alt

হুমকির মুখে ভীত কুমুদিনীর শ্রমিকরা ছাড়ছেন বাসস্থান

সৌরভ হোসেন সিয়াম, নারায়ণগঞ্জ : রোববার, ১৩ জুন ২০২১

ঘরে সামনে দাঁড়িয়ে আছে ভ্যানগাড়ি। তাতে মালামাল তুলছেন শামীম। তার বোন আসমা কুমুদিনী বাগান ছেড়ে যাচ্ছেন। তল্লার সরদারপাড়া এলাকায় মাসে ৪ হাজার টাকায় এক কক্ষের একটি ঘর ভাড়া করেছেন। নতুন বাসস্থানে ঘরের আসবাবপত্র নেওয়া হচ্ছে। বোনকে সহযোগিতা করছেন শামীম। শুধু আসমা নন শহরের খানপুর এলাকার উত্তর কুমুদিনী ছেড়ে যাচ্ছেন অনেকেই। জানতে চাইলে একজন বললেন, ‘আতঙ্কে ঘর ছাড়তেছি, আনন্দে না।’

কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের বেঙ্গল বিডি লিমিটেড পাট কারখানার আড়াইশ’ শ্রমিক পরিবার বাস করেন উত্তর কুমুদিনী বাগানে। আরও একশ’ বিহারি পরিবারও থাকে এই বাগানে। নারায়ণগঞ্জে কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স এন্ড ক্যান্সার রিসার্চ (কেআইআইএমএস কেয়ার) স্থাপন করা হবে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের আওতাধীন ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণের জন্য ঈশা খাঁ সড়কের নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের পাশের উত্তর কুমুদিনী বাগানের জায়গা নেওয়া হবে। এজন্য এই বাগানে বসবাসরত শ্রমিকদের ঘর ছাড়তে হবে। তবে শ্রমিকদের দাবি ছিল, দীর্ঘদিন জুট প্রেসে (পাট কারখানা) কাজ করা শ্রমিকদের শ্রম আইন অনুযায়ী পাওনাদি পরিশোধের। অন্যথায় পুনর্বাসন দাবি করেছিলেন তারা।

শ্রমিকদের দাবি থাকলেও মালিকপক্ষ তা দিতে নারাজ। গত ৮ জুন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে ঘর ছেড়ে দিলে মালামাল আনা-নেওয়া বাবদ ৩ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই শর্তে ঘর ছেড়ে দিতে হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছিল আন্দোলনরত শ্রমিকরা। শ্রমিকদের অভিযোগ, প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর থেকে তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ঘর ছেড়ে না দিলে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হবে। গত ১২ জুন আন্দোলনরত শ্রমিকরা ‘ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ বন্ধের পায়তারা করছে’- এমন অভিযোগ তুলে মানববন্ধনও করা হয়। নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের ব্যানারে এই মানববন্ধনে অংশ নেয় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় তিন হাজার নেতা-কর্মী। মানববন্ধন থেকে আন্দোলনরত শ্রমিকদের হুশিয়ার করা হয়।

মানববন্ধনের পরদিন রোববার (১৩ জুন) উত্তর কুমুদিনী বাগানে দেখা গেল, শ্রমিক পরিবারগুলো বাসা ছেড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মালামাল স্থানান্তর করতে। বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত দুইদিনে অন্তত ২০ পরিবার তাদের মালামাল অন্যত্র স্থানান্তর করেছেন। বাকিরাও ভাড়া বাসা খুঁজছেন। তবে মাসের মাঝামাঝি অবস্থায় হওয়ার কারণে অনেকেই কাক্সিক্ষত ভাড়ায় বাসা পাচ্ছেন না।

