সাভারের আশুলিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে দুইজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় ১০ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গুলিবর্ষণকারী এম এ মতিন ও তার ছেলেকে গণধোলাই দিয়েছে। তাদেরকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার কুদ্দুস ও তার প্রতিবেশী হুমায়ূন। হুমায়ূনের বাম হাতে গুলি লেগেছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা।
গুলিবর্ষণকারী এমএ মতিন আশুলিয়ার গাজিরচটের ঊষাপোল্ট্রি মোড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এর আগেও ঊষাপোল্ট্রি এলাকার সাবেক সেনাকর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তিনি জমি দখলের একাধিক মামলার আসামি।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় ১০ বিঘা জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। আজ এমএ মতিন, তার স্ত্রী ও ছেলে বিদেশি অস্ত্র নিয়ে জমিতে প্রবেশ করেন। এ সময় হুমায়ূন, কুদ্দুসসহ বেশ কয়েকজন বাধা দিলে মতিন তার ও তার ছেলে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এ সময় কুদ্দুস ও হুমায়ুন দুইজনই গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা এমএ মতিনকে গণধোলাই দিয়ে গুলিবিদ্ধ হুমায়ুন ও কুদ্দুসকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসেন আলী বলেন, আমি ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। ঘটনা সত্য। আমি যতদূর জানি মতিনের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী মতিন ও তার ছেলেকে গণধোলাই দিলে পুলিশ তাদের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, দুপুরে হুমায়ুন নামের এক ব্যক্তি বাম হাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এসেছিলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আল-মামুন কবির বলেন, এ ঘটনায় দুই পক্ষই আহত হয়েছে। আমরা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দিচ্ছি। এখনই কাউকে আটক বলা যাবে না। আমরা আগে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করছি। বিস্তারিত পরে জানাবো।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
সাভারের আশুলিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের গুলিতে দুইজন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকায় ১০ বিঘা জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় গুলিবর্ষণকারী এম এ মতিন ও তার ছেলেকে গণধোলাই দিয়েছে। তাদেরকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- আশুলিয়ার চারাবাগ এলাকার কুদ্দুস ও তার প্রতিবেশী হুমায়ূন। হুমায়ূনের বাম হাতে গুলি লেগেছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা।
গুলিবর্ষণকারী এমএ মতিন আশুলিয়ার গাজিরচটের ঊষাপোল্ট্রি মোড় এলাকার বাসