ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সুমন মোল্লা নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত পৌনে ১টার দিকে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা ও গুপ্তচর নিয়োগ করে উপজেলার বেজিডাঙ্গা সেতু এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুমন মোল্লা আলফাডাঙ্গা উপজেলার জাটিগ্রামের বাসিন্দা।
ওই কিশোরী উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাটিগ্রামে তার মামাবাড়ি থেকে পড়ালেখা করে। গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে প্রতিদিনের মতো বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অভিযুক্ত সুমন তাকে ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগী বাড়ি গিয়ে পরিবারকে বিষয়টি খুলে বলে। এসময় তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় তাকে হাসপাতালের গাইনি বিভাগ থেকে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ওই কিশোরী বাড়িতে অবস্থান করছে। এছাড়া তিনি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ১ মে কিশোরীর মামা বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় সুমন মোল্লাকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পর থেকেই পালতক ছিলেন অভিযুক্ত সুমন মোল্লা।
এরপর এ ধর্ষণের ঘটনায় ফরিদপুরের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী মানতাবাদী সংগঠনের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে ফেসবুকে জনমত গড়ে তোলা হয়। ধর্ষণের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে পড়ে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ০৯ মে ২০২১
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সুমন মোল্লা নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত পৌনে ১টার দিকে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তা ও গুপ্তচর নিয়োগ করে উপজেলার বেজিডাঙ্গা সেতু এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সুমন মোল্লা আলফাডাঙ্গা উপজেলার জাটিগ্রামের বাসিন্দা।
ওই কিশোরী উপজেলার সদর ইউনিয়নের জাটিগ্রামে তার মামাবাড়ি থেকে পড়ালেখা করে। গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে প্রতিদিনের মতো বাড়ির পাশে একটি পুকুরে গোসল করতে গেলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অভিযুক্ত সুমন তাকে ধর্ষণ করে। পরে ভুক্তভোগী বাড়ি গিয়ে পরিবারকে বিষয়টি খুলে বলে। এসময় তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে পরিবারের লোকজন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ওই কিশোরীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল থাকায় তাকে হাসপাতালের গাইনি বিভাগ থেকে ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ওই কিশোরী বাড়িতে অবস্থান করছে। এছাড়া তিনি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ ঘটনায় গত ১ মে কিশোরীর মামা বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় সুমন মোল্লাকে একমাত্র আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলার পর থেকেই পালতক ছিলেন অভিযুক্ত সুমন মোল্লা।
এরপর এ ধর্ষণের ঘটনায় ফরিদপুরের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী মানতাবাদী সংগঠনের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে ফেসবুকে জনমত গড়ে তোলা হয়। ধর্ষণের গ্রেপ্তারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে পড়ে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।