মামলা দায়ের, একজন গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বাঁশবাড়িয়ায় তিন নারীকে অমানুষিক নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলে। নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, তিন মহিলাকে কয়েকজন পুরুষ অমানুষিক মারধর করে। কখনো হাতে সজোরে কিল-ঘুষি আবার কখনো লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের নানা স্থানে আঘাত করছেন। আঘাতের এক পর্যায়ে এক মহিলা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। কিন্তু হামলাকারীদের নির্যাতন বন্ধ হয়নি।
ভিডিও সূত্রে লোমহর্ষক এ নির্যাতনের চিত্র দেখে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর বাঁশবাড়িয়া রহমতেরপাড়া দাশ বাড়িতে। হামলাকারীরা হলেন তৌহিদুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেন। তারা ওই এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি আমিনুল হকের ছেলে। অন্যদিকে হামলার শিকার তিন গৃহবধূ হলেন যোগেন্দ্র দাশের স্ত্রী রানী দাস (৩০), মিলন চন্দ্র দাশের স্ত্রী অঞ্জনা রানী দাস (৩২) ও কৃষ্ণ চন্দ্র দাশের স্ত্রী রীমা রানী দাস (২৭)। এ ঘটনায় রীমা রানী দাস বাদী হয়ে তৌহিদুল ইসলাম (৩২), আলমগীর হোসেন (৩৫) ও আমিনুল হককে (৫৫) আসামি করে মামলা দায়ের করে।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হামলার শিকার সংখ্যালঘু পরিবারের বেশকিছু জায়গা দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক দখল করতে চাইছে আমিনুল হকের ছেলেরা। এ নিয়ে একাধিক বার তারা ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর হামলা করে। ইতিপূর্বে এসব ঘটনায় দুইবার থানায় মামলা দায়ের হলেও আসামিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি। বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে তারা আবারো ওই পরিবারের একটি জায়গা থেকে গাছ কাটা, জাম পাড়াসহ দখলের চেষ্টা করলে বাড়িতে পুরুষদের অনুপস্থিতিতে তিন গৃহবধূ তাদের বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে আগের মতো আবারো হামলা করে তৌহিদ ও আলমগীর গং।
এ সময় তারা মহিলাদের বিবস্ত্র করে মারধর করে। ঘটনায় আহত হয়ে মহিলারা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশবাড়িয়ার ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. সাহাব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় আমিন সওদাগরের ছেলেরা ওই পরিবারের জায়গা জবরদখল করতে চায়। ইতিপূর্বেও ওই পরিবারের ওপর অনেক অত্যাচার করেছে তারা। রাতের আঁধারে মারধর করেছে।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমিনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলা দায়ের, একজন গ্রেপ্তার
শনিবার, ০৪ জুন ২০২২
চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বাঁশবাড়িয়ায় তিন নারীকে অমানুষিক নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে সচেতন মহলে। নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ভিডিওতে দেখা যায়, তিন মহিলাকে কয়েকজন পুরুষ অমানুষিক মারধর করে। কখনো হাতে সজোরে কিল-ঘুষি আবার কখনো লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের নানা স্থানে আঘাত করছেন। আঘাতের এক পর্যায়ে এক মহিলা অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। কিন্তু হামলাকারীদের নির্যাতন বন্ধ হয়নি।
ভিডিও সূত্রে লোমহর্ষক এ নির্যাতনের চিত্র দেখে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর বাঁশবাড়িয়া রহমতেরপাড়া দাশ বাড়িতে। হামলাকারীরা হলেন তৌহিদুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেন। তারা ওই এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি আমিনুল হকের ছেলে। অন্যদিকে হামলার শিকার তিন গৃহবধূ হলেন যোগেন্দ্র দাশের স্ত্রী রানী দাস (৩০), মিলন চন্দ্র দাশের স্ত্রী অঞ্জনা রানী দাস (৩২) ও কৃষ্ণ চন্দ্র দাশের স্ত্রী রীমা রানী দাস (২৭)। এ ঘটনায় রীমা রানী দাস বাদী হয়ে তৌহিদুল ইসলাম (৩২), আলমগীর হোসেন (৩৫) ও আমিনুল হককে (৫৫) আসামি করে মামলা দায়ের করে।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হামলার শিকার সংখ্যালঘু পরিবারের বেশকিছু জায়গা দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক দখল করতে চাইছে আমিনুল হকের ছেলেরা। এ নিয়ে একাধিক বার তারা ভুক্তভোগী পরিবারের ওপর হামলা করে। ইতিপূর্বে এসব ঘটনায় দুইবার থানায় মামলা দায়ের হলেও আসামিদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি। বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে তারা আবারো ওই পরিবারের একটি জায়গা থেকে গাছ কাটা, জাম পাড়াসহ দখলের চেষ্টা করলে বাড়িতে পুরুষদের অনুপস্থিতিতে তিন গৃহবধূ তাদের বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে আগের মতো আবারো হামলা করে তৌহিদ ও আলমগীর গং।
এ সময় তারা মহিলাদের বিবস্ত্র করে মারধর করে। ঘটনায় আহত হয়ে মহিলারা হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বাঁশবাড়িয়ার ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. সাহাব উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় আমিন সওদাগরের ছেলেরা ওই পরিবারের জায়গা জবরদখল করতে চায়। ইতিপূর্বেও ওই পরিবারের ওপর অনেক অত্যাচার করেছে তারা। রাতের আঁধারে মারধর করেছে।
সীতাকুন্ড মডেল থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমিনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।