alt

পালাব না, ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠব: রাজশাহীতে কাদের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা এই দেশেতে জন্মি, এই দেশেতে মরব। পালাব না। কোথায় পালাব। আমরা পালাব না, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠব। কী জায়গা দেবেন? না হলে ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ি আছে না, ওই বাড়িতে গিয়ে উঠব।’

আজ রোববার দুপুরে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

‘সরকার পালাবার পথ খুঁজে পাবে না’, মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারকে পালাতে বলে। পালাবার পথ নাকি খুঁজে পাবে না। ফখরুল সাহেব, পালিয়ে তো আছেন আপনারা? তারেক রহমান আর রাজনীতি করবে না মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছে লন্ডনে। সাত বছরের দণ্ডিত পলাতক আসামি আপনাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পালিয়ে যায়। আমরা পালাতে জানি না।’

বিএনপির এখন মরণযাত্রা চলছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের কি মনে আছে কিছুদিন আগে বিএনপি এখানে একটা সমাবেশ করেছে। সেই সমাবেশ আর আজকের সমাবেশ—রাজশাহীবাসী ও আজকের সারা বাংলাদেশ দেখছে। বিএনপি লাল কার্ড দেখায়, ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন বলে, ৩০ ডিসেম্বর সরকার চলে যায়, ১১ জানুয়ারি সরকার আর নেই। কি, সরকার আছে? শেখ হাসিনা আছে? বিএনপির এখন কী? পদযাত্রা! পদযাত্রা মানেই শেষ যাত্রা। পদযাত্রা মানেই অন্তিমযাত্রা। পদযাত্রা মানেই পেছনযাত্রা। পদযাত্রা মানেই মরণযাত্রা। মরণযাত্রা শুনেছেন না? ওই মরণযাত্রা হচ্ছে এখন বিএনপির।’

বিএনপির অন্তরে জ্বালা মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আর জ্বালা। অন্তর জ্বালা। জ্বালায় জ্বালায় মরে। পদ্মা সেতুর জ্বালা, যেতে না যেতেই আরেক জ্বালা। কী জ্বালা—মেট্রোরেল। মেট্রোরেলের পর আরেক জ্বালা আসছে বঙ্গবন্ধু টানেল। নদীর তলদেশে টানেল। জ্বালারে জ্বালা অন্তর জ্বালা। যেদিকে তাকাই উন্নয়ন, উন্নয়ন। রাজশাহী গ্রিন সিটিতে রূপান্তরিত হয়েছে শেখ হাসিনার উন্নয়নে। আজ রাজশাহী ভাগ্যবান। এই রাজশাহী এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন সিটি। মেয়রকে অবশ্যই ধন্যবাদ। তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজশাহীকে নবরূপে সজ্জিত করেছেন।’

আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তো কী খবর? রেডি? খেলা হবে। পালানো শুরু করেছে। আগেই তো মরণযাত্রা শুরু করেছে। খেলা তাহলে হবে। খেলা হবে আন্দোলনে, নির্বাচনে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে, হত্যা-ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। প্রস্তুত, আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলা।’

নির্বাচনের জন্য নেতা–কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খবর আছে। তৈয়ার হয়ে যান। রেডি হয়ে যান। বিএনপির এখনো শিক্ষা হয়নি। শিক্ষাটা পাবে। যখন আগামী নির্বাচনে আবারও পরাজয়ের মুখ দর্শন করতে হবে। আর আপনারা সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আজকে ঐক্যবদ্ধ হোন।’

আজ রোববার বেলা সোয়া তিনটায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জনসভা মঞ্চে উঠলে নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী হাত উঁচিয়ে নেতা-কর্মীদের অভিবাদন জানান। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার পর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেন। এরপর জনসভার সভাপতি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বক্তব্য দেন। এরপর বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ছবি

মোরেলগঞ্জে থোকায় থোকায় ঝুলছে মাল্টা, সফল উদ্যোক্তা বাশার

ছবি

আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২৮ জন

ছবি

বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে সিলেট, শঙ্কা প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির

ছবি

নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট বাসা থেকে একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার

মাধবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী

নাইক্ষ্যংছড়িতে রাবার বাগানের গাছ থেকে শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বাড়ছে নদীর পানি, সিলেটে বন্যার আভাস

সোনারগাঁয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের শরীর টিপে না দেয়ায় ছাত্রকে আটক রেখে নির্যাতন

ফ্যানে ঝুলছিলেন যুবক, খাটে স্ত্রী-সন্তানের মরদেহ, আর্থিক দুরাবস্থায় ছিল পরিবারটি

ছবি

বিরামপুরে কুকুরে কামড়ানো সগাভীর মাংস বিক্রির চেষ্টা

ছবি

রায়পুরায় ভিডব্লিউবি উপকার ভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ

ছবি

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নতুন ঘর পেলেন মোজাম্মেল-জহুরা দম্পতি

ছবি

আদমদীঘিতে তিন মাদক ব্যবসায়ি আটক

ছবি

রাঙাছড়া সেতু যেন মরণ ফাঁদ

ছবি

বাঁশবোঝাই ট্রাকে বাসের ধাক্কা, পুলিশ কর্মকর্তাসহ নিহত ৩

ছবি

উদ্বোধনের দিনই বিকল বেরোবি ভাড়া বাস

ছবি

কেন্দুয়া থেকে তিন নারীকে চীনে পাচারের চেষ্টা, আটক ২

ছবি

সারিয়াকান্দিতে বিনা মূল্যে গরু বিতরণ

ছবি

পূর্বধলায় টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির সমন্বয় সভা

ছবি

কেশবপুর-কলাগাছি সড়ক বেহাল, ঘটছে দুর্ঘটনা

ছবি

মধুপুরে লাল মাটিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের পেঁপে চাষে লাভবান কৃষক

ছবি

গোবিপ্রবি ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদককে দুই সেমিস্টার বহিষ্কার

ছবি

বর্ষা মৌসুমেও দেশীয় মাছের আকাল

ছবি

পদ্মার ভাঙনে চর ছাড়ছেন বাসিন্দারা মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার শঙ্কা

ছবি

নদী খননের মাটি মজুদ রাখা নিয়ে উত্তেজনা

ছবি

রংপুরে প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টার উপস্থিতিতে প্রেজেনটেশনে শেখ মুজিব ও হাসিনার ছবি

ছবি

আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতা রবিন গ্রেপ্তার

ছবি

রায়পুরায় ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা

ছবি

সামাজিক বনায়নের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

ছবি

গৌরনদীর হাট-বাজার সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি

ছবি

বাগেরহাটে অটো চালকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

নুরাল পাগলের মরদেহের ওপর তেল ছিটানো ব্যক্তি গ্রেপ্তার

ছবি

ভোলাহাটে ক্যানসার সচেতনতা সভা

ছবি

মাধবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী

ছবি

সিরাজগঞ্জে বাবাকে হত্যার অভিযোগে ছেলের মৃত্যুদন্ড

ছবি

তারাগঞ্জে নিজের শিশুকে গলা কেটে হত্যা করল মা!

tab

news » bangladesh

পালাব না, ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠব: রাজশাহীতে কাদের

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমরা এই দেশেতে জন্মি, এই দেশেতে মরব। পালাব না। কোথায় পালাব। আমরা পালাব না, প্রয়োজনে ফখরুল সাহেবের বাসায় গিয়ে উঠব। কী জায়গা দেবেন? না হলে ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ি আছে না, ওই বাড়িতে গিয়ে উঠব।’

আজ রোববার দুপুরে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। এই জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

‘সরকার পালাবার পথ খুঁজে পাবে না’, মির্জা ফখরুল ইসলামের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকারকে পালাতে বলে। পালাবার পথ নাকি খুঁজে পাবে না। ফখরুল সাহেব, পালিয়ে তো আছেন আপনারা? তারেক রহমান আর রাজনীতি করবে না মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছে লন্ডনে। সাত বছরের দণ্ডিত পলাতক আসামি আপনাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পালিয়ে যায়। আমরা পালাতে জানি না।’

বিএনপির এখন মরণযাত্রা চলছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আপনাদের কি মনে আছে কিছুদিন আগে বিএনপি এখানে একটা সমাবেশ করেছে। সেই সমাবেশ আর আজকের সমাবেশ—রাজশাহীবাসী ও আজকের সারা বাংলাদেশ দেখছে। বিএনপি লাল কার্ড দেখায়, ১০ ডিসেম্বর সরকারের পতন বলে, ৩০ ডিসেম্বর সরকার চলে যায়, ১১ জানুয়ারি সরকার আর নেই। কি, সরকার আছে? শেখ হাসিনা আছে? বিএনপির এখন কী? পদযাত্রা! পদযাত্রা মানেই শেষ যাত্রা। পদযাত্রা মানেই অন্তিমযাত্রা। পদযাত্রা মানেই পেছনযাত্রা। পদযাত্রা মানেই মরণযাত্রা। মরণযাত্রা শুনেছেন না? ওই মরণযাত্রা হচ্ছে এখন বিএনপির।’

বিএনপির অন্তরে জ্বালা মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আর জ্বালা। অন্তর জ্বালা। জ্বালায় জ্বালায় মরে। পদ্মা সেতুর জ্বালা, যেতে না যেতেই আরেক জ্বালা। কী জ্বালা—মেট্রোরেল। মেট্রোরেলের পর আরেক জ্বালা আসছে বঙ্গবন্ধু টানেল। নদীর তলদেশে টানেল। জ্বালারে জ্বালা অন্তর জ্বালা। যেদিকে তাকাই উন্নয়ন, উন্নয়ন। রাজশাহী গ্রিন সিটিতে রূপান্তরিত হয়েছে শেখ হাসিনার উন্নয়নে। আজ রাজশাহী ভাগ্যবান। এই রাজশাহী এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন সিটি। মেয়রকে অবশ্যই ধন্যবাদ। তিনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাজশাহীকে নবরূপে সজ্জিত করেছেন।’

আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তো কী খবর? রেডি? খেলা হবে। পালানো শুরু করেছে। আগেই তো মরণযাত্রা শুরু করেছে। খেলা তাহলে হবে। খেলা হবে আন্দোলনে, নির্বাচনে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে, হত্যা-ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। প্রস্তুত, আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলা।’

নির্বাচনের জন্য নেতা–কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খবর আছে। তৈয়ার হয়ে যান। রেডি হয়ে যান। বিএনপির এখনো শিক্ষা হয়নি। শিক্ষাটা পাবে। যখন আগামী নির্বাচনে আবারও পরাজয়ের মুখ দর্শন করতে হবে। আর আপনারা সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আজকে ঐক্যবদ্ধ হোন।’

আজ রোববার বেলা সোয়া তিনটায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জনসভা মঞ্চে উঠলে নেতা-কর্মীরা স্লোগান দিয়ে তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী হাত উঁচিয়ে নেতা-কর্মীদের অভিবাদন জানান। প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে ওঠার পর দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেন। এরপর জনসভার সভাপতি রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল বক্তব্য দেন। এরপর বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

back to top