বাগানের বাসিন্দারা জানান, সকালে কারখানার কর্মকর্তারা আসেন একটা ঘর ভাঙতে। তবে সেই ঘর ভাঙলে পাশের আরও কয়েকটি ঘর ভেঙে পড়ে যাবে। ওই ঘরের বাসিন্দারা কয়েকদিন সময় চান ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার। তবে তাতে নারাজ ছিলেন কারখানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে ওই ঘরগুলোর বাসিন্দারা বাধা দিলে পুলিশের উপস্থিতিতে চালের দু’টো টিন খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ওই সময় বাগানে উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শক মোস্তাফিজুর বলেন, ‘এমনিতেই বাগানে গেছিলাম। তেমন কোনো কারণ নাই।’ এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এদিকে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে মানববন্ধনে দেওয়া বক্তব্য এবং বাগানে বহিরাগতদের মহড়া দেখে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ভীত শ্রমিকরা। ‘শ্রম আইন অনুযায়ী প্রাপ্য পাওনা পরিশোধ না করে বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না’ এই দাবিতে বাগানের বাসিন্দাদের আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিলেন মো. জুয়েল। তার পূর্বপুরুষরা কুমুদিনীর পাট কারখানায় কাজ করেছেন। একরকম ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ঘরেই পরিবার-পরিজন নিয়ে কুমুদিনী বাগানেই থাকতেন তিনি। নিজেও কুমুদিনীর শ্রমিক। তবে তিনি গণমাধ্যমে আর কিছু বলতে রাজি হননি। জুয়েল বলেন, ‘এতকিছুর পর আর কথা বলার সাহস নাই। আজ মিডিয়ায় কথা বললে কাল আমার লাশও পাইতে পারেন। আমরা গরীব, আমাগো আল্লাহ ছাড়া কেউ নাই। আমরা তো হাসপাতালের বিপক্ষে ছিলাম না। কেবল নিজেদের পাওনা পাওয়ার আশায় রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক ও উত্তর কুমুদিনী বাগানের বাসিন্দা বলেন, ‘এই কয়দিন তো ভয়ে ভয়ে ন্যায্য পাওনার দাবিতে আন্দোলন করছি। কিন্তু মানববন্ধনে তো সরাসরি আমাগো হুমকি দেওয়া হইছে। রাস্তায় আবার নামলে বাহিনী দিয়া পিটাইয়া মাইরা ফেলবো বলতেছে। সবাই যাইবো গা। পাওনার দরকার নাই। জীবন বাঁচলে রাস্তায়ও থাকোন যাইবো। তয় আল্লায় দেখলো সব।’

নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর করুণ মৃত্যু,

ছবি

ঠিকাদারদের তোপের মুখে পালালেন ঠাকুরগাঁও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী

ছবি

বিরামপুরে ফের শিক্ষক নির্যাতন

ছবি

সালমান শাহর মৃত্যু: ২৯ বছর পর হত্যা মামলা রজুর নির্দেশ

ছবি

স্বাস্থ্য ও গণপূর্ত দপ্তরের সমন্বয়হীনতার দোলাচলে খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল

ছবি

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের সভা স্থগিতে ৩৩ নাগরিকের উদ্বেগ

ছবি

তিন দফা দাবিতে এবার অনশন শিক্ষকদের

ছবি

লৌহজংয়ে মসজিদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় মুসল্লির ওপর হামলা

ছবি

হাটহাজারীর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

ছবি

হেমন্তের শুরুতে উত্তরাঞ্চলে শীতের আমেজ

ছবি

মহিলা দলের দু’পক্ষের সংঘর্ষ সৈয়দপুর জেলা মহিলা দলের কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত

ছবি

বাড়ির সামনের ডোবা থেকে বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার

ছবি

জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন কাজে সাফল্যের পুরস্কার পেলেন মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা

ছবি

নৌকার গ্রাম চুনাখালী বছরে কোটি টাকার নৌকা বিক্রি

ছবি

উলিপুরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ভাইকে বাঁচাতে ছয় বোনের ভিক্ষাবৃত্তি

ছবি

সাপাহারে হিজড়া জনগোষ্ঠীর জন্য মাদরাসা

ছবি

ভালুকায় সংরক্ষিত বনের গাছসহ পিকআপ জব্দ

ছবি

মৌমিতাকে হারিয়ে বাবার নীরব কান্না

ছবি

গজারিয়া মহাসড়কে অঘোষিত ময়লার ভাগাড়, পরিবেশ দূষণ

ছবি

মহেশপুরে কিশোরীদের সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ

ছবি

টাঙ্গাইলের সখীপুরে নড়বড়ে কাঠের সাঁকোতে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

ছবি

রামগতিতে আগুনে ১০ দোকান পুড়ে ছাই

ছবি

শেরপুরে পোস্ট অফিস থেকে জাল টাকা সরবরাহে দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার

ছবি

কুড়িগ্রামের সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুর মৃত্যু

ছবি

টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট

ছবি

হবিগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ অর্ধশতাধিক আহত

ছবি

রায়গঞ্জে চোর সন্দেহে নির্যাতন, এক জনের মৃত্যু

ছবি

ফাঁকা আলমারিই এখন বিলকিসের ভরসা

ছবি

রাকাব কর্তৃক গ্রাহক সেবা পক্ষ উদ্বোধন

ছবি

তেঁতুলিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ২

ছবি

রাজশাহীতে বিজিবির অভিযানে কারেন্ট জাল জব্দ

ছবি

পূর্বধলার ঘাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান রানা গ্রেপ্তার

ছবি

সিরাজগঞ্জে বাসের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

ছবি

বটিয়াঘাটায় আবারও লোডসেডিং শুরু

ছবি

‘বিএনপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে না’

ছবি

সওজর মাস্টাররোল কর্মচারীদের মানববন্ধন

tab

হুমকির মুখে ভীত কুমুদিনীর শ্রমিকরা ছাড়ছেন বাসস্থান

সৌরভ হোসেন সিয়াম, নারায়ণগঞ্জ

রোববার, ১৩ জুন ২০২১

ঘরে সামনে দাঁড়িয়ে আছে ভ্যানগাড়ি। তাতে মালামাল তুলছেন শামীম। তার বোন আসমা কুমুদিনী বাগান ছেড়ে যাচ্ছেন। তল্লার সরদারপাড়া এলাকায় মাসে ৪ হাজার টাকায় এক কক্ষের একটি ঘর ভাড়া করেছেন। নতুন বাসস্থানে ঘরের আসবাবপত্র নেওয়া হচ্ছে। বোনকে সহযোগিতা করছেন শামীম। শুধু আসমা নন শহরের খানপুর এলাকার উত্তর কুমুদিনী ছেড়ে যাচ্ছেন অনেকেই। জানতে চাইলে একজন বললেন, ‘আতঙ্কে ঘর ছাড়তেছি, আনন্দে না।’

কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের বেঙ্গল বিডি লিমিটেড পাট কারখানার আড়াইশ’ শ্রমিক পরিবার বাস করেন উত্তর কুমুদিনী বাগানে। আরও একশ’ বিহারি পরিবারও থাকে এই বাগানে। নারায়ণগঞ্জে কুমুদিনী ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্স এন্ড ক্যান্সার রিসার্চ (কেআইআইএমএস কেয়ার) স্থাপন করা হবে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের আওতাধীন ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণের জন্য ঈশা খাঁ সড়কের নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালের পাশের উত্তর কুমুদিনী বাগানের জায়গা নেওয়া হবে। এজন্য এই বাগানে বসবাসরত শ্রমিকদের ঘর ছাড়তে হবে। তবে শ্রমিকদের দাবি ছিল, দীর্ঘদিন জুট প্রেসে (পাট কারখানা) কাজ করা শ্রমিকদের শ্রম আইন অনুযায়ী পাওনাদি পরিশোধের। অন্যথায় পুনর্বাসন দাবি করেছিলেন তারা।

শ্রমিকদের দাবি থাকলেও মালিকপক্ষ তা দিতে নারাজ। গত ৮ জুন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাংসদ একেএম সেলিম ওসমানের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে ঘর ছেড়ে দিলে মালামাল আনা-নেওয়া বাবদ ৩ হাজার টাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত হয়। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এই শর্তে ঘর ছেড়ে দিতে হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছিল আন্দোলনরত শ্রমিকরা। শ্রমিকদের অভিযোগ, প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর থেকে তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ঘর ছেড়ে না দিলে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হবে। গত ১২ জুন আন্দোলনরত শ্রমিকরা ‘ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ বন্ধের পায়তারা করছে’- এমন অভিযোগ তুলে মানববন্ধনও করা হয়। নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের ব্যানারে এই মানববন্ধনে অংশ নেয় বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের প্রায় তিন হাজার নেতা-কর্মী। মানববন্ধন থেকে আন্দোলনরত শ্রমিকদের হুশিয়ার করা হয়।

মানববন্ধনের পরদিন রোববার (১৩ জুন) উত্তর কুমুদিনী বাগানে দেখা গেল, শ্রমিক পরিবারগুলো বাসা ছেড়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে মালামাল স্থানান্তর করতে। বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত দুইদিনে অন্তত ২০ পরিবার তাদের মালামাল অন্যত্র স্থানান্তর করেছেন। বাকিরাও ভাড়া বাসা খুঁজছেন। তবে মাসের মাঝামাঝি অবস্থায় হওয়ার কারণে অনেকেই কাক্সিক্ষত ভাড়ায় বাসা পাচ্ছেন না।

বাগানের বাসিন্দারা জানান, সকালে কারখানার কর্মকর্তারা আসেন একটা ঘর ভাঙতে। তবে সেই ঘর ভাঙলে পাশের আরও কয়েকটি ঘর ভেঙে পড়ে যাবে। ওই ঘরের বাসিন্দারা কয়েকদিন সময় চান ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার। তবে তাতে নারাজ ছিলেন কারখানার উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে ওই ঘরগুলোর বাসিন্দারা বাধা দিলে পুলিশের উপস্থিতিতে চালের দু’টো টিন খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ওই সময় বাগানে উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শক মোস্তাফিজুর বলেন, ‘এমনিতেই বাগানে গেছিলাম। তেমন কোনো কারণ নাই।’ এই বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

এদিকে হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে মানববন্ধনে দেওয়া বক্তব্য এবং বাগানে বহিরাগতদের মহড়া দেখে আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন ভীত শ্রমিকরা। ‘শ্রম আইন অনুযায়ী প্রাপ্য পাওনা পরিশোধ না করে বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না’ এই দাবিতে বাগানের বাসিন্দাদের আন্দোলনে অগ্রভাগে ছিলেন মো. জুয়েল। তার পূর্বপুরুষরা কুমুদিনীর পাট কারখানায় কাজ করেছেন। একরকম ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া ঘরেই পরিবার-পরিজন নিয়ে কুমুদিনী বাগানেই থাকতেন তিনি। নিজেও কুমুদিনীর শ্রমিক। তবে তিনি গণমাধ্যমে আর কিছু বলতে রাজি হননি। জুয়েল বলেন, ‘এতকিছুর পর আর কথা বলার সাহস নাই। আজ মিডিয়ায় কথা বললে কাল আমার লাশও পাইতে পারেন। আমরা গরীব, আমাগো আল্লাহ ছাড়া কেউ নাই। আমরা তো হাসপাতালের বিপক্ষে ছিলাম না। কেবল নিজেদের পাওনা পাওয়ার আশায় রাস্তায় দাঁড়িয়েছিলাম।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শ্রমিক ও উত্তর কুমুদিনী বাগানের বাসিন্দা বলেন, ‘এই কয়দিন তো ভয়ে ভয়ে ন্যায্য পাওনার দাবিতে আন্দোলন করছি। কিন্তু মানববন্ধনে তো সরাসরি আমাগো হুমকি দেওয়া হইছে। রাস্তায় আবার নামলে বাহিনী দিয়া পিটাইয়া মাইরা ফেলবো বলতেছে। সবাই যাইবো গা। পাওনার দরকার নাই। জীবন বাঁচলে রাস্তায়ও থাকোন যাইবো। তয় আল্লায় দেখলো সব।’

back to top