alt

অভয়াশ্রমের অতিথিরা ভালোবাসা পেয়ে ফিরে যায়নি নিজ দেশে

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী : রোববার, ১৩ জুন ২০২১

প্রতিবছর শীত মৌসুম আসলেই বিভিন্ন বড় পুকুর, বিল ও জলাশয়গুলোতে নানা রংঙের অতিথি পাখি দেখা যায়। তবে কয়েকটি জাতের অতিথি পাখি স্থায়ীভাবে বসবাস করছে রাজশাহীর পুঠিয়া-শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের পচামাড়িয়া গ্রামে। আর ওই পাখিদের নিরাপদে রাখতে পুরো গ্রামটি অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। আর ওই পাখিদের রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছেন একাধিক স্বেচ্ছাসেবী কমিটি।

উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমী রহমান বলেন, উপজেলার মধ্যে শিলমাড়িয়া ইউপি এলাকার অনেক বিলে দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা থাকে। যার কারণে এই বিলগুলোতে বিভিন্ন রঙবেঙয়ের অতিথি পাখির আগমন ঘটে। এর মধ্যে শামুককৌড়, বুনো হাঁস, ছোট সারস, বড় সারস পাখি, চামুচমুখ, পাখিদের মধ্যে রয়েছে ধূসর ও গোলাপি রাজহাঁস, বালি হাঁস, লেঞ্জা, চিতি, সরালি রয়েছে। এছাড়া শীত মৌসুমে বিলুপ্তপ্রায় উদয়ী গয়ার ও প্যালাস ফিস ঈগল (বুলুয়া) জাতের পাখিদের দেখা মেলে।

শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন, গত কয়েক দশক থেকে এই ইউনিয়ন এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি রয়েছে। তবে প্রতিবছর শীত মৌসুমের শুরু থেকে পাখি আগমনের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তবে পচামাড়িয়া পুরো গ্রামজুড়ে পাখিদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। পরিষদের পিছনে বাগানগুলোতে অতিথি পাখিদের নিরাপদে বসবাসের জন্য ওই এলাকা নির্ধারিত। সে লক্ষ্যে গত ২০০৪ সালে পচামাড়িয়ার ১ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাখিদের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়।

আর পাখিপ্রেমী ও দশনার্থীদের জন্য ইউপি ভবনের পাশেই একটি আধুনিক মানের ওয়াচ টাওায়ার নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অতিথি পাখিদের সুরক্ষার জন্য ২০০৫ সালে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ‘পাখি সুরক্ষা’ কমিটির লোকজন সব সময় দেখভাল করছেন। সেই সঙ্গে শিকারিদের হাত থেকে অতিথি পাখিগুলো রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে মাঝে মধ্যে দুই একটি বহিরাগত শিকারি অতিথি পাখি শিকার করার চেষ্টা করেন। তবে কমিটির লোকজন তাদের আইনের আওতায়ও আনছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, পচামাড়িয়া এলাকা পাখিদের জন্য একটি অভয়াশ্রম রয়েছে। সেই সঙ্গে উপজেলার সর্বত্রই পাখিদের রক্ষায় স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন কাজ করছেন। তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী, পরিযায়ী বা অতিথি পাখি হত্যার দায়ে একজন শিকারিকে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদ- বা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। একইভাবে কোন ব্যক্তি যদি পরিযায়ী পাখির মাংস, দেহের অংশ সংগ্রহ করেন, দখলে রাখেন কিংবা ক্রয়-বিক্রয় করেন বা পরিবহন করেন, সেক্ষেত্রে তার সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার আইন প্রচলিত রয়েছে।

এছাড়া পোষা পাখি লালন-পালন, খামার স্থাপন, কেনাবেচা ও আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্স না নিলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদ- বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু বলেন, প্রতিবছর শীত মৌসুম আসলেই উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন প্রকার অতিথি পাখির আগমন ঘটে। তবে শিলমাড়িয়া এলাকায় দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা থাকায় সেখানে বছরের বেশিরভাগ সময় অতিথি পাখিগুলো অবস্থান করেন। এর মধ্যে শামুককৌড়, বুনো হাঁস ও সারসসহ কয়েকটি জাতের পাখি স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। সেই সঙ্গে ওই পাখিগুলো ডিম ও বাচ্চা দিচ্ছে।

পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্স আতঙ্ক, উপসর্গ নিয়ে দু’জনের মৃত্যু

ছবি

পটুয়াখালীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু, আহত ১

ছবি

টাঙ্গাইলের মগড়ায় বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

ভাঙ্গার কুমার নদে কিশোর-তরুণদের অস্ত্র প্রদর্শনের মহড়া

ছবি

জয়পুরহাটে ৭ ছাত্রদল নেতাকে বহিষ্কার

ছবি

কালীগঞ্জে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

ছবি

কুড়িগ্রামে কৃষক সংলাপ অনুষ্ঠিত

ছবি

রংপুর বিভাগের গুণী প্রধান শিক্ষক উলিপুরের মাহবুবার রহমান

ছবি

কোটি টাকার স্বর্ণবারসহ পাচারকারী আটক

ছবি

থানচিতে নির্মাণের দুই বছরেই সড়ক মৃত্যুফাঁদ!

ছবি

খুড়ে রাখা সড়কে হাঁটু পানি ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ

ছবি

রুমায় সরকারি জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

ছবি

রায়গঞ্জে পাখির তাড়াতে ধান খেতে নেট ব্যবহার

ছবি

কুষ্টিয়ায় দুর্গাপূজায় বেড়েছে ২২টি পূজা মন্ডপ

ছবি

যশোরের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক শার্শার খাদিজা খাতুন

ছবি

রিয়াদ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

পার্বতীপুর-রাজশাহী রুটে ২২ মাস ধরে বন্ধ উত্তরা এ´প্রেস ট্রেন

ছবি

সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১

ছবি

বরুড়ায় আখের ভাল ফলনে চাষী ও বিক্রেতা উভয়েই খুশি

ছবি

মোল্লাহাটে গৃহবধূর আত্মহত্যা

ছবি

জাল সনদে ১২ বছর চাকরি, বেরোবির ইরিনা নাহার বরখাস্ত

ছবি

৫০ হাজার শিশুরা পাচ্ছেন বিনামূল্যে টাইফয়েড প্রতিরোধ টিকা

ছবি

ধ্বংসের পথে শরৎচন্দ্রের স্মৃতিবিজড়িত কাশিপুর জমিদার বাড়ি

ছবি

দুমকিতে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো ভোগান্তিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা

ছবি

দশমিনায় মাচায় লাউ আবাদ বাড়ছে

ছবি

মোরেলগঞ্জে সরকারি ভাতা বঞ্চিত হানিফের সংসার চলে বিলের শাপলায়

ছবি

চট্টগ্রামে ব্যাংক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা

ছবি

মহাদেবপুরে শিক্ষার্থীদের মাঝে চারা বিতরণ

ছবি

আলোচনা সভায় বক্তারা রোহিঙ্গা সংকটকে বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবে দেখা উচিত

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় ছাদ থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

ছবি

চাঁদপুর শহরের খেলার মাঠসমূহ খেলাধুলার উপযোগী করার দাবি

ছবি

সস কারখানার মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা

ছবি

পূর্বাচল এলাকায় পরিবহনে হিজড়াদের চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ১২

ছবি

আমার জীবন আমার স্বপ্ন উদযাপন

ছবি

১০ টাকা কেজি ইলিশ বিক্রি, জনতার চাপে পালালেন সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী

ছবি

লড়াই ষাঁড়ের আঘাতে প্রাণ গেল যুবকের

tab

অভয়াশ্রমের অতিথিরা ভালোবাসা পেয়ে ফিরে যায়নি নিজ দেশে

জেলা বার্তা পরিবেশক, রাজশাহী

রোববার, ১৩ জুন ২০২১

প্রতিবছর শীত মৌসুম আসলেই বিভিন্ন বড় পুকুর, বিল ও জলাশয়গুলোতে নানা রংঙের অতিথি পাখি দেখা যায়। তবে কয়েকটি জাতের অতিথি পাখি স্থায়ীভাবে বসবাস করছে রাজশাহীর পুঠিয়া-শিলমাড়িয়া ইউনিয়নের পচামাড়িয়া গ্রামে। আর ওই পাখিদের নিরাপদে রাখতে পুরো গ্রামটি অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়েছে। আর ওই পাখিদের রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছেন একাধিক স্বেচ্ছাসেবী কমিটি।

উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমী রহমান বলেন, উপজেলার মধ্যে শিলমাড়িয়া ইউপি এলাকার অনেক বিলে দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা থাকে। যার কারণে এই বিলগুলোতে বিভিন্ন রঙবেঙয়ের অতিথি পাখির আগমন ঘটে। এর মধ্যে শামুককৌড়, বুনো হাঁস, ছোট সারস, বড় সারস পাখি, চামুচমুখ, পাখিদের মধ্যে রয়েছে ধূসর ও গোলাপি রাজহাঁস, বালি হাঁস, লেঞ্জা, চিতি, সরালি রয়েছে। এছাড়া শীত মৌসুমে বিলুপ্তপ্রায় উদয়ী গয়ার ও প্যালাস ফিস ঈগল (বুলুয়া) জাতের পাখিদের দেখা মেলে।

শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন মুকুল বলেন, গত কয়েক দশক থেকে এই ইউনিয়ন এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি রয়েছে। তবে প্রতিবছর শীত মৌসুমের শুরু থেকে পাখি আগমনের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তবে পচামাড়িয়া পুরো গ্রামজুড়ে পাখিদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। পরিষদের পিছনে বাগানগুলোতে অতিথি পাখিদের নিরাপদে বসবাসের জন্য ওই এলাকা নির্ধারিত। সে লক্ষ্যে গত ২০০৪ সালে পচামাড়িয়ার ১ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাখিদের অভয়াশ্রম ঘোষণা করা হয়।

আর পাখিপ্রেমী ও দশনার্থীদের জন্য ইউপি ভবনের পাশেই একটি আধুনিক মানের ওয়াচ টাওায়ার নির্মাণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অতিথি পাখিদের সুরক্ষার জন্য ২০০৫ সালে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ‘পাখি সুরক্ষা’ কমিটির লোকজন সব সময় দেখভাল করছেন। সেই সঙ্গে শিকারিদের হাত থেকে অতিথি পাখিগুলো রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে মাঝে মধ্যে দুই একটি বহিরাগত শিকারি অতিথি পাখি শিকার করার চেষ্টা করেন। তবে কমিটির লোকজন তাদের আইনের আওতায়ও আনছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, পচামাড়িয়া এলাকা পাখিদের জন্য একটি অভয়াশ্রম রয়েছে। সেই সঙ্গে উপজেলার সর্বত্রই পাখিদের রক্ষায় স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন কাজ করছেন। তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ অনুযায়ী, পরিযায়ী বা অতিথি পাখি হত্যার দায়ে একজন শিকারিকে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদ- বা সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। একইভাবে কোন ব্যক্তি যদি পরিযায়ী পাখির মাংস, দেহের অংশ সংগ্রহ করেন, দখলে রাখেন কিংবা ক্রয়-বিক্রয় করেন বা পরিবহন করেন, সেক্ষেত্রে তার সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার আইন প্রচলিত রয়েছে।

এছাড়া পোষা পাখি লালন-পালন, খামার স্থাপন, কেনাবেচা ও আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে লাইসেন্স নিতে হবে। লাইসেন্স না নিলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদ- বা সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম হীরা বাচ্চু বলেন, প্রতিবছর শীত মৌসুম আসলেই উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন প্রকার অতিথি পাখির আগমন ঘটে। তবে শিলমাড়িয়া এলাকায় দীর্ঘমেয়াদি জলাবদ্ধতা থাকায় সেখানে বছরের বেশিরভাগ সময় অতিথি পাখিগুলো অবস্থান করেন। এর মধ্যে শামুককৌড়, বুনো হাঁস ও সারসসহ কয়েকটি জাতের পাখি স্থায়ীভাবে বসবাস করছে। সেই সঙ্গে ওই পাখিগুলো ডিম ও বাচ্চা দিচ্ছে।

back to top