লক্ষ্মীপুরের রায়পুর মেঘনা নদীতে রাত-দিন জেলেরা নদীতে পড়ে থাকলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছের দেখা। কেউ কেউ যৎসামান্য মাছ পেলেও তা বিক্রি করে নৌকা-জালের খরচও উঠছে না। এতে চরম মানবেতর জীবনযাপন করছে মেঘনা নদীর পাড়ে থাকা হাজারো জেলে পরিবারগুলো। আয় নেই, অথচ এনজিও ও স্থানীয় মহাজনের ঋণের কিস্তির চাপ বাড়ছে প্রতিদিন।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, রায়পুর উপজেলায় প্রায় ৮ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে নিবন্ধধিত রয়েছে ৫ হাজার ৮০০ জেলে। এদের সবাই মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। রাতভর জেলেরা মাছ ধরে নৌকা নিয়ে ঘাটে ফিরছেন। সারারাত জাল টেনে ধরা মাছ দেখে তারা হতাশ। কারণ এ মাছ বিক্রি করে তাদের নৌকা-জালের খরচই উঠছে না। অনেকে আবার নৌকা পাড়ে রেখে বেকার বা অলস সময় কাটাচ্ছেন। আগে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে সংসারের সব আয় ব্যয় হিসাব মিলছে। বর্তমানে মাছের খোঁজে রাত-দিন পড়ে থাকলেও মিলছে না কাঙ্ক্ষিত মাছ। নদী এখন প্রায় মাছশূন্য। আর তাতেই ধীরে ধীরে পেশা বদল করেছেন পাড়ার জেলেরা। যেসব জেলে বাধ্য হয়ে পুরোনো পেশা ধরে রেখেছেন, তাঁদেরও যেতে হচ্ছে দূরের নদীতে।
স্থানীয় ৪ থেকে ৫ জন জেলে বলেন, বর্তমান মেঘনা নদীতে মাছ নেই বললেই চলে। দিন-রাত নদীতে জাল ফেলে মাছের অপেক্ষায় থাকতে হয়। যে মাছ জালে আসে তা দিয়ে নৌকা-জালের খরচই উঠে না। বাজারে চাল-ডালসহ দ্রব্যমূল্যের যে হারে দাম বেড়েছে তাতে আমাদের সংসার চলছে না। সকল জেলেরা মাহাজনের টাকা পরিষদে কিস্তির ঋণের জালে পড়ে যাচ্ছে। তাই সরকার কোন ব্যবস্থা না নিলে এই পেশা ছেড়ে দিতে হবে।
অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, নদীতে চর ও অবৈধ জালসহ সঠিক ভাবে মাছ না ধর আজ এই অবস্থা। তবে শীত কমে গেলে পানি বৃদ্ধি হলে মাছ ধরা পড়বে। মেঘনা নদীতে মাছ ধরে প্রায় ৮ হাজার জেলে জীবিকা নির্বাহ করেন। এবার নদীতে জেলেদের জালে খুবই কম মাছ ধরা পড়ছে। এ জন্য জেলেদের খুব দুর্দিন যাচ্ছে। তাদের অনেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। কিন্তু সরকারিভাবে কোনও বরাদ্দ না আসায় তাদের সহযোগিতা করা সম্ভব হচ্ছে না।
অর্থ-বাণিজ্য: বাণিজ্যমেলা শুরু হবে ৩ জানুয়ারি
অর্থ-বাণিজ্য: ৩০ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দিয়েছেন
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: গ্লোবাল ব্লকচেইন ও এআই অলিম্পিয়াডে উজ্জ্বল বাংলাদেশের দলগুলো
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেস্ট উদ্বোধন