alt

মাধবপুরে আর চোখে পড়ে না বকের সারি

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

পল্লী কবি জসীম উদ্দিনের “বৃষ্টির ছড়া” কবিতার পংক্তি ‘বকের সারি কোথায় রে’ লুকিয়ে গেল বাঁশ বনে। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় নদীনালা খাল বিল ও অনেক বড় বড় দিঘি রয়েছে। এসব নদী-খাল-বিল-দিঘিতে এখন আগের মতো বক ও বকের সারি আর চোখে পড়ে না।

এক যুগ পূর্বেও বকের বিচরণ ছিল ব্যাপক হারে। শিকারীরা বিভিন্ন পন্থায় বক শিকার করে তা আজ বিলুপ্তির পথে। বক শিকারীরা বাঁশের চিপ দিয়ে গোলাকৃতির খাঁচা বানায়। তা আড়াই ফুট প্রস্থ ও সাড়ে ৩ ফুট উচ্চতায়। ওই খাঁচার বাহিরের দিকে বেতের পাতা স্তরে স্তরে সাজিয়ে দেওয়া হয়। উপরের দিকে দিয়ে বেত পাতা খাড়া ভাবে লাগিয়ে শিকারী এ ফাঁদের ভিতরে ঢুকে পালিত বকের সাহায্যে কৌশলে বক শিকার করে।

আবার অনেকে নাইলন সুতায় গিট দিয়ে সুতার মাথা কাটির সাথে বেধে ক্ষেতের আইলে শক্তভাবে বসিয়ে ফাঁদ পাতে। অনেকে সন্ধ্যায় বক যখন বাসায় ফিরে তখন মার্বেল পাথর অথবা এটেঁল মাটির গোলাকৃতির গুলি বানিয়ে বাঁশের গোলাইনের সাহায্যে গুলি করে শিকার করে বক। আবার অনেক লোক এক নলা বন্দুক ও দুই নলা বন্দুক দিয়ে বিলের পাড়ে থাকা বকের ঝাঁকের উপর গুলি করে বক শিকার করে।

অনেকে কলের উপর মাছ লাগিয়ে ফাঁদ পাতে। অনেকে বর্শির মধ্যে মাছ লাগিয়ে ফাঁদ পাতে বড় দিঘিতে। অনেক বক শিকারী বক শিকার করে জীবিকা নিবার্হের জন্য বাজারে নিয়ে আসে বক। মুখরোচকরা তা কিনে নিয়ে যায়।

অনেক ছেলেরা বাজার থেকে বক কিনে পালন করে। বকের প্রধান খাদ্য মাছ। বর্তমানে নদীনালা খাল বিল শুকিয়ে যাওয়ায় বকের খাদ্যের সংকটে বকের প্রজনন কমে গেছে।

বকের খোঁজে মানুষ ছুটে বেড়ায় উপজেলার বুল্লা বিল, মাধবপুর বিল, বৈচা বিল, বাকসাইর বিল ইত্যাদি বিলে। শুধুমাত্র বুল্লা বিল, বাকসাইর বিলে কিছুকিছু বক চোখে পড়লেও অন্যবিলে পানি শূন্য থাকায় বক চোখে পড়েনি।

মুরাদপুর গ্রামের ওয়াহাব মিয়া জানান, পানি শূন্যতায় মাছের আকাল ও বন উজার হওয়ায় বকের বাসস্থান নষ্ট ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ছোট ছোট ডোবা, নালা, জলাশয় সেচে মাছ ধরার কারণে আজ বক শুন্য হতে চলেছে।

পরিবেশবিদ ও এলাকার সচেতন মহল মনে করেন নদী উজানে পানি শূন্য নদী ও বন জঙ্গল উজারের কারণে বাসস্থান ধ্বংস ও বক শিকারের কারণে বক আজ আমাদের পরিবেশ থেকে হারাতে চলেছে। বক প্রজাতি রক্ষার্থে জনগণের সচেতনতা একান্ত দরকার।

ছবি

রাজধানীতে গভীর রাতে সড়কে নারীর মৃত্যু

ছবি

ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় মায়ের লাশ দেখতে না দেয়ায় সংঘর্ষ, নিহত ১

ছবি

জেনে-বুঝে সংগ্রাম জারি রাখতে হবে, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর যুব সম্মেলনে বক্তারা

ছবি

দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ৩১ বাংলাদেশিকে ফেরত দিলো বিএসএফ

ছবি

নিম্নচাপে রূপ নিলো লঘুচাপ, ১ নম্বর সতর্কতা

ছবি

‘বৈষম্যের শিকার’ বিসিএস ২৫ ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দাবি

ছবি

তিস্তা সেতুর তলদেশ এখন গো-চারণ ভূমি

ছবি

সালমান শাহ হত্যা মামলা: আসামিদের দেশত্যাগ ঠেকাতে ‘ইমিগ্রেশনে’ পুলিশের চিঠি

ছবি

ভাঙন আতঙ্কে মাতামুহুরী তীরের বাসিন্দারা, টেকসই শাসন সংরক্ষণের দাবি

ছবি

ভোলায় উচ্ছেদ অভিযানে সংঘর্ষ: তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, আহত ১৫

ছবি

দামুড়হুদায় শীতের আগমনে লেপ তৈরীর কারিগরদের ব্যস্ততা

ছবি

তিন ছেলে থাকা সত্ত্বেও বৃদ্ধা মায়ের ঠাঁই হলো গোয়ালঘরে

ছবি

মহেশপুর ভৈরবা বাজারে ঐতিহ্যবাহী ‘ঝাঁপান খেলা’ অনুষ্ঠিত

ছবি

নগেশ্বরীতে বউ-শাশুড়ী মেলা

ছবি

শেরপুরে মিনি রাতারগুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধতা খুঁজছেন শত শত পর্যটক

ছবি

বেনাপোল-পেট্রাপোলে সন্ধ্যা ৬টার পর আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, বিপাকে ব্যবসায়ীরা

ছবি

সুবর্ণচরে পাচারকালে ৩০০ বস্তা ইউরিয়া সার জব্দ

ছবি

টুঙ্গিপাড়ায় পুলিশের সহায়তায় হাফিজ ফিরে পেল একমাত্র জীবিকার অবলম্বন

ছবি

বিএনপিতে ফিরলেন গঙ্গাচড়ার সাবেক চেয়ারম্যান সুজন

ছবি

শহীদ ময়েজউদ্দিন সেতুতে বিনা রশিদে টোল আদায়

ছবি

দশমিনায় দেশি প্রজাতির মাছের উৎপাদন কম

ছবি

ইবিতে লোডশেডিং হলেই বন্ধ হয় মোবাইল নেটওয়ার্ক-ইন্টারনেট

ছবি

স্বাস্থ্যসেবায় রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ছবি

অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ, যুবক আলমগীরের ‘জীবন এখন শিকলবন্দি’

ছবি

ডিমলার ধুম নদীর বিধ্বস্ত ব্রিজ যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

সিরাজগঞ্জের কৃষকরা এখন শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত

ছবি

নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ বাসের সুপারভাইজার গ্রেপ্তার

ছবি

চৌগাছায় ট্রলির সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই কিশোর নিহত

ছবি

বোয়ালমারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত, আহত ৫

মোহনগঞ্জে যাত্রাপথে আনন্দ গান মেঠোসুর পরিষদের কর্মশালা

ছবি

বেগমগঞ্জে গাঁজাসহ মাদক কারবারী গ্রেপ্তার

ছবি

যশোরে ফেনসিডিলের মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন

ছবি

গরু চুরির সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত ১,আহত ৩

ছবি

যশোরের রং ও কেমিক্যাল দিয়ে আইসক্রিম তৈরি, জরিমানা

ছবি

নড়াইলে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার দাবি

ছবি

উলিপুরে বিরোধের জেরে অবরুদ্ধ এক পরিবার

tab

মাধবপুরে আর চোখে পড়ে না বকের সারি

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২২

পল্লী কবি জসীম উদ্দিনের “বৃষ্টির ছড়া” কবিতার পংক্তি ‘বকের সারি কোথায় রে’ লুকিয়ে গেল বাঁশ বনে। হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় নদীনালা খাল বিল ও অনেক বড় বড় দিঘি রয়েছে। এসব নদী-খাল-বিল-দিঘিতে এখন আগের মতো বক ও বকের সারি আর চোখে পড়ে না।

এক যুগ পূর্বেও বকের বিচরণ ছিল ব্যাপক হারে। শিকারীরা বিভিন্ন পন্থায় বক শিকার করে তা আজ বিলুপ্তির পথে। বক শিকারীরা বাঁশের চিপ দিয়ে গোলাকৃতির খাঁচা বানায়। তা আড়াই ফুট প্রস্থ ও সাড়ে ৩ ফুট উচ্চতায়। ওই খাঁচার বাহিরের দিকে বেতের পাতা স্তরে স্তরে সাজিয়ে দেওয়া হয়। উপরের দিকে দিয়ে বেত পাতা খাড়া ভাবে লাগিয়ে শিকারী এ ফাঁদের ভিতরে ঢুকে পালিত বকের সাহায্যে কৌশলে বক শিকার করে।

আবার অনেকে নাইলন সুতায় গিট দিয়ে সুতার মাথা কাটির সাথে বেধে ক্ষেতের আইলে শক্তভাবে বসিয়ে ফাঁদ পাতে। অনেকে সন্ধ্যায় বক যখন বাসায় ফিরে তখন মার্বেল পাথর অথবা এটেঁল মাটির গোলাকৃতির গুলি বানিয়ে বাঁশের গোলাইনের সাহায্যে গুলি করে শিকার করে বক। আবার অনেক লোক এক নলা বন্দুক ও দুই নলা বন্দুক দিয়ে বিলের পাড়ে থাকা বকের ঝাঁকের উপর গুলি করে বক শিকার করে।

অনেকে কলের উপর মাছ লাগিয়ে ফাঁদ পাতে। অনেকে বর্শির মধ্যে মাছ লাগিয়ে ফাঁদ পাতে বড় দিঘিতে। অনেক বক শিকারী বক শিকার করে জীবিকা নিবার্হের জন্য বাজারে নিয়ে আসে বক। মুখরোচকরা তা কিনে নিয়ে যায়।

অনেক ছেলেরা বাজার থেকে বক কিনে পালন করে। বকের প্রধান খাদ্য মাছ। বর্তমানে নদীনালা খাল বিল শুকিয়ে যাওয়ায় বকের খাদ্যের সংকটে বকের প্রজনন কমে গেছে।

বকের খোঁজে মানুষ ছুটে বেড়ায় উপজেলার বুল্লা বিল, মাধবপুর বিল, বৈচা বিল, বাকসাইর বিল ইত্যাদি বিলে। শুধুমাত্র বুল্লা বিল, বাকসাইর বিলে কিছুকিছু বক চোখে পড়লেও অন্যবিলে পানি শূন্য থাকায় বক চোখে পড়েনি।

মুরাদপুর গ্রামের ওয়াহাব মিয়া জানান, পানি শূন্যতায় মাছের আকাল ও বন উজার হওয়ায় বকের বাসস্থান নষ্ট ও জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ছোট ছোট ডোবা, নালা, জলাশয় সেচে মাছ ধরার কারণে আজ বক শুন্য হতে চলেছে।

পরিবেশবিদ ও এলাকার সচেতন মহল মনে করেন নদী উজানে পানি শূন্য নদী ও বন জঙ্গল উজারের কারণে বাসস্থান ধ্বংস ও বক শিকারের কারণে বক আজ আমাদের পরিবেশ থেকে হারাতে চলেছে। বক প্রজাতি রক্ষার্থে জনগণের সচেতনতা একান্ত দরকার।

back to top