alt

মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্রের মুক্তি চাইলেন কাদের সিদ্দিকী

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুমিল্লা : বুধবার, ২৫ মে ২০২২

কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, রাখাল চন্দ্র নাহা নামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা একটি ‘মিথ্যা হত্যা’ মামলায় ফাঁসির দন্ড পেয়েছিল, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত ওয়ান ইলেভেনের সময় চেষ্টা-তদবীর করে তাঁকে ফাঁসি থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। পরে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। সে এখন কুমিল্লা কারা পুলিশের প্রহরায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তিনি বলেন, দেশ আইনের শাসনে চলা উচিত।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহার মৃত্যু যেনো কারাগারে না হয়। আইন অনুসারে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা যে কোন একটি অপরাধ থেকে ক্ষমা পেতে পারেন। কিন্তু ওই মুক্তিযোদ্ধা তদবীরের অভাবে আইনের অধিকার ঠিকঠাক পাননি। এ হাসপাতাল থেকে নাহাকে যেনো বাড়ি পাঠানো হয়। তার মৃত্যু স্ত্রী-সন্তানদের সামনে হয় এ আশা করছি। মঙ্গলবার (২৪) দুপুরে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত রাখাল চন্দ্র নাহাকে হাসপাতালে দেখতে এসে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাখাল চন্দ্র নাহা একটি ষড়যন্ত্রমূলক খুনের মিথ্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডে দন্ডিত হয়েছিল। যা ১৯৯৯ সালের একটি হত্যা মামলা, ঘটনার দিন সে বাড়ি ছিলেন না। অথচ ২০০৩ সালে তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করার পর তার সাজা মওকুফ করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, ‘২০১৫ সালের ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তার সাজা মওকুফসহ মুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু সেই সুপারিশ এখনও কার্যকর হয়নি। সে মুক্তিও পায়নি। তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমি তার বাড়িতে গিয়েছি। সব জেনে বুঝে বলছি নাহার কোন অপরাধ নেই। তাকে দ্রুত মুক্তি দিন।’ কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামি রাখাল চন্দ্র নাহার ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র নাহা বলেন, বাবার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কারা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। কারা কর্তৃপক্ষ বলেছেন ২০২৩ সালের জুন মাসে তিনি মুক্তি পাবেন। তবে সে পর্যন্ত তিনি হয়তো বাঁচবেন না। শেষ জীবনের কয়েকটা দিন পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা তার সেবা করতে চাই। তার মৃত্যুটা যেন আমাদের সামনে হয়, আর কোন চাওয়া নাই।’

এ বিষয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান বলেন, কারা বিধি ও দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক যাবজ্জীবন দন্ড পাওয়া রাখাল চন্দ্র নাহা মুক্তি পেতে আরও প্রায় দেড় বছর লাগবে। এর আগে তার মুক্তি পাওয়া কিংবা সাজা মওকুফ করা এটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিষয়, এখানে কারা কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই। তবে তার সুচিকিৎসার জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দেবিদ্বারের হোসেনপুরে ধীনেশ চন্দ্র দত্ত নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ অভিযোগে রাখাল চন্দ্র নাহা ও তার ভাই নেপাল চন্দ্র নাহার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে নিহত ধীনেশ চন্দ্র দত্তের পরিবার। নেপাল চন্দ্র নাহা পালাতক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ওই বছরই গ্রেপ্তার হন মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা।

ছবি

দুর্গাপূজায় তিন স্তরে নিরাপত্তা, প্রয়োজনে ৯৯৯

ছবি

১৭ বিয়ের অভিযোগ ওঠা আলোচিত বন কর্মকর্তা সাময়িক বহিষ্কার

ছবি

জুলাই শহীদদের নিয়ে ‘আপত্তিকর’ প্রতিবেদন প্রকাশের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

ছবি

না’গঞ্জে ইজিবাইক চালক ও শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ, আহত ১২

ছবি

চোখ রাঙানি বাড়ছেই এডিসের, কমছে না ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া

ছবি

দুবাইয়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি, আটকে আছেন ১৭৮ যাত্রী

ছবি

বিআরটিসি বাস চালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

দাফনের পূর্বে শিশুর নড়াচড়া, হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আটক

ছবি

পাঙ্গাস মাছের পায়েস, দুই ভাই ভাইরাল

ছবি

অফিস-কমিটি-মাঠ সবই আছে, নেই শুধু খেলার আয়োজন

ছবি

সরকারি মতিলাল ডিগ্রি কলেজে খণ্ডকালীন দিয়ে চলছে পাঠদান

ছবি

অনুপস্থিত থেকেও নিচ্ছেন বেতন-ভাতা

ছবি

নির্মাণের ১৪ মাসেও চালু হয়নি বরুড়ায় ২০ শয্যার হাসপাতাল

ছবি

দুমকিতে দূর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

ছবি

পটিয়ায় অস্ত্রের মুখে মুরগি ব্যবসায়ী অপহরণের দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

ছবি

সখীপুরে ৮ মাসে ২৪০ জনকে সর্প দংশন, হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম

ছবি

শারদীয় দুর্গোৎসবে শ্রীমঙ্গলে জমজমাট পোশাকের বাজার

ছবি

বাক প্রতিবন্ধী মাসুম জীবনযুদ্ধে জয়ী, যা সবার অনুকরনীয়

ছবি

রাজশাহীতে ডাকাতির লুণ্ঠিত মালামালসহ আটক ৮

ছবি

জগন্নাথপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিনা খরচে মিলছে ডেলিভারি সেবা

ছবি

গোপালগঞ্জে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় চালকের সহকারী নিহত

ছবি

বাগেরহাটে মহাসড়কে প্রাণ গেল স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার

ছবি

চুনারুঘাটে ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোর আটক

ছবি

সিরাজগঞ্জে বাবাকে হত্যায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড

ছবি

আদমদীঘিতে ১ বছর ধরে বেতন বন্ধ খন্ডকালিন ৫ শিক্ষক-কর্মচারির

ছবি

অবৈধভাবে ভারত থেকে ফেরার পথে ৩ বাংলাদেশি আটক

ছবি

ঈশ্বরদীতে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

ছবি

শিবগঞ্জে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

সিরাজদিখানে সড়ক পাকা করার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গরু জব্দ

ছবি

ডিমলায় হিসাবরক্ষণ অফিসে সেবা গ্রহীতাদের ভোগান্তি

ছবি

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে জামাতের প্রার্থীর ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ

ছবি

কালিগঙ্গায় বালু লুট থামছে না

ছবি

ভৈরবে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বার্ষিক সাধারণ সভা

ছবি

ঝিনাইগাতীতে জানজট নিরসনে সক্রিয় ভিডিপির জিলন মিয়া

ছবি

ট্রাকের ধাক্কায় মা-মেয়ে নিহত

tab

মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্রের মুক্তি চাইলেন কাদের সিদ্দিকী

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুমিল্লা

বুধবার, ২৫ মে ২০২২

কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, রাখাল চন্দ্র নাহা নামের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা একটি ‘মিথ্যা হত্যা’ মামলায় ফাঁসির দন্ড পেয়েছিল, ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত ওয়ান ইলেভেনের সময় চেষ্টা-তদবীর করে তাঁকে ফাঁসি থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। পরে তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয়া হয়। সে এখন কুমিল্লা কারা পুলিশের প্রহরায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তিনি বলেন, দেশ আইনের শাসনে চলা উচিত।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহার মৃত্যু যেনো কারাগারে না হয়। আইন অনুসারে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা যে কোন একটি অপরাধ থেকে ক্ষমা পেতে পারেন। কিন্তু ওই মুক্তিযোদ্ধা তদবীরের অভাবে আইনের অধিকার ঠিকঠাক পাননি। এ হাসপাতাল থেকে নাহাকে যেনো বাড়ি পাঠানো হয়। তার মৃত্যু স্ত্রী-সন্তানদের সামনে হয় এ আশা করছি। মঙ্গলবার (২৪) দুপুরে যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত রাখাল চন্দ্র নাহাকে হাসপাতালে দেখতে এসে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এসব কথা বলেন। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, রাখাল চন্দ্র নাহা একটি ষড়যন্ত্রমূলক খুনের মিথ্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডে দন্ডিত হয়েছিল। যা ১৯৯৯ সালের একটি হত্যা মামলা, ঘটনার দিন সে বাড়ি ছিলেন না। অথচ ২০০৩ সালে তাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। ২০০৮ সালে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের সিদ্ধান্ত হয়। আমি মহামান্য রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করার পর তার সাজা মওকুফ করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, ‘২০১৫ সালের ৩ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তার সাজা মওকুফসহ মুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু সেই সুপারিশ এখনও কার্যকর হয়নি। সে মুক্তিও পায়নি। তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। আমি তার বাড়িতে গিয়েছি। সব জেনে বুঝে বলছি নাহার কোন অপরাধ নেই। তাকে দ্রুত মুক্তি দিন।’ কারাদন্ড প্রাপ্ত আসামি রাখাল চন্দ্র নাহার ছেলে সঞ্জয় চন্দ্র নাহা বলেন, বাবার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কারা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। কারা কর্তৃপক্ষ বলেছেন ২০২৩ সালের জুন মাসে তিনি মুক্তি পাবেন। তবে সে পর্যন্ত তিনি হয়তো বাঁচবেন না। শেষ জীবনের কয়েকটা দিন পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা তার সেবা করতে চাই। তার মৃত্যুটা যেন আমাদের সামনে হয়, আর কোন চাওয়া নাই।’

এ বিষয়ে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান বলেন, কারা বিধি ও দেশের প্রচলিত আইন মোতাবেক যাবজ্জীবন দন্ড পাওয়া রাখাল চন্দ্র নাহা মুক্তি পেতে আরও প্রায় দেড় বছর লাগবে। এর আগে তার মুক্তি পাওয়া কিংবা সাজা মওকুফ করা এটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের বিষয়, এখানে কারা কর্তৃপক্ষের কিছুই করার নেই। তবে তার সুচিকিৎসার জন্য যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দেবিদ্বারের হোসেনপুরে ধীনেশ চন্দ্র দত্ত নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনা ঘটে। এ অভিযোগে রাখাল চন্দ্র নাহা ও তার ভাই নেপাল চন্দ্র নাহার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করে নিহত ধীনেশ চন্দ্র দত্তের পরিবার। নেপাল চন্দ্র নাহা পালাতক অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ওই বছরই গ্রেপ্তার হন মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র নাহা।

back to top