alt

বাঁকি ৫ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা

প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া: : বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায়ে সন্তষ্ট তার পরিবার। বাঁকি পাঁচ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা রোকেয়া খাতুন। কুষ্টিয়া পিটিআই রোডের বাসায় রায় ঘোষনার পর মা রোকেয়া খাতুন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, হত্যায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল অমিত সাহ। আমি তার ফাঁসি চাই।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। মামলার ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে যে পাঁচ জনের যাবজ্জীবন দন্ড হয়েছে তাদেরও ফাঁসি চান আবরারের মা।

শহরের পিটিআই রোডের বাসায় রায় ঘোষণার খবর টিভিতে দেখে ও ঢাকা থেকে আবরারের বাবার বরকত উল্লাহর কাছ থেকে মোবাইল ফোনে রায় ঘোষণার খবর পেয়ে মা রোকেয়া খাতুন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,‘আবরার আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝত না। আমার ছেলেকে ওরা কীভাবে পিটিয়ে মারলো। ওরা এত ব্যাথা দিয়ে কষ্ট দিয়ে মারল ছেলেটাকে। বেটার মৃত্যুর পর আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলেছি, তুমি এই হত্যার বিচার কর।

বেলা ১১টার পর থেকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কে আবরার ফাহাদের বাড়িতে বিভিন্ন গনমাধ্যমের কর্মীরা ভিড় করতে থাকেন। তখন বাড়িতে ছিলেন না আবরারের মা রোকেয়া খাতুন ও ছোট ছেলে আবরার ফাইয়াজ। ছেলেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন মা। ফাইয়াজ এবার এইচ এস সি পরীক্ষা দিচ্ছেন। বেলা সাড়ে ১১টায় বাড়ি ফেরেন মা।

তিনি আরো বলেন, ২০ জনের ফাঁসির রায়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে, অমিত সাহা যে সব সময় নির্দেশ দিয়েছে আরও পিটাও। তার কেন ফাঁসি হলো না? রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। যেদিন রায় কার্যকর হবে সেদিনই মনে করব, আমার ছেলের বিচার হলো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, অমিত সাহারও ফাঁসি চাই। তিনি বলেন, করোনাসহ নানা কারণে রায় অনেক পিছিয়ে গেছে। এখন যেন স্বল্প সময়ে কার্যকর হয়।

কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আবরার ফাহাদের ভাই আবরায় ফাইয়াজ বলেন, অমিত সাহা ফোনে বলেছিল আরও দুই ঘন্টা পেটানো যাবে। সে উপস্থিত না থাকলেও নির্দেশদাতা ছিল। আমরা তারও ফাঁসির রায় হবে এমনটি চেয়েছিলাম। তবে, ২০ জনের ফাঁসির রায় হয়েছে আমরা সন্তুষ্ট। পুরো রায় দেখে পর্যালোচনা করে আমরা আমাদের বক্তব্য জানাবো।

রায় ঘোষণার আগে থেকেই বাসায় উদ্বিগ্ন ছিলেন আবরারের মা-ভাই। গ্রামের বাড়ী থেকে এসেছেন আত্মীয়-স্বজনেরা। ছিলেন অনেক সংবাদকর্মী।

ছবি

এমপিওর দাবিতে টানা চতুর্দশ দিন শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি পালন

নীলফামারীতে খেলতে গিয়ে পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

বরিশাল জেলায় শতভাগ টাইফয়েডের টিকা দেয়া হয়েছে

প্রতিবন্ধীদের মাঝে আর্থিক অনুদান বিতরণ

ছবি

মাতামুহুরী নদীতে পলি ভরায় ৬০ হাজার একর জমিতে সেচ সুবিধার অনিশ্চয়তা

ছবি

পিরোজপুরে জুলাই-অগাস্ট ছাত্র আন্দোলনের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগ

মহেশপুরে গাছ ফেলে পথ আটকিয়ে ডাকাতি

ছবি

টেকনাফে পলাতক দুই আসামি গ্রেপ্তার

দৌলতপুরে সবজির বীজ বিতরণ

ছবি

মুন্সীগঞ্জে মেট্রোরেল সংযোগের দাবিতে মানববন্ধন

চাটখিলে স্কুল ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু

ছবি

বছরের পর বছর প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ!

ছবি

চৌমুহনীতে ভোক্তা অধিকারের অভিযান, অর্থদণ্ড

ছবি

গজারিয়ায় পরিবেশ বিধ্বংসী পলিথিনে সয়লাব

ছবি

চট্টগ্রামে আলোচিত ‘সন্ত্রাসী’ রায়হানের নতুন হুমকি: ব্যবসায়ীকে বিদেশি নম্বর থেকে ‘ব্লেড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যার’ ভয় দেখানো

ছবি

উল্লাপাড়ায় প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মশাল মিছিল

ছবি

দুই বছর ধরে চলাচল বন্ধ, বিপাকে ১০ হাজার শ্রমিক ও বাসিন্দা

মহেশপুর সীমান্তে পৃথক অভিযানে ভারতীয় মাদকদ্রব্যসহ নারী আটক

ছবি

দশমিনায় কৃষকদের মাঝে বীজ ও সার বিতরণ

ছবি

কিশোরগঞ্জে আ.লীগের সাত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ছবি

নাসিরনগরে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

মা-বাবার পাশে কবরে দাফন হলো ইতালি প্রবাসী ডা. ঈসমাইলের

ছবি

বোয়ালখালীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ

দেবীদ্বারে ট্রাক চাপায় শিশুর মৃত্যু

ছবি

জামালপুরে কারাগার নির্মাণে মুক্তিযোদ্ধার জমি দখলের অভিযোগ

ছবি

পীরগাছায় বিদ্যালয়ে রাতে-দিনে উড়ে জাতীয় পতাকা, কর্তৃপক্ষ নিরব

ছবি

হবিগঞ্জে আখ চাষ চাষিরা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান

ছবি

দশমিনায় পলিনেট পদ্ধতিতে বেগুন চাষে সবুজের সাফল্য

ছবি

ঝিনাইদহে হাঁটা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

ছবি

টিকে আছে সৈয়দপুরের ঝুট শিল্প, স্থলবন্দর বন্ধ থাকায় চাপে রপ্তানি

ছবি

দশমিনা থেকে হারিয়ে গেছে তাল-পিঠার উৎসব

ছবি

বাপ দাদার ঘোলের ঐতিহ্য আঁকড়ে ৩২ বছর ধরে সংগ্রামী গোপাল

ছবি

রায়গঞ্জে প্রতিবন্ধী কৃষকের জমির ধান লুটের অভিযোগ

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিনিবাসে আগুন

ছবি

ডিমলায় বুড়ি তিস্তার ভাঙন রোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি

ছবি

মোহনগঞ্জে আমন ধান কাটা শুরু

tab

বাঁকি ৫ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা

প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া:

বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায়ে সন্তষ্ট তার পরিবার। বাঁকি পাঁচ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা রোকেয়া খাতুন। কুষ্টিয়া পিটিআই রোডের বাসায় রায় ঘোষনার পর মা রোকেয়া খাতুন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, হত্যায় সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল অমিত সাহ। আমি তার ফাঁসি চাই।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান রায় ঘোষণা করেন। মামলার ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে যে পাঁচ জনের যাবজ্জীবন দন্ড হয়েছে তাদেরও ফাঁসি চান আবরারের মা।

শহরের পিটিআই রোডের বাসায় রায় ঘোষণার খবর টিভিতে দেখে ও ঢাকা থেকে আবরারের বাবার বরকত উল্লাহর কাছ থেকে মোবাইল ফোনে রায় ঘোষণার খবর পেয়ে মা রোকেয়া খাতুন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন,‘আবরার আমাকে ছাড়া কিছুই বুঝত না। আমার ছেলেকে ওরা কীভাবে পিটিয়ে মারলো। ওরা এত ব্যাথা দিয়ে কষ্ট দিয়ে মারল ছেলেটাকে। বেটার মৃত্যুর পর আমি শুধু আল্লাহর কাছে বলেছি, তুমি এই হত্যার বিচার কর।

বেলা ১১টার পর থেকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কে আবরার ফাহাদের বাড়িতে বিভিন্ন গনমাধ্যমের কর্মীরা ভিড় করতে থাকেন। তখন বাড়িতে ছিলেন না আবরারের মা রোকেয়া খাতুন ও ছোট ছেলে আবরার ফাইয়াজ। ছেলেকে পরীক্ষাকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন মা। ফাইয়াজ এবার এইচ এস সি পরীক্ষা দিচ্ছেন। বেলা সাড়ে ১১টায় বাড়ি ফেরেন মা।

তিনি আরো বলেন, ২০ জনের ফাঁসির রায়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে, অমিত সাহা যে সব সময় নির্দেশ দিয়েছে আরও পিটাও। তার কেন ফাঁসি হলো না? রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। যেদিন রায় কার্যকর হবে সেদিনই মনে করব, আমার ছেলের বিচার হলো। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, অমিত সাহারও ফাঁসি চাই। তিনি বলেন, করোনাসহ নানা কারণে রায় অনেক পিছিয়ে গেছে। এখন যেন স্বল্প সময়ে কার্যকর হয়।

কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আবরার ফাহাদের ভাই আবরায় ফাইয়াজ বলেন, অমিত সাহা ফোনে বলেছিল আরও দুই ঘন্টা পেটানো যাবে। সে উপস্থিত না থাকলেও নির্দেশদাতা ছিল। আমরা তারও ফাঁসির রায় হবে এমনটি চেয়েছিলাম। তবে, ২০ জনের ফাঁসির রায় হয়েছে আমরা সন্তুষ্ট। পুরো রায় দেখে পর্যালোচনা করে আমরা আমাদের বক্তব্য জানাবো।

রায় ঘোষণার আগে থেকেই বাসায় উদ্বিগ্ন ছিলেন আবরারের মা-ভাই। গ্রামের বাড়ী থেকে এসেছেন আত্মীয়-স্বজনেরা। ছিলেন অনেক সংবাদকর্মী।

back to top