রেকর্ড মৃত্যু ছিল এপ্রিলে, শেষ এক সপ্তাহে কমেছে ১৬ শতাংশ
শুধু ফুটপাত বা সাধারণ বাজারেই নয়, বড় বড় মার্কেট শপিংমলে বিত্তবান ক্রেতারাও সচেতন নন, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত -সংবাদ
করোনায় গত দু’দিনে ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণও কমে আসছে। ১০ শতাংশের নিচে অবস্থান করছে শনাক্তের হার। গত এক সপ্তাহে শনাক্ত কমেছে ৩৩ শতাংশ এবং মৃত্যুও কমেছে ১৬ শতাংশের বেশি।
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয় গত মার্চের প্রথমদিকে। মার্চের শেষের দিকে পিকে (চূড়ায়) উঠে সংক্রমণ। গত ৭ এপ্রিল একদিনে সর্বোচ্চ সাত হাজার ৬২৬ জনের করোনা শনাক্তের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রেকর্ড শনাক্তের পর থেকে নিয়মিত কমে আসছে দৈনিক শনাক্তের হার ও সংখ্যা।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, কঠোর বিধিনিষেধ বা ‘লকডাউন’র কারণেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা না করলে, মাস্ক না পরলে- যেকোন সময় আবার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রোধে গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সর্বাত্মক ‘লকডাউন’ বা নাগরিকদের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ। এক সপ্তাহের ‘লকডাউন’ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২১ এপ্রিল। পরবর্তীতে শর্তসাপেক্ষে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দিয়ে ‘বিধিনিষেধ’র মেয়াদ বাড়ানো হয়। তা আগামী ৫ মে পর্যন্ত কার্যকর রোববার (২ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর এই সময়ে এক হাজার ৩৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন (১ মে) ৬০ জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ৪৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববারের শনাক্তসহ এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ৬১ হাজার ৯৪৩ জনে। আর মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ হাজার ৫৭৯ জনে। আর গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৬৫৭ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ছয় লাখ ৮৭ হাজার ৩২৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে করোনা শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে এবং মৃত্যুর সংখ্যায় ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
এপ্রিলে মৃত্যুর রেকর্ড
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের পর জুন, জুলাই ও আগস্টে পিকে উঠে সংক্রমণ। সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ে জুলাই মাসে রেকর্ড এক হাজার ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত এপ্রিলে মৃত্যু বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
চলতি বছরের মার্চের প্রথম দিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। এর পর খুব দ্রুততম সময়ে পিকে উঠে সংক্রমণ। মার্চের শেষের দিকে পিকে উঠে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পিকে ছিল সংক্রমণ। এপ্রিলেই দুই হাজার ৪০৪ জনের মৃত্যু হয় করোনায়।
শনাক্ত ও মৃত্যু হার কমেছে
শনিবার (১ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত চলতি বছরের ১৭তম এপিডেমিওলজিকাল সপ্তাহে (১৬তম সপ্তাহের তুলনায়) নমুনা পরীক্ষা কমেছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
১৭তম সপ্তাহে ১৮ হাজার ১৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২৭ হাজার ১৪৮ জন। এ হিসেবে এক সপ্তাহে শনাক্ত কমেছে ৩৩ দশমিক ০২ শতাংশ। ১৬তম সপ্তাহে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৬৬৯ জনের। আর ১৭তম সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ৫৫৮ জনের। এ হিসেবে এক সপ্তাহে মৃত্যু ১৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ কমেছে।
১৭তম সপ্তাহে সুস্থতার হার কিছুটা কমেছে। এই সপ্তাহে সুস্থ হয়েছে ৩১ হাজার ৫২০ জন। আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ৩৬৬ জন। এ হিসেবে এক সপ্তাহে সুস্থতা কমেছে ২৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার জানিয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪২০টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৯টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ২১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
গত একদিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ৪৪ জন এবং নারী ২৫ জন। এর মধ্যে ৪৮ জন সরকারি হাসপাতালে, ১৯ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১১ হাজার ৫৭৯ জনের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ৪৩৪ জন এবং নারী তিন হাজার ১৪৫ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে ৪৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, সাত জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, দুই জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, দুই জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর, একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।
রেকর্ড মৃত্যু ছিল এপ্রিলে, শেষ এক সপ্তাহে কমেছে ১৬ শতাংশ
শুধু ফুটপাত বা সাধারণ বাজারেই নয়, বড় বড় মার্কেট শপিংমলে বিত্তবান ক্রেতারাও সচেতন নন, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত -সংবাদ
রোববার, ০২ মে ২০২১
করোনায় গত দু’দিনে ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। সংক্রমণও কমে আসছে। ১০ শতাংশের নিচে অবস্থান করছে শনাক্তের হার। গত এক সপ্তাহে শনাক্ত কমেছে ৩৩ শতাংশ এবং মৃত্যুও কমেছে ১৬ শতাংশের বেশি।
দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয় গত মার্চের প্রথমদিকে। মার্চের শেষের দিকে পিকে (চূড়ায়) উঠে সংক্রমণ। গত ৭ এপ্রিল একদিনে সর্বোচ্চ সাত হাজার ৬২৬ জনের করোনা শনাক্তের তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রেকর্ড শনাক্তের পর থেকে নিয়মিত কমে আসছে দৈনিক শনাক্তের হার ও সংখ্যা।
জনস্বাস্থ্যবিদরা বলছেন, কঠোর বিধিনিষেধ বা ‘লকডাউন’র কারণেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা না করলে, মাস্ক না পরলে- যেকোন সময় আবার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ রোধে গত ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সর্বাত্মক ‘লকডাউন’ বা নাগরিকদের চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ। এক সপ্তাহের ‘লকডাউন’ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২১ এপ্রিল। পরবর্তীতে শর্তসাপেক্ষে শপিংমল ও দোকানপাট খুলে দিয়ে ‘বিধিনিষেধ’র মেয়াদ বাড়ানো হয়। তা আগামী ৫ মে পর্যন্ত কার্যকর রোববার (২ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর এই সময়ে এক হাজার ৩৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগের দিন (১ মে) ৬০ জনের মৃত্যু এবং এক হাজার ৪৫২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রোববারের শনাক্তসহ এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল সাত লাখ ৬১ হাজার ৯৪৩ জনে। আর মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ হাজার ৫৭৯ জনে। আর গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৬৫৭ জন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ছয় লাখ ৮৭ হাজার ৩২৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে করোনা শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে এবং মৃত্যুর সংখ্যায় ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
এপ্রিলে মৃত্যুর রেকর্ড
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের পর জুন, জুলাই ও আগস্টে পিকে উঠে সংক্রমণ। সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ে জুলাই মাসে রেকর্ড এক হাজার ২৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু গত বছরের জুলাইয়ের তুলনায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত এপ্রিলে মৃত্যু বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
চলতি বছরের মার্চের প্রথম দিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়। এর পর খুব দ্রুততম সময়ে পিকে উঠে সংক্রমণ। মার্চের শেষের দিকে পিকে উঠে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পিকে ছিল সংক্রমণ। এপ্রিলেই দুই হাজার ৪০৪ জনের মৃত্যু হয় করোনায়।
শনাক্ত ও মৃত্যু হার কমেছে
শনিবার (১ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত চলতি বছরের ১৭তম এপিডেমিওলজিকাল সপ্তাহে (১৬তম সপ্তাহের তুলনায়) নমুনা পরীক্ষা কমেছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
১৭তম সপ্তাহে ১৮ হাজার ১৮৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ২৭ হাজার ১৪৮ জন। এ হিসেবে এক সপ্তাহে শনাক্ত কমেছে ৩৩ দশমিক ০২ শতাংশ। ১৬তম সপ্তাহে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৬৬৯ জনের। আর ১৭তম সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ৫৫৮ জনের। এ হিসেবে এক সপ্তাহে মৃত্যু ১৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ কমেছে।
১৭তম সপ্তাহে সুস্থতার হার কিছুটা কমেছে। এই সপ্তাহে সুস্থ হয়েছে ৩১ হাজার ৫২০ জন। আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ৩৬৬ জন। এ হিসেবে এক সপ্তাহে সুস্থতা কমেছে ২৮ দশমিক ৯১ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১০ শতাংশের নিচে
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রোববার জানিয়েছে, সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ৪২০টি ল্যাবে ১৪ হাজার ৪২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৪ লাখ ৯৮ হাজার ৯৭৯টি।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৯ দশমিক ৬০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯০ দশমিক ২১ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫২ শতাংশ।
গত একদিনে মৃত্যু হওয়া লোকজনের মধ্যে পুরুষ ৪৪ জন এবং নারী ২৫ জন। এর মধ্যে ৪৮ জন সরকারি হাসপাতালে, ১৯ জন বেসরকারি হাসপাতালে এবং দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বাসায়। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১১ হাজার ৫৭৯ জনের মধ্যে পুরুষ আট হাজার ৪৩৪ জন এবং নারী তিন হাজার ১৪৫ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত একদিনে মারা যাওয়া লোকজনের মধ্যে ৪৪ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১১ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, সাত জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, দুই জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, দুই জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর, একজনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং একজনের বয়স ১০ বছরের কম ছিল।