alt

আশ্রয়ণের ১৪ ঘরের ৭টিই বিক্রি প্রশ্নের মুখে তালিকা প্রণয়ন

প্রতিনিধি, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : গাড়াদহ দক্ষিণপাড়ার আশ্রায়ণ প্রকল্প -সংবাদ

শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ দক্ষিণপাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৪টি ঘরের মধ্যে ৭টি ঘর বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই প্রকল্পের ১৪টি ঘর ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হলেও সুবিধাভোগীদের ৭টি পরিবার তাদের ঘরগুলো স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেছে। এসব ঘরে এখন বসবাস করছে ক্রেতাদের পরিবার। এর ফলে একদিকে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভূমিহীনদের তালিকা প্রণয়ন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে, অন্যদিকে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কমিটিকে অবহিত করা হলেও অদ্যাবধি তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। সরেজমিন গাড়াদহ দক্ষিণপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে জানা গেছে, প্রথম পর্বে সরকারি খাস জায়গায় ১৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। ঘরগুলো যথাসময়ে সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তরও করা হয়। কিন্তু ইতোমধ্যেই ৭টি ঘরের সুবিধাভোগীরা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে তাদের ঘর বিক্রি করে দিয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৪নং ঘরটি সুবিধাভোগী আব্দুল ছালাম ও তার স্ত্রী সেলিনার নামে বরাদ্দ দেয়া হলেও তারা সে ঘরটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন মোছা. সিরিনা বেগম ও তার পরিবারের কাছে। বর্তমানে ক্রয়সূত্রে তারা এই ঘরে বসবাস করছেন। ১০নং ঘরের বেল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী সারা খাতুন দম্পতি। এই দম্পতির কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকায় ঘরটি কিনে বসবাস করছেন আনু ও সাবিনা বেগম দম্পতি। ৮নং ঘর রশিদ দম্পতি পেলেও ওই ঘরে বসবাস করছেন শাহিনূর বেগম ও তার পরিবার। ৯নং ঘর ঠান্ডু দম্পতি পেলেও সেই ঘরটি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় কিনে বসবাস করছেন পিঞ্জিরা খাতুন ও তার পরিবার। ১৩নং ঘর রফিকুল ও মোছা. ফুলমালা দম্পতি পেলেও ১ লাখ টাকায় কিনে বসবাস করছেন নাজমুল ও তার পরিবার। ১৬নং ঘর বিধবা রেশমা খাতুন পেলেও সেই ঘর ১ লাখ টাকায় কিনে বসবাস করছে হাফিজুল ও নাছিমা দম্পতি। ১৭নং ঘর জহুরুল ইসলাম ও আফরোজা বেগম দম্পতি পেলেও সে ঘর ১ লাখ ১১ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে হালিমা বেগম ও তার পরিবার বসবাস করছে।

প্রকল্পের ওই ৭টি ঘর স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ক্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করে ৮নং ঘরে বসবাসরত শাহিনূর বেগম জানান, তিনি রশিদের কাছ থেকে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ঘরটি ক্রয় করেছেন। তিনি আরও জানান, রশিদের বাড়িঘর আছে, কিন্তু আমাদের ঘর-বাড়ি কিছুই নাই। তাই এই প্রকল্পের ঘর কিনে বসবাস করছি। অন্যদিকে ১০নং ঘরে বসবাসরত সাবিনা বেগম জানান, তিনি বেল্লালের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে এই ঘর কিনেছেন। ৯নং ঘরে বসবাসরত পিঞ্জিরা খাতুন বলেন, ঠান্ডুর কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে এই ঘর কিনেছেন তিনি।

এদিকে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যান্য ঘরের ক্রেতারা ঘরে তালা দিয়ে সটকে পড়েন। ঘর বিক্রির বিষয়ে সুবিধাভোগীগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, গাড়াদহ ডিজিটাল ভিশন বিদ্যানিকেতনের মালিক জুয়েল আহম্মেদের মাধ্যমে কয়েকটি ঘর কেনা-বেচা হয়েছে। এ ব্যাপারে জুয়েল আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘর বিক্রির কোন টাকা তিনি নেননি। তবে একটি ঘর কেনা-বেচার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন বলে স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, ওই প্রকল্পের বরাদ্দ, নির্মাণ ও কোন প্রকার সুপারিশের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন না। ওই প্রকল্পের ঘরগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে নির্মাণ ও বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাদের নামে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, কেবলমাত্র তারাই ওইসব ঘরে বসবাস করতে পারবেন। এই প্রকল্পের ঘর বিক্রি বা হস্তান্তর আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই বিষয়টি অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির প্রতিবেদন পেলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

চট্টগ্রামে গণ-অনশনে বক্তারা, বিদেশিদের বন্দর দেয়ার সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হবে

ছবি

নরসিংদীতে ১১ আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৮ জন গ্রেপ্তার

ছবি

মানিকগঞ্জে বাঁধ, দখল-দূষণে অস্তিত্ব হারাচ্ছে ইছামতী নদী

গাইবান্ধায় ‘চোর’ সন্দেহে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা

ঝিনাইদহে জামায়াতের কার্যালয়ে মিললো সরকারি অনুদানের সার ও বীজ

ছবি

পর্যটক-শূন্য প্রথম দিন: সেন্ট মার্টিন ঘাটে নীরবতা, কোনো জাহাজ ছাড়েনি

ছবি

কেশবপুরে দৃষ্টিনন্দন ড্রাগন বাগান দেখতে শতশত মানুষের ভিড়

ছবি

চকরিয়ায় শীতকালীন সবজি চাষ শুরু ভালো ফলনের আশা কৃষকদের

ছবি

লালমাইয়ে স্কুলের পাশে ময়লার ভাগাড়

ছবি

ঘিওরে মেধার স্বীকৃতি মিললেও মিলছেনা প্রাথমিক বৃত্তির টাকা

ছবি

মীরসরাইয়ে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ এবার হেমন্তকালে সাফল্য

ছবি

কোম্পানীগঞ্জে ট্রাক্টরের ধাক্কায় পর্যটকবাহী অটোরিকশার এক যাত্রীর মৃত্যু, আহত ৫

ছবি

আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিয়েছেন যাত্রীরা

ছবি

শরণখোলায় গাছের নিচে চাপা পড়ে দিনমজুরের মৃত্যু

ছবি

দোয়ারাবাজার সীমান্তে মাদকের থাবা, নতুন আতঙ্ক ‘ড্যান্ডি’

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় সালমান শাহর হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

দুমকিতে জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

ছবি

কলমাকান্দায় মোটরযান শ্রমিক ইউনিয়ন নির্বাচন সম্পন্ন

ছবি

বরুড়ায় সমস্যায় জর্জরিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ছবি

ভালুকায় শিল্প বর্জে অনাবাদী ৩৩৬ একর কৃষিজমি

ছবি

মোহনগঞ্জে শুঁটকির হাট জমজমাট

ছবি

কুমিল্লার গোমতি নদীর বালুচরে লাউ শাক চাষে ঝুকছে কৃষক

ছবি

সুপারি চুরির অপবাদে মারধর, অপমানে কিশোরের আত্মহত্যা!

ছবি

বেনাপোলে ৮ লাখ টাকার ভারতীয় হোমিও ওষুধ জব্দ

ছবি

নেত্রকোনায় ষাড়ের লড়াইয়ে অংশ নেয়ার অভিযোগে গরু নিলামে

ছবি

‘নরসিংদী শিল্পকলা একাডেমিকে আধুনিকায়ন করা হবে’

ছবি

নন্দীগ্রামে টানা বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা

ছবি

পানিতে ডুবে বুদ্ধী প্রতিবন্ধীর মৃত্যু

ছবি

মোরেলগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ইউনিয়ন ও পৌর শাখার কমিটি

ছবি

সিরাজগঞ্জে কষ্টি পাথরের শিবলিঙ্গসহ গ্রেপ্তার ৩

ছবি

ভাঙ্গুড়ায় হাত বাড়ালেই মিলছে মাদক বাড়ছে অপরাধ, প্রশাসন নিষ্ক্রিয়

ছবি

পীরগাছায় মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত

ছবি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে জলাবদ্ধতায় ৫০০ একর জমি অনাবাদি

ছবি

তেতুলিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

ঘোড়াঘাটে খাস জমি দখলের মহোৎসব

ছবি

কাপাসিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রায় অর্ধেক ঘরই খালি

tab

আশ্রয়ণের ১৪ ঘরের ৭টিই বিক্রি প্রশ্নের মুখে তালিকা প্রণয়ন

প্রতিনিধি, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ)

শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) : গাড়াদহ দক্ষিণপাড়ার আশ্রায়ণ প্রকল্প -সংবাদ

বৃহস্পতিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২২

শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ দক্ষিণপাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ১৪টি ঘরের মধ্যে ৭টি ঘর বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই প্রকল্পের ১৪টি ঘর ভূমিহীনদের মাঝে হস্তান্তর করা হলেও সুবিধাভোগীদের ৭টি পরিবার তাদের ঘরগুলো স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেছে। এসব ঘরে এখন বসবাস করছে ক্রেতাদের পরিবার। এর ফলে একদিকে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ভূমিহীনদের তালিকা প্রণয়ন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে, অন্যদিকে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কমিটিকে অবহিত করা হলেও অদ্যাবধি তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। সরেজমিন গাড়াদহ দক্ষিণপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প ঘুরে জানা গেছে, প্রথম পর্বে সরকারি খাস জায়গায় ১৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। ঘরগুলো যথাসময়ে সুবিধাভোগীদের কাছে হস্তান্তরও করা হয়। কিন্তু ইতোমধ্যেই ৭টি ঘরের সুবিধাভোগীরা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে তাদের ঘর বিক্রি করে দিয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসরত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৪নং ঘরটি সুবিধাভোগী আব্দুল ছালাম ও তার স্ত্রী সেলিনার নামে বরাদ্দ দেয়া হলেও তারা সে ঘরটি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ১ লাখ টাকায় বিক্রি করে দেন মোছা. সিরিনা বেগম ও তার পরিবারের কাছে। বর্তমানে ক্রয়সূত্রে তারা এই ঘরে বসবাস করছেন। ১০নং ঘরের বেল্লাল হোসেন ও তার স্ত্রী সারা খাতুন দম্পতি। এই দম্পতির কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকায় ঘরটি কিনে বসবাস করছেন আনু ও সাবিনা বেগম দম্পতি। ৮নং ঘর রশিদ দম্পতি পেলেও ওই ঘরে বসবাস করছেন শাহিনূর বেগম ও তার পরিবার। ৯নং ঘর ঠান্ডু দম্পতি পেলেও সেই ঘরটি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকায় কিনে বসবাস করছেন পিঞ্জিরা খাতুন ও তার পরিবার। ১৩নং ঘর রফিকুল ও মোছা. ফুলমালা দম্পতি পেলেও ১ লাখ টাকায় কিনে বসবাস করছেন নাজমুল ও তার পরিবার। ১৬নং ঘর বিধবা রেশমা খাতুন পেলেও সেই ঘর ১ লাখ টাকায় কিনে বসবাস করছে হাফিজুল ও নাছিমা দম্পতি। ১৭নং ঘর জহুরুল ইসলাম ও আফরোজা বেগম দম্পতি পেলেও সে ঘর ১ লাখ ১১ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে হালিমা বেগম ও তার পরিবার বসবাস করছে।

প্রকল্পের ওই ৭টি ঘর স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ক্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করে ৮নং ঘরে বসবাসরত শাহিনূর বেগম জানান, তিনি রশিদের কাছ থেকে ১ লাখ টাকার বিনিময়ে ঘরটি ক্রয় করেছেন। তিনি আরও জানান, রশিদের বাড়িঘর আছে, কিন্তু আমাদের ঘর-বাড়ি কিছুই নাই। তাই এই প্রকল্পের ঘর কিনে বসবাস করছি। অন্যদিকে ১০নং ঘরে বসবাসরত সাবিনা বেগম জানান, তিনি বেল্লালের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা দিয়ে এই ঘর কিনেছেন। ৯নং ঘরে বসবাসরত পিঞ্জিরা খাতুন বলেন, ঠান্ডুর কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে এই ঘর কিনেছেন তিনি।

এদিকে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে অন্যান্য ঘরের ক্রেতারা ঘরে তালা দিয়ে সটকে পড়েন। ঘর বিক্রির বিষয়ে সুবিধাভোগীগের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, গাড়াদহ ডিজিটাল ভিশন বিদ্যানিকেতনের মালিক জুয়েল আহম্মেদের মাধ্যমে কয়েকটি ঘর কেনা-বেচা হয়েছে। এ ব্যাপারে জুয়েল আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ঘর বিক্রির কোন টাকা তিনি নেননি। তবে একটি ঘর কেনা-বেচার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন বলে স্বীকার করেন।

এ বিষয়ে গাড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, ওই প্রকল্পের বরাদ্দ, নির্মাণ ও কোন প্রকার সুপারিশের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন না। ওই প্রকল্পের ঘরগুলো উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে নির্মাণ ও বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) লিয়াকত সালমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পে যাদের নামে ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, কেবলমাত্র তারাই ওইসব ঘরে বসবাস করতে পারবেন। এই প্রকল্পের ঘর বিক্রি বা হস্তান্তর আইনত দন্ডনীয় অপরাধ। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই বিষয়টি অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির প্রতিবেদন পেলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।

back to top