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই মেঘনা নদীর শাখা, গজারিয়ার ফুলদী নদীর রসুলপুর পয়েন্টে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন গজারিয়াবাসী। দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি-জামায়াত (চার দলীয়) জোট সরকারের তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী ব্যরিষ্টার নাজমুল হুদা ফুলদী নদীতে সেতু নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ভিত্তি প্রস্তর স্হাপনের দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও হয়নি সেতু ! ভিত্তিপ্রস্তরটি (ফলক) উপড়ে পড়ে আছে রসুলপুর খেয়াঘাট পয়েন্টে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয় রসুলপুর এলাকায়। পাশাপাশি সাব-রেজিস্টার অফিসসহ রয়েছে আরো বিভিন্ন বিভাগের সরকারি অফিস। রয়েছে সরকারি কলেজ, হাসপাতল, ফায়ার সার্ভিস, দুইটি আলিম মাদরাসা। আলু সংরক্ষণের দুইটি হিমাগার, খাদ্য গুদাম। ওই পারে সোনালী মার্কেট পয়েন্টে সহকারি কমিশনারের (ভুমি) কার্যালয়, পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র,গজারিয়া প্রধান ডাকঘর, নৌপুলিশ,কোস্টগার্ডের স্হাপনা (বেজ স্টেশন) সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, লঞ্চঘাট, জেলা সদরে যাওয়ার ট্রলারঘাট।

প্রতিদিন সরকারি ও ব্যক্তিগত নানা কাজে ইমামপুর, রসুলপুর, মাথাভাঙ্গা, দৌলতপুর, আধাঁর মানিক, করিম খাঁ, সোলআনি, বাঘাইয়া কান্দি, গোসাইর চর, সোনারকান্দি, বাঁশগাও, কলসের কান্দি, প্রধানের চর, বালুরচর, গজারিয়া, কাজীপুরাসহ ফুলদী নদীর উভয় পাড়ের উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের নদী পারাপার হতে হয়। এরমধ্যে সহস্রাধিক শিক্ষার্থীও রয়েছেন। খেয়া (ইঞ্জিন চালিত) নৌকাই সবার ভরসা। যানবাহন পারাপারের জন্য ফেরি থাকলেও তা সময় সাপেক্ষ, কারণ একটি-দুটি গাড়ি নিয়ে ফেরি ছাড়তে চান না চালক। রাতের বেলায় খেয়া এবং ফেরি দুটোই পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে নদী পারাপার বিপদজনক হয়ে পড়লে জরুরী প্রয়োজনে এক পাড় থেকে গাড়ি নিয়ে অন্য পাড়ে যেতে গ্রামীণ সড়ক দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হয়। এসব কারণে প্রায়ই দুর্ভোগে পড়েন ফুলদী নদীর দুই পাড়ের অসংখ্য মানুষ।

গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মেঘনার শাখা ফুলদী নদীর রসুলপুর পয়েন্টে একটি সেতু নির্মাণের জন্য একাধিকবার নানা সমীক্ষা করা হলেও প্রকল্প বাস্তবায়নের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

জানতে চাইলে গজারিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. সামিউল আরেফিন সংবাদকে বলেন, উভয় পারের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি আছে। তবে ফুলদী নদীতে সেতু নির্মাণের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি।

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জ -৩ (সদর-গজারিয়া)বিএনপি দলীয় প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান রতন, এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে জানিয়েছেন, বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে, ফুলদী নদীর ওপর সেতু নির্মাণের বিষয় অগ্রাধিকার দেবেন।

সম্প্রতি