ঝালকাঠিতে নদীর পানি বিপৎসীমার উপর অর্ধশত গ্রাম প্লাাবিত

মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২
জেলা বার্তা পরিশেক, ঝালকাঠি

ঝালকাঠির বিষখালী ও সুগন্ধাসহ সব কয়টি নদীর জোয়ারের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ সব নদীর জোয়ারের পানি ও প্রবল বৃষ্টির কারনে স্বাভাবিকের চেয়ে ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার ৪টি উপজেলার অর্ধশত গ্রাম পাবিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের চরম দূর্ভোগ ও আতংকের মধ্যে দিন কাটছে।

রবিবার (১৪ আগস্ট) সকাল থেকে মুশল ধরে বৃষ্টি ও বিষখালী, হলতা ও সুগন্ধা নদীর উচু জোয়ারের পানিতে ৫০টি গ্রাম তলিয়ে যায়। ফলে কৃষি-মৎস্যসহ গ্রামের কাঁচা ঘরবাড়ি ও রাস্তা-ঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেক প্রতিষ্ঠান ক্লাস সংক্ষিপ্ত করে শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়েছেন।

জোয়ারের পানিতে জেলার কাঠালিয়া উপজেলার আউড়া আশ্রায়ন প্রকল্পের ৪৪টি ঘর পানিতে ভাসছে। ২/৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে এ সব ঘর। অপর দিকে উপজেলা পরিষদ ভবন, ইউএনও’র অফিস ও বাসভবন ৩ ফুট পানির নিচে তলিয়েগেছে। অফিসের স্বাবাভিক কার্যক্রম চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ন নথিপত্রের সংরক্ষন নিয়ে চিন্তিত কর্মকর্তা কর্মচারীরা। অপর দিকে শৌলজালিয়া ইউনিয়নের কচুয়ার ডালির খালের বাধ ভেঙ্গেগেছে। ফলে ওই এলাকার ফসলের মাঠ, রাস্তা ও কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। আমুয়া বন্দরের মুল বাজার পানিতে তলিয়েগেছে ফলে বাজারের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছ্পোনিতে পাবিত হয়েছে কাঠালিয়া কাঠালিয়া উপজেলার ২১ টি গ্রাম। ঝালকাঠি সদর ৮টি, নলছিটি ৯টি ও রাজাপুরের ১১টি গ্রাম পাবিত হয়েছে। বিষখালী নদীর কাঠালিয়া অংশে ভেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এ সব অঞ্চল পানিতে তলিয়ে যায়। দীর্ঘ ৫০ বছরেও বেড়িবাধ নির্মিত না হওয়ায় কাঠালিয়া অংশে প্রায় ২৪ কিলোমিটার জায়গা অরক্ষিত রয়েছে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

» খুলনায় লেদ থেকে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার, আটক ৩

» যশোরে বাবার সামনে ছুরি মেরে রিকশাচালককে খুন

সম্প্রতি