alt

৭ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরপুর বাজার এলাকার বিল্লাল হোসেন ওরফে বিলু খুনের মামলার আব্দুল আজিজ (৫৫) নামের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে ২৭ বছর পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে নরসিংদী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মঙ্গলবার র‍্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) নোমান আহমদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ নরসিংদীর শিবপুর থানাধীন মৈশাদী গ্রামের আলফাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে।

র‍্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ গ্রেপ্তার আজিজ জানিয়েছেন বিলু ও তিনি (আজিজ) পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা। বিলু ও আজিজ সেসময় স্থানীয় খলাপাড়া এলাকায় ‘ন্যাশনাল জুট মিল’-এ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। আজিজের ভগ্নিপতি জনৈক কাদিরের লাউ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বরে সকালে বিলুকে তার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আজিজ ও তার সঙ্গীরা প্রকাশ্যে খুন করেন।

এ ঘটনায় ওইদিনেই নিহতের ভাই জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় স্থানীয় ফালান, কাদির, ছাদির, কালাম, বাজিত, আ. আজিজ, ওসমান, আ. ছামাদ, হুমায়ুন, রুস্তম আলীসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামি আব্দুল আজিজ অন্যদের সঙ্গে আত্মগোপনে থাকায় থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়। পরে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ ও উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল আদালত বিল্লাল হোসেন বিলুকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আব্দুল আজিজসহ সর্বমোট ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।

ওই ঘটনার পর থেকে আসামি আব্দুল আজিজ দীর্ঘ ২৭ বছর পলাতক ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৮ জন বর্তমানে জেল হাজতে আটক আছেন এবং একজন জেল-হাজতে মৃত্যুবরণ করেন। অপর তিনজন ফালান, আলম এবং মানিক এখনও পলাতক রয়েছেন।

আব্দুল আজিজ স্ত্রী সবমেহের ওরফে স্বপ্না ও চার সন্তানকে নিয়ে নরসিংদীর শিবপুর থানাধীন মৈশাদী গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন। ১৯৯৫ সালে ঘটনার পর থেকে আব্দুল আজিজ আর কোনোদিন কালীগঞ্জের নিজ স্থায়ী ঠিকানায় যাননি। এনআইডিতে নিজের ঠিকানা পরিবর্তন করে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে নরসিংদীর শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় পরিচয় গোপন করার জন্য পেশা পরিবর্তন করে কাঁচা তরকারির ব্যবসা করে আসছিলেন তিনি।

ছবি

শ্রীপুরে অগ্নিকাণ্ডে অটোরিকশা গ্যারেজসহ ১৫টি অটো পুড়ে ছাই

ছবি

লালপুরে ট্রাকচাপায় শিশুর করুণ মৃত্যু

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক: বিভাজনের গ্রিল ভেঙে মহাসড়ক পারাপার

ছবি

বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ৪ মাসে পাসপোর্টধারী যাতায়াত কমেছে ৪ লাখ ২ হাজার

ছবি

দামুড়হুদায় পুঁইশাকের মেঁচুড়ি চাষে চমক ফেলেছে আব্দুল হাকিম

ছবি

সাপাহার সীমান্তে মালিকবিহীন অবস্থায় ৮০ পিস ট্যাবলেট উদ্ধার

ছবি

চাটখিলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ১, আহত ৩

ছবি

দুই পা হারালেও হার মানেননি রহিম

ছবি

বোয়ালখালীতে বিলুপ্ত প্রায় কালোজিরা ধানের আবাদ

ছবি

রাজশাহীর আকাশপথ নিরাপদ রাখতে শাহমখদুম বিমানবন্দরে নিরাপত্তা মহড়া

ছবি

দুর্গাপুর যত্রতত্র সিএনজি-অটোরিক্সা স্ট্যান্ড ভোগান্তিতে পথচারীরা

ছবি

ডিমলায় বিজিবির পৃথক অভিযানে ভারতীয় গরু ও মাদক আটক

ছবি

লাল গালিচার রাজ্যে পর্যটকের ঢল

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় যুবককে গলা কেটে হত্যা

ছবি

চান্দিনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান গুঁড়িয়ে দেয়া ২০ হাজার ফুট পাইপ

ছবি

ডিমলায় বিদ্যালয়ের জমি জবর দখলের অভিযোগ

ছবি

বরুড়ায় ৫ বছরেও শেষ হয়নি ব্রিজ নির্মাণ, ২০ গ্রামবাসীর দুর্ভোগ

ছবি

সিংগাইরে শারফিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

জামালপুরে জমিতে প্রবেশে বাঁধা দেয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

ছবি

সিলেটে ইয়াবা বিক্রির টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে হত্যা

ছবি

উপজেলা প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময় সভা

ছবি

নওগাঁর লিটন ব্রিজের নিচ মিললো অজ্ঞাত মরদেহ

ছবি

বুধবার বরগুনা হানাদারমুক্ত দিবস

ছবি

শীতের আগমনে শাহজাদপুরে ব্যস্ততা বাড়ছে লেপ-তোষক কারিগরদের

ছবি

ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়ন অফিস ভাঙচুর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

ছবি

সুন্দরবনে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ২০ বনদস্যু বাহিনী

ছবি

সুন্দরবনের গল্পের সিনেমা ‘নাভা’য় শ্বেতা

ছবি

ডোমারে অভ্যন্তরীণ আমন ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন

ছবি

রায়গঞ্জে নিখোঁজের চার দিন পর মিলল শিশুর লাশ

ছবি

শিবপুরে মোটরসাইকেল ও সিএনজির সংঘর্ষে প্রাণ গেলো দুই বন্ধুর

ছবি

দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে অর্থ প্রদান

ছবি

বোয়ালখালীতে মাইক্রোবাস চালকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

জয়পুরহাটে ১৭ ঘণ্টার ব্যবধানে একই পরিবারে ৩ মৃত্যু

ছবি

সৈয়দপুরে ভবন নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

ছবি

দশমিনায় আমন ধানের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি

ছবি

নিখোঁজের দুই মাস পরে কিশোরের কঙ্কাল মিলল জঙ্গলে

tab

৭ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ঈশ্বরপুর বাজার এলাকার বিল্লাল হোসেন ওরফে বিলু খুনের মামলার আব্দুল আজিজ (৫৫) নামের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিকে ২৭ বছর পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে নরসিংদী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মঙ্গলবার র‍্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) নোমান আহমদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

গ্রেপ্তার আব্দুল আজিজ নরসিংদীর শিবপুর থানাধীন মৈশাদী গ্রামের আলফাজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে।

র‍্যাবের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ গ্রেপ্তার আজিজ জানিয়েছেন বিলু ও তিনি (আজিজ) পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দা। বিলু ও আজিজ সেসময় স্থানীয় খলাপাড়া এলাকায় ‘ন্যাশনাল জুট মিল’-এ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। আজিজের ভগ্নিপতি জনৈক কাদিরের লাউ চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বরে সকালে বিলুকে তার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে আজিজ ও তার সঙ্গীরা প্রকাশ্যে খুন করেন।

এ ঘটনায় ওইদিনেই নিহতের ভাই জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় স্থানীয় ফালান, কাদির, ছাদির, কালাম, বাজিত, আ. আজিজ, ওসমান, আ. ছামাদ, হুমায়ুন, রুস্তম আলীসহ মোট ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে আসামি আব্দুল আজিজ অন্যদের সঙ্গে আত্মগোপনে থাকায় থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হয়। পরে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ ও উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল আদালত বিল্লাল হোসেন বিলুকে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আব্দুল আজিজসহ সর্বমোট ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।

ওই ঘটনার পর থেকে আসামি আব্দুল আজিজ দীর্ঘ ২৭ বছর পলাতক ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৮ জন বর্তমানে জেল হাজতে আটক আছেন এবং একজন জেল-হাজতে মৃত্যুবরণ করেন। অপর তিনজন ফালান, আলম এবং মানিক এখনও পলাতক রয়েছেন।

আব্দুল আজিজ স্ত্রী সবমেহের ওরফে স্বপ্না ও চার সন্তানকে নিয়ে নরসিংদীর শিবপুর থানাধীন মৈশাদী গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করেন। ১৯৯৫ সালে ঘটনার পর থেকে আব্দুল আজিজ আর কোনোদিন কালীগঞ্জের নিজ স্থায়ী ঠিকানায় যাননি। এনআইডিতে নিজের ঠিকানা পরিবর্তন করে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে নরসিংদীর শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় পরিচয় গোপন করার জন্য পেশা পরিবর্তন করে কাঁচা তরকারির ব্যবসা করে আসছিলেন তিনি।

back to top