image
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ): ফুটপাত ও ভাসমান দোকানগুলোতে শীতের পোশাক -সংবাদ

শীতের তীব্রতা বাড়তেই জমজমাট ফুটপাত ও ভাসমান দোকান

বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলায় শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুটপাত ও ভাসমান দোকানগুলোতে শিশু ও বড়দের শীতের পোশাকের ব্যাপক চাহিদা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব দোকানে চলছে জমজমাট কেনাবেচা।

শীতের প্রকোপের পাশাপাশি মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়ায় শিশু, কিশোর ও বয়স্ক মানুষজন সর্দি-কাশিসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে আগেভাগেই শীতের গরম পোশাক সংগ্রহে বাজারমুখী হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার কটিয়াদীর সাপ্তাহিক হাটবার উপলক্ষে কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনের সড়ক, কটিয়াদী সরকারি কলেজের সামনে, কটিয়াদী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ বাজারের বিভিন্ন স্থানে ভাসমান দোকানিরা শীতের পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসেছেন। কেউ কেউ রিকশাভ্যানে করে কমদামি ও আমদানি করা পুরনো শীতের পোশাক অলিগলি ঘুরে ফেরি করছেন।

বাজারে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে শিশুদের সোয়েটার, মোটা কাপড়ের গেঞ্জি সেট, মাথার টুপি, হাত ও পায়ের মোজা, শিশুদের কম্বল, লেপ-কাঁথা, গলাবন্ধনী ও শাল। শীতের পোশাক কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, শৈত্যপ্রবাহের কারণে বাচ্চাদের জন্য শীতের কাপড় কিনতে বাজারে এসেছি। মোটা কাপড়ের গেঞ্জি সেট কিনব, যাতে শীতে কোনো সমস্যা না হয়।

কটিয়াদী বাজারের ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা জানান, শৈত্যপ্রবাহ শুরু হওয়ার পর থেকেই শীতের পোশাকের বিক্রি বেশ ভালো যাচ্ছে। শিশুদের পাশাপাশি বড়দের শীতের পোশাকও ভালো বিক্রি হচ্ছে। তারা বলেন, শীত আরও বাড়লে ভারী গরম কাপড়ের চাহিদা যেমন বাড়বে, তেমনি দামও কিছুটা বাড়তে পারে।

ফুটপাত ও ভাসমান দোকানগুলোতে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গরম পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে শিশুদের জিন্সের ফ্রক, স্কার্ট, উলের পোশাক, বেবি কিপার, রেকসিনের জ্যাকেট, কার্ডিগান, মাফলার এবং নতুন ডিজাইনের কানটুপি।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি