বরিশালের হিজলায় মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় একটি ট্রলারসহ ২০ জনকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি দেশি অস্ত্র ও ৫৭টি ড্রেজার জব্দ করা হয়। গতকাল সোমবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয় বলে জানান কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (বিএন) মো. সিয়াম উল হক।
মঙ্গলবার, (৩০ ডিসেম্বর ২০২৫) আলাদা মামলায় আটকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি। গ্রেপ্তাকৃতরা হলেন- উপজেলার বাউশিয়া গ্রামের জয়নাল সরদারের ছেলে সবুজ সরদার (২৭), একই এলাকার নুর মোহাম্মদ মাঝির ছেলে হযরত আলী মাঝি (২৭), মতু গাজীর ছেলে আক্তার হোসেন মাঝি (৩২), জয় দূর্গাপুর গ্রামের মনু সাঈদের ছেলে রাব্বি হাসান (১৯), মান্দ্রা চর কুশরিয়া দুলাল বেপারীর ছেলে রাসেল বেপারি (২৫), একই এলাকার সেলিম বেপারির ছেলে নাঈম আহমেদ (১৮), শাহজালাল রাড়ীর ছেলে ফকর উদ্দিন (১৭), আমির হোসেন হাওলাদারের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২৮), প্রয়াত ওলিউদ্দীন মোল্লার ছেলে আক্তার মোল্লা (২৭), শহীদ মৃধার ছেলে জাহাঙ্গীর মৃধা (২৪), রহিম মোল্লার ছেলে রিফাত মোল্লা (১৯), জসিম মাঝির ছেলে শাকিল মাঝি (১৯), ফারুক দেওয়ানের ছেলে রাজীব দেওয়ান (২৯), মজিদ মাতবরের ছেলে হালান মাতবর (১৮), ওরাকল এলাকার খোরশেদ ফরাজীর ছেলে লিটন ফরাজী (২৫), চর হিজল এলাকার আব্দুল হাই খানের ছেলে ফরহাদ খান (২৩) এবং খইলা এলাকার আমজাদ মৃধার ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৬)।
সিয়াম উল হক বলেন, সোমবার (গত) বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কোস্ট গার্ডের ইলিশা, কালিগঞ্জ ও হিজলা স্টেশনের সদস্যরা যৌথভাবে উপজেলার সাওড়া সৈয়দখালী এলাকায় মেঘনা নদীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার অভিযোগে ৫৭টি ড্রেজার ও একটি ট্রলারসহ ২১ জনকে আটক করা হয়। এছাড়া তাদের ট্রলার তল্লাশি করে চারটি দেশি অস্ত্র পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, আটক ২১ জনের মধ্যে একজনের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ড্রেজার মালিকসহ আটকদের বিরুদ্ধে আলাদা দুটি মামলা দিয়ে তাদের হিজলা থানায় সোপর্দ করা হয়। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের হাত থেকে ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি রক্ষায় কোস্ট গার্ডের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান মিডিয়া কর্মকর্তা সিয়াম উল হক। হিজলা থানার ওসি অলিদ হোসেন বলেন, কোস্ট গার্ডের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা এবং বালুমহাল আইনে দুই মামলা করা হয়। পরে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।