alt

রংপুরে চালকল মালিকদের খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করতে অনীহা

লিয়াকত আলী বাদল : বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২

শষ্যভাণ্ডার বলে পরিচিত রংপুরে খাদ্য বিভাগ কর্তৃক মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনার কার্যক্রম শুরু করলেও চালের মূল্য সরকারি ক্রয় মূল্যের চেয়ে বেশি হওয়ায় চালকল মালিকরা খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চাল সরবরাহ করার চুক্তি করছে না। আজ খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চালকল মালিকদের চুক্তি করার শেষ তারিখ হলেও গতকাল পর্যন্ত জেলার ৭২২ জন মিলারের মাধ্যমে মাত্র ১৫ জন মিলার চুক্তি করেছে। ফলে চলতি আমন মৌসুমে রংপুর জেলায় চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা করছে খোদ খাদ্য বিভাগ।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ রংপুর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে রংপুর জেলায় আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমি, সেখানে চাষ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বৃষ্টিপাত কম হলেও শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে জমিতে আমন ধান চাষ করায় রোগবালাই না থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাল উৎপাদন সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি উৎপদন হয়েছে। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত দুই থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল দেশের অন্যান্য জেলার চাহিদা মেটাতে সক্ষম বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন।

খাদ্য মন্ত্রণালয় চলতি আমন মৌসুমে সারাদেশের মতো রংপুর জেলার ৮ উপজেলায় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে ৯ হাজার ৪৩ মণ ধান এবং খাদ্য বিভাগের তালিকাভুক্ত ৭২২ জন চালকল মালিকদের কাছ থেকে ১৫ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আজ চালকল মালিকদের খাদ্য বিভাগের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পে-অর্ডার জমা দিয়ে চুক্তি সম্পাদন করার শেষ দিন।

এজন্য অনেক আগেই ৭২২ জন চালকল মালিক স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নামে চাল কেনার বরাদ্দপত্র প্রদান করেছিল রংপুর খাদ্য অধিদপ্তর। বার বার তাগাদা দেয়ার পরেও চালকল মালিকরা খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে অনীহা প্রকাশ করে আসছে। গতকাল পর্যন্ত মাত্র ১৫ জন চালকল মালিক খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেছে যা ২ শতাংশেরও কম বলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে রংপুর জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের ৮ উপজেলায় ৭২২ জন চালকল মালিক খাদ্য বিভাগের তালিকাভুক্ত। এরমধ্যে রংপুর মেট্রোপলিটন ১১৬ জন চালকল মালিকদের কাছ থেকে ২ হাজার ৬৩ মেট্রিক টন চাল, রংপুর সদর উপজেলায় ২ হাজার ৬৩ মেট্রিক টন, বদরগঞ্জ উপজেলায় ৯৮১ মেট্রিক টন, মিঠাপুকুর উপজেলায় ২ হাজার ৭৪০, পীরগঞ্জ উপজেলায় ৪ হাজার ২৮৩, তারাগঞ্জ উপজেলায় ২ হাজার ৯০১ মেট্রিক টন, গঙ্গাচড়া উপজেলায় ৮৯৪, কাউনিয়া উপজেলায় ৮৫৮, এবং পীরগাছা উপজেলায় ১ হাজার ১১০ মেট্রিক টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু চালের প্রতি কেজি বাজারমূল্য খাদ্য বিভাগের চেয়ে কেজিপ্রতি ৩/৪ টাকা বেশি হওয়ায় চালকল মালিকরা খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি করছে না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উত্তরাঞ্চলের অন্যতম চালের বৃহৎ মোকাম রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকায় সরেজমিন ঘুরে চালকল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রিপন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, খাদ্য বিভাগ ৪২ টাকা কেজি দরে চাল কিনবে কিন্তু বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি চাল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অর্থাৎ চাল সরবরাহ করলে প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা লস হবে। এ অবস্থায় লোকসান দিয়ে চাল সরবরাহ করা সম্ভব নয়। সে কারণে খাদ্য বিভাগের কাছে আমাদের আবেদন সরকার যদি চালের ক্রয়মূল্য কেজিপ্রতি দুই টাকা বৃদ্ধি করে তাহলে তারা চাল সরবরাহ করতে পারবে। এ কথা জানান চালকল মালিক সুলতান মিয়া, আলমগীর চৌধুরীসহ অনেকেই।

সার্বিক বিষয়ে রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রিয়াজুর রহমান রাজু জানান, এ পর্যন্ত ১৫ জন চালকল মালিক চুক্তি করেছেন। আজ চুক্তি সম্পাদনের শেষ দিন ফলে আশা করা যায় আজ অধিকাংশ চালকল মালিক চুক্তি সম্পাদন করবে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে দুই হাজার মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে খাদ্য বিভাগের নির্ধারিত সময় ২৮ ফ্রেরুয়ারির মধ্যে চাল কেনা সম্ভব হবে। ধান কেনার ব্যাপারে বলেন আপোষের মাধ্যমে জেলার ৮ উপজেলা থেকে ৯ হাজার ৪৩ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। এখনও কোন ধান কেনা সম্ভব হয়নি।

ছবি

চলাচলে অনুপযোগী সমেতপুর গ্রামের রাস্তা, ভোগান্তি চরমে

ছবি

গাজীপুরে খতিব মহিবুল্লাহ মিয়াজি অপহরণ: ভিন্ন তথ্য পেয়েছে পুলিশ

ছবি

সাটুরিয়ায় নিখোঁজের একদিন পর নদী থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার

ছবি

চট্টগ্রামে ট্রেন–ট্রাক সংঘর্ষে নিহত এক, উল্টে গেল কনটেইনার

ছবি

চট্টগ্রামে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদল কর্মী নিহত

ছবি

রংপুরের পীরগাছায় কাকলী হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

ছবি

বড়াইগ্রামের গোরস্তানে মাগুরার ইটভাটার ম্যানেজারের লাশ

ছবি

আগামী নির্বাচনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত: আইজিপি

ছবি

প্রতিষ্ঠানের স্বার্থকে ঊর্ধ্বে রাখার আহ্বান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের

ছবি

দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩ লাখ মানুষ স্ট্রোকে আক্রান্ত, বেশিরভাগেরই মৃত্যু সময়মতো চিকিৎসার অভাবে

ছবি

ভিত্তিপ্রস্তরের ২ যুগ: ফুলদী নদীতে সেতু হয়নি আজও

ছবি

চিত্রনায়ক সালমান শাহ হত্যা মামলা: আসামিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ছবি

দুবলারচরে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য অপসারণে বনবিভাগের অভিযান শুরু

ছবি

চমেক হাসপাতাল: দিনে গড়ে রেডিওথেরাপি নেন ১৫০ রোগী

ছবি

“তোমার কলিজাদের এতিম করে কোথায় গেলা”—স্বামীর কফিন ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন আইরিন

ছবি

ভিত্তিপ্রস্তরের ২ যুগ: ফুলদী নদীতে সেতু হয়নি আজও

ছবি

বেলকুচিতে শাশুড়িকে হত্যার দায়ে গৃহবধুর ফাঁসি, প্রেমিকের যাবজ্জীবন

ছবি

ডিমলায় পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে নানী-নাতনীর মৃত্যু

ছবি

দোয়ারাবাজারে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

ছবি

লালমাই উপজেলা প্রতিষ্ঠার ৮ বছরেও হয়নি ফায়ারসার্ভিস স্টেশন

ছবি

শেরপুর পৌরসভায় বাস-ট্রাক টার্মিনাল বাস্তবে নেই, তবুও ইজারা বিজ্ঞপ্তি

ছবি

জীববৈচিত্র রক্ষার দাবিতে বরেন্দ্র অঞ্চলের জেলেদের মানববন্ধন

ছবি

সাতক্ষীরায় সফটশেল কাঁকড়া চাষ বদলে দিয়েছে অর্থনীতি

ছবি

কেশবপুরে রহস্যে ঘেরা খাঞ্জেলি দীঘির মাটির ঢিবিতে ভক্তের মিলন মেলা

ছবি

টাকার অভাবে ছয় উপজাতি শিক্ষার্থীর লেখাপড়া অনিশ্চিত

ছবি

উলিপুরে বন্যার পলিতে আমন ধানে চিটা

ছবি

প্লাস্টিক-সিরামিকে দাপটে ধ্বংসের পথে মৃৎশিল্প

ছবি

. জীববৈচিত্র রক্ষার দাবিতে বরেন্দ্র অঞ্চলের জেলেদের মানববন্ধন

ছবি

জামালপুরে কভার্ড ভ্যান-অটোরিকশা সংঘর্ষে তিন জনের মৃত্যু

ছবি

রাণীনগরে কৃষি প্রণোদনার সার বীজ বিতরণ

ছবি

কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি, ড্রেজার জব্দ

ছবি

সংযোগ সড়ক না থাকায় অকেজো ছয় কোটি টাকার সেতু

ছবি

চকরিয়ায় আউশের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে খুশির ঝিলিক

পুলিশ কর্মকর্তার ভাইয়ের অত্যাচারে অতিষ্ঠ : আতঙ্কে ভিটেছাড়া অনেকে

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফার্মেসিগুলোর অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট, ওষুধ না পেয়ে বিপাকে রোগীরা

ছবি

বোয়ালখালীতে পানি পান করছে তৃষ্ণার্ত এক গোখরো সাপ

tab

রংপুরে চালকল মালিকদের খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করতে অনীহা

লিয়াকত আলী বাদল

বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২

শষ্যভাণ্ডার বলে পরিচিত রংপুরে খাদ্য বিভাগ কর্তৃক মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনার কার্যক্রম শুরু করলেও চালের মূল্য সরকারি ক্রয় মূল্যের চেয়ে বেশি হওয়ায় চালকল মালিকরা খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চাল সরবরাহ করার চুক্তি করছে না। আজ খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চালকল মালিকদের চুক্তি করার শেষ তারিখ হলেও গতকাল পর্যন্ত জেলার ৭২২ জন মিলারের মাধ্যমে মাত্র ১৫ জন মিলার চুক্তি করেছে। ফলে চলতি আমন মৌসুমে রংপুর জেলায় চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা মুখ থুবড়ে পড়ার আশঙ্কা করছে খোদ খাদ্য বিভাগ।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ রংপুর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে রংপুর জেলায় আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ১ লাখ ৬৫ হাজার হেক্টর জমি, সেখানে চাষ করা হয়েছে ১ লাখ ৬৬ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বৃষ্টিপাত কম হলেও শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে জমিতে আমন ধান চাষ করায় রোগবালাই না থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। চাল উৎপাদন সাড়ে ৪ লাখ মেট্রিক টনেরও বেশি উৎপদন হয়েছে। ফলে জেলার চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত দুই থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন চাল দেশের অন্যান্য জেলার চাহিদা মেটাতে সক্ষম বলে কৃষি বিশেষজ্ঞরা আশা প্রকাশ করেছেন।

খাদ্য মন্ত্রণালয় চলতি আমন মৌসুমে সারাদেশের মতো রংপুর জেলার ৮ উপজেলায় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে ৯ হাজার ৪৩ মণ ধান এবং খাদ্য বিভাগের তালিকাভুক্ত ৭২২ জন চালকল মালিকদের কাছ থেকে ১৫ হাজার ৮৩০ মেট্রিক টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। আজ চালকল মালিকদের খাদ্য বিভাগের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পে-অর্ডার জমা দিয়ে চুক্তি সম্পাদন করার শেষ দিন।

এজন্য অনেক আগেই ৭২২ জন চালকল মালিক স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের নামে চাল কেনার বরাদ্দপত্র প্রদান করেছিল রংপুর খাদ্য অধিদপ্তর। বার বার তাগাদা দেয়ার পরেও চালকল মালিকরা খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনে অনীহা প্রকাশ করে আসছে। গতকাল পর্যন্ত মাত্র ১৫ জন চালকল মালিক খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করেছে যা ২ শতাংশেরও কম বলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে রংপুর জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের ৮ উপজেলায় ৭২২ জন চালকল মালিক খাদ্য বিভাগের তালিকাভুক্ত। এরমধ্যে রংপুর মেট্রোপলিটন ১১৬ জন চালকল মালিকদের কাছ থেকে ২ হাজার ৬৩ মেট্রিক টন চাল, রংপুর সদর উপজেলায় ২ হাজার ৬৩ মেট্রিক টন, বদরগঞ্জ উপজেলায় ৯৮১ মেট্রিক টন, মিঠাপুকুর উপজেলায় ২ হাজার ৭৪০, পীরগঞ্জ উপজেলায় ৪ হাজার ২৮৩, তারাগঞ্জ উপজেলায় ২ হাজার ৯০১ মেট্রিক টন, গঙ্গাচড়া উপজেলায় ৮৯৪, কাউনিয়া উপজেলায় ৮৫৮, এবং পীরগাছা উপজেলায় ১ হাজার ১১০ মেট্রিক টন চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু চালের প্রতি কেজি বাজারমূল্য খাদ্য বিভাগের চেয়ে কেজিপ্রতি ৩/৪ টাকা বেশি হওয়ায় চালকল মালিকরা খাদ্য বিভাগের সঙ্গে চাল সরবরাহের চুক্তি করছে না বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উত্তরাঞ্চলের অন্যতম চালের বৃহৎ মোকাম রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ এলাকায় সরেজমিন ঘুরে চালকল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি রিপন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, খাদ্য বিভাগ ৪২ টাকা কেজি দরে চাল কিনবে কিন্তু বাজারে বর্তমানে প্রতি কেজি চাল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

অর্থাৎ চাল সরবরাহ করলে প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা লস হবে। এ অবস্থায় লোকসান দিয়ে চাল সরবরাহ করা সম্ভব নয়। সে কারণে খাদ্য বিভাগের কাছে আমাদের আবেদন সরকার যদি চালের ক্রয়মূল্য কেজিপ্রতি দুই টাকা বৃদ্ধি করে তাহলে তারা চাল সরবরাহ করতে পারবে। এ কথা জানান চালকল মালিক সুলতান মিয়া, আলমগীর চৌধুরীসহ অনেকেই।

সার্বিক বিষয়ে রংপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রিয়াজুর রহমান রাজু জানান, এ পর্যন্ত ১৫ জন চালকল মালিক চুক্তি করেছেন। আজ চুক্তি সম্পাদনের শেষ দিন ফলে আশা করা যায় আজ অধিকাংশ চালকল মালিক চুক্তি সম্পাদন করবে। তিনি জানান, ইতোমধ্যে দুই হাজার মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে খাদ্য বিভাগের নির্ধারিত সময় ২৮ ফ্রেরুয়ারির মধ্যে চাল কেনা সম্ভব হবে। ধান কেনার ব্যাপারে বলেন আপোষের মাধ্যমে জেলার ৮ উপজেলা থেকে ৯ হাজার ৪৩ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। এখনও কোন ধান কেনা সম্ভব হয়নি।

back to top