alt

প্রশ্নফাঁস : বাতিল হওয়া নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে সংকটে মাউশি

‘পুনরায় পরীক্ষা নিতে ফের অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে’

রাকিব উদ্দিন : মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

প্রশ্নপত্র ‘ফাঁসের’ অভিযোগে বাতিল হওয়া কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে সংকটে পড়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একদিকে জনবল স্বল্পতা দিন দিন তীব্র হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ২৫ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর পদ ফাঁকা। অন্যদিকে নিয়োগের জন্য বরাদ্দ থাকা অর্থ চলতি অর্থবছরেই ফেরত যাচ্ছে। পুনরায় পরীক্ষা নিতে এখন নতুন অর্থবছরে এ খাতে আবারও বরাদ্দ রাখতে হবে। এই অবস্থায় মাউশির নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার কাজ পেতে আবেদন করেছে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ।

মাউশির নিয়োগ পরীক্ষার কাজ পেতে মঙ্গলবার (২৪ মে) সংস্থাটিতে ঢাবির বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ‘সেন্টার ফর প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস’ (এমআইএস) এর পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) ও কর্মচারী নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী সংবাদকে বলেন, ‘তারা আবেদন করেছেন... করতেই পারেন। কিন্তু আমাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে; শিক্ষা এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী তা করতে হচ্ছে।’

এখন অন্য কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন নির্দেশনা আছে, স্ব স্ব সংস্থাই তাদের নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’

কবে নাগাদ এই নিয়োগ পরীক্ষা পুনরায় নেয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি এখন বলা মুশকিল। এই অর্থবছরে করা যাবে না। সময় লাগবে। নতুন বাজেটে অর্থ বরাদ্দ আসলে তখন করতে হবে। তবে যারা আবেদন করেছেন তারাই পরীক্ষায় অংশ নেবেন।’ এ সংক্রান্ত সময়সূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।

মাউশির সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অন্য কোন সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে হলে প্রতি খাতা বা আবেদনকারীপ্রতি ন্যূনতম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়। কিন্তু স্ব স্ব সংস্থার অধীনে এই পরীক্ষা নেয়া হলে খরচ হয় অর্ধেকেরও কম।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই বিভাগের অধীনে দেশের ১৭টি অধিদপ্তর ও সংস্থায় (সব সরকারি হাইস্কুল ও কলেজসহ) মোট ৪৯ হাজার ৪৫৭টি শিক্ষক-কর্মচারী ও কর্মকর্তার পদ রয়েছে। এর মধ্যে গত মার্চ পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৩৫৩টি পদ ফাঁকা ছিল। এ হিসাবে প্রায় ২৫ শতাংশ পদই শূন্য। জনবল স্বল্পতার কারণে শিক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ঢাবির ‘সেন্টার ফর প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস’-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আকরাম হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, তারা গত ১২ বছর ধরে ‘সফলতার’ সঙ্গে বেসরকারি ও সরকারি ব্যাংক, বীমাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের নিয়োগ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম ‘গোপনীয়তার, নিষ্ঠা ও বিশ^স্ততার সঙ্গে স্বল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে বিভাগের সাফল্য ধরে রাখতে সক্ষম’ হয়েছেন।

ড. আকরাম হোসেন জানান, তারা ‘বড় ধরনের নিয়োগ পরীক্ষার কার্য সম্পাদনের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ’। তিনি বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বড় নিয়োগ (আট লাখ প্রার্থী) পরীক্ষা সারাদেশে আমাদের মাধ্যমে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’

নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘সেন্টার ফর প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস’র ‘ভৌত অবকাঠামো বিদ্যমান রয়েছে’ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, এ বিষয়ে তাদের ছয়জন সিনিয়র অধ্যাপকের নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে, যার চেয়ারম্যান ও আহ্বায়ক হলেন অধ্যাপক আকরাম হোসেন।

গত ১৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগের জন্য ঢাকার ৬১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫১৩টি পদের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ছিলেন এক লাখ ৮৩ হাজার।

এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠে। পরীক্ষার দিন থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের এক সদস্য, মাউশির এক কর্মচারীসহ কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এরপর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠায় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এর আলোকেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় মাউশি।

যদিও কতজন পরীক্ষার্থী ‘ফাঁস হওয়া’ প্রশ্নপত্র পেয়েছিল সে সর্ম্পকে মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোন তথ্য দিতে পারেননি।

২০ মে রাতে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে গত ১৩ মে বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) অনিবার্য কারণে বাতিল করা হলো।

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ঘোষণা দিয়েছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে মাউশির কোন চক্র জড়িত থাকলে এর উৎস খুঁজে বের করা হবে। যদিও তিনি এখন পর্যন্ত এ ঘটা তদন্তে কোন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেননি।

ছবি

মীরসরাইয়ে আগুনে পুড়লো প্লাস্টিকের গোডাউন

ছবি

বিশ্ব ঐতিহ্যের প্রাঙ্গণে কাব স্কাউটদের মিলনমেলা

১৯৭০ সনের ১২ নভেম্বরের কথা স্মরন করলে জীবিতরা আঁতকে ওঠে

শরীয়তপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পলাতক, কিন্তু নিয়মিত স্বাক্ষর হচ্ছে হাজিরা খাতায়

ছবি

বাসচালকের মায়ের আহাজারি: আমার ছেলে তো রাজনীতি করে না, পুড়িয়ে মারলো কেন

ছবি

চাটমোহরের কুমড়ো বড়ি যাচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকা

ছবি

ঠিকাদার পালিয়ে যাওয়ায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের নির্মাণ কাজ বন্ধ

ছবি

হাটহাজারীতে দুই দিনে ৩ অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার

ছবি

প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে চাটমোহরে বিএনপির সমাবেশ

ছবি

মোরেলগঞ্জে শিক্ষকের মারপিটে ছাত্রীর প্রানহানির অভিযোগ

ছবি

ভূয়া জন্মনিবন্ধন তৈরি রৌমারীতে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

ছবি

তরুণ উদ্যোক্তা পরানের সাফল্য : নদীতীরে হাঁসের খামারে ভাগ্যের দিগন্ত

ছবি

সিরাজগঞ্জে হাসিনা-কাদেরসহ সাড়ে ৫শ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

ছবি

শ্রীপুরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৬৮ পরিবারের মাঝে ছাগল বিতরণ

শীতে খেজুরের রস-গুড়ের স্বাদ জোগাতে ব্যস্ত গাছিরা

চাটখিলে চিহ্নিত মাদক কারবারি ইয়াবাসহ আটক

সিরাজগঞ্জে কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ

কালিয়াকৈরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ

ছবি

কুমিল্লায় গোখরা সাপসহ ১৭টি বাচ্চা উদ্ধার

ছবি

বোয়ালখালীতে আগাম সরিষার জমি প্রস্তুতে ব্যস্ত কৃষক

ছবি

শক্তিশালী বোমা মেশিনে বালি অপসারণ, ঝুঁকিতে তিস্তা ব্যারেজ

ছবি

নিয়ম না মেনেই সড়কের পার্শ্বে দ্বিতল ভবন নির্মাণ, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

ছবি

সুপেয় পানির দাবিতে সোচ্চার মোরেলগঞ্জবাসী

মহেশপুর ভূমি অফিসের কর্মকর্তা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত

ছবি

সাবেক এমপি সাদেক খানের ১২ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

নিরাপত্তার দাবিতে গৃহবধুর সংবাদ সম্মেলন

ছবি

নারীকে বাঁচাতে গিয়ে ২ তরুণের মৃত্যু

ছবি

ধনবাড়ীতে পিকাপ-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৪

তাহিরপুরে ইয়াবাসহ ব্যবসায়ী আটক

ছবি

রাণীনগরে গোয়াল ঘরের তালা কেটে গরু চুরি

ছবি

বরুড়ার কচুর লতি বিদেশে

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যু

ছবি

সিরাজগঞ্জে গৃহবধু হত্যায় স্বামী ও ননদের যাবজ্জীবন

ছবি

হবিগঞ্জে ইসকন মন্দিরে অগ্নিকান্ড

ছবি

নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ দুই রোহিঙ্গা যুবক আটক

ছবি

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ৫

tab

প্রশ্নফাঁস : বাতিল হওয়া নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে সংকটে মাউশি

‘পুনরায় পরীক্ষা নিতে ফের অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে’

রাকিব উদ্দিন

মঙ্গলবার, ২৪ মে ২০২২

প্রশ্নপত্র ‘ফাঁসের’ অভিযোগে বাতিল হওয়া কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে সংকটে পড়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)। একদিকে জনবল স্বল্পতা দিন দিন তীব্র হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ২৫ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারীর পদ ফাঁকা। অন্যদিকে নিয়োগের জন্য বরাদ্দ থাকা অর্থ চলতি অর্থবছরেই ফেরত যাচ্ছে। পুনরায় পরীক্ষা নিতে এখন নতুন অর্থবছরে এ খাতে আবারও বরাদ্দ রাখতে হবে। এই অবস্থায় মাউশির নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার কাজ পেতে আবেদন করেছে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ।

মাউশির নিয়োগ পরীক্ষার কাজ পেতে মঙ্গলবার (২৪ মে) সংস্থাটিতে ঢাবির বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ‘সেন্টার ফর প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস’ (এমআইএস) এর পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে।

জানতে চাইলে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) ও কর্মচারী নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী সংবাদকে বলেন, ‘তারা আবেদন করেছেন... করতেই পারেন। কিন্তু আমাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে; শিক্ষা এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী তা করতে হচ্ছে।’

এখন অন্য কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সুযোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন নির্দেশনা আছে, স্ব স্ব সংস্থাই তাদের নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।’

কবে নাগাদ এই নিয়োগ পরীক্ষা পুনরায় নেয়া হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি এখন বলা মুশকিল। এই অর্থবছরে করা যাবে না। সময় লাগবে। নতুন বাজেটে অর্থ বরাদ্দ আসলে তখন করতে হবে। তবে যারা আবেদন করেছেন তারাই পরীক্ষায় অংশ নেবেন।’ এ সংক্রান্ত সময়সূচি পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।

মাউশির সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অন্য কোন সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে হলে প্রতি খাতা বা আবেদনকারীপ্রতি ন্যূনতম ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হয়। কিন্তু স্ব স্ব সংস্থার অধীনে এই পরীক্ষা নেয়া হলে খরচ হয় অর্ধেকেরও কম।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই বিভাগের অধীনে দেশের ১৭টি অধিদপ্তর ও সংস্থায় (সব সরকারি হাইস্কুল ও কলেজসহ) মোট ৪৯ হাজার ৪৫৭টি শিক্ষক-কর্মচারী ও কর্মকর্তার পদ রয়েছে। এর মধ্যে গত মার্চ পর্যন্ত মোট ১২ হাজার ৩৫৩টি পদ ফাঁকা ছিল। এ হিসাবে প্রায় ২৫ শতাংশ পদই শূন্য। জনবল স্বল্পতার কারণে শিক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ঢাবির ‘সেন্টার ফর প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস’-এর নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আকরাম হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, তারা গত ১২ বছর ধরে ‘সফলতার’ সঙ্গে বেসরকারি ও সরকারি ব্যাংক, বীমাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের নিয়োগ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম ‘গোপনীয়তার, নিষ্ঠা ও বিশ^স্ততার সঙ্গে স্বল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে বিভাগের সাফল্য ধরে রাখতে সক্ষম’ হয়েছেন।

ড. আকরাম হোসেন জানান, তারা ‘বড় ধরনের নিয়োগ পরীক্ষার কার্য সম্পাদনের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ’। তিনি বলেন, ‘পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের বড় নিয়োগ (আট লাখ প্রার্থী) পরীক্ষা সারাদেশে আমাদের মাধ্যমে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’

নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ‘সেন্টার ফর প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস’র ‘ভৌত অবকাঠামো বিদ্যমান রয়েছে’ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, এ বিষয়ে তাদের ছয়জন সিনিয়র অধ্যাপকের নেতৃত্বে একটি কমিটি রয়েছে, যার চেয়ারম্যান ও আহ্বায়ক হলেন অধ্যাপক আকরাম হোসেন।

গত ১৩ মে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগের জন্য ঢাকার ৬১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৫১৩টি পদের বিপরীতে পরীক্ষার্থী ছিলেন এক লাখ ৮৩ হাজার।

এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠে। পরীক্ষার দিন থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের এক সদস্য, মাউশির এক কর্মচারীসহ কয়েকজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এরপর প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠায় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এর আলোকেই পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় মাউশি।

যদিও কতজন পরীক্ষার্থী ‘ফাঁস হওয়া’ প্রশ্নপত্র পেয়েছিল সে সর্ম্পকে মাউশির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কোন তথ্য দিতে পারেননি।

২০ মে রাতে মাউশির পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের জনবল নিয়োগের লক্ষ্যে গত ১৩ মে বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) অনিবার্য কারণে বাতিল করা হলো।

মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ঘোষণা দিয়েছেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে মাউশির কোন চক্র জড়িত থাকলে এর উৎস খুঁজে বের করা হবে। যদিও তিনি এখন পর্যন্ত এ ঘটা তদন্তে কোন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেননি।

back to top