লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের পরিবেশনায় ঢাকার স্থাণীয় একটি হোটেলে গতকাল ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হলো ১ম বাংলাদেশ ফিনটেক অ্যাওয়ার্ড, যার পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল উপায় এবং সহযোগিতায় ছিল দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। এতে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৬টি অর্থ প্রযুক্তি উদ্ভাবনকে বিজয়ী এবং অনারেবল মেনশন এই দুই বিভাগে ১১ ক্যাটাগরিতে সম্মাননা দেয়া হয়। বাংলাদেশ ফিনটেক ফোরামের উদ্যোগে এবং বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে পুরস্কার প্রদান করেন আইসিটি বিভাগের এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান এম. হুমায়ুন কবির; ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) এর পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল মোমেন; বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ডক্টর মুহাম্মদ আবদুল মঈন এবং ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর উপাচার্য প্রফেসর ইমরান রহমান।

বাংলাদেশ ফিনটেক ফোরাম ও বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা শরিফুল ইসলাম তাঁর স্বাগত বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তন বা উদ্ভাবন সম্পর্কে যে কথাই বলি না কেন আর্থিক উদ্ভাবনগুলোকে পুরো সমীকরণের কেন্দ্রে থাকতে হবে। ফিনটেক সামিটে, আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল নতুন এবং আরও ভালো অর্থ প্রযুক্তির সমাধান খুঁজে বের করা যা সকল শ্রেণীর লোকেদর সেবা করে।”

লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খাজা শাহরিয়ার তাঁর বক্তব্যে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বাংলাদেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি দেখেছি কিন্তু এখনও ৫০% মানুষ আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় নেই এবং ফিনটেক আমাদের মতো দেশে সেই ব্যবধান পূরণ করতে পারে।

উপায় এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল এইচ খন্দকার বলেন, “ফিনটেক আর্থিক বাস্তুতন্ত্রের পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে। নির্বিঘœ আর্থিক প্রযুক্তির সুবিধা পেতে, আমাদের অবশ্যই সেরা কাজগুলো শিখতে হবে এবং গ্রহণ করতে হবে।

বাংলাদেশ ফিনটেক সামিট ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয় গত ২৬ ও ২৭ নভেম্বর। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট ৪০০ এরও অধিক পেশাদার সামিটে অংশগ্রহন করে। সম্মেলনের থিম ছিল ‘বাংলাদেশের মানুষের জন্য ফিন্যান্সের ভবিষ্যত সম্ভাবনা তৈরি করা’। সামিটে ৪টি কিনোট সেশন, ৪টি ইনসাইট সেশন, ৩টি প্যানেল আলোচনা এবং ২টি কেস স্টাডি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সামিটের আন্তর্জাতিক বক্তারা হলেন বিজয় মণি, পার্টনার, ডেলয়েট ইন্ডিয়া; টিম নিকোল, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, প্রিমাডলার; নারায়ণন বৈদ্যনাথন, হেড অফ বিজনেস ইনসাইটস, অ্যাসোসিয়েশন অফ চার্টার্ড সার্টিফাইড অ্যাকাউন্ট্যান্টস (এসিসিএ) এবং ক্রিস্টফ ডি স্পিগেলার, প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও, থ্রিফোল্ড অ্যান্ড ফ্রিফ্লো ট্রাইব।

সামিটের অন্যান্য বক্তারা হলেন, ড. দেওয়ান এম. হুমায়ুন কবির, প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব), এটুআই প্রোগ্রাম, আইসিটি বিভাগ; সুচিন্তন চ্যাটার্জি, পার্টনার, ডেলয়েট ইন্ডিয়া; আলী রেজা ইফতেখার, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড; মোঃ আরফান আলী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড; মোঃ আশরাফুল আলম, মহাব্যবস্থাপক, বাংলাদেশ ব্যাংক; রাহেল আহমেদ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, নগদ; সামিরা জুবেরি হিমিকা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, গিগা টেক লিমিটেড; মুনা ফরিদ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, হ্যাচ কন্সালটেন্সি, দুবাই; নূর এলাহী, কান্ট্র্রি ম্যানেজার বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন; প্রফেসর ইমরান রহমান, ভাইস চ্যান্সেলর, ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব); আনির চৌধুরী, পলিসি অ্যাডভাইজার, এটুআই প্রোগ্রাম; সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, মিউটাল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড; কামাল কাদির, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিকাশ লিমিটেড এবং নাজিম সাত্তার, জেনারেল ম্যানেজার, এসএমই ফাউন্ডেশন; হাবিবুল্লাহ এন করিম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টেকনোহেভেন কোম্পানি লিমিটেড; খন্দকার সাফাত রেজা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরিচালক, লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড; সাক্শি চাডহা, ডিজিটাল এক্সপার্ট বাংলাদেশ, ইউনাইটেড নেশনস ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট ফান্ড, ঢাকা, বাংলাদেশ এবং নাজিয়া আন্দালিব প্রিমা, পরিচালক ও ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটির সহযোগিতায় আরও ছিল নগদ, গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন। হসপিটালিটি পার্টনার- শেরাটন ঢাকা; ইনোভেশন পার্টনার- বাংলাদেশ ইনোভেশন কনক্লেভ, টেকনোলজি পার্টনার- আমরা টেকনোলজিস এবং পিআর পার্টনার- ব্যাকপেজ পিআর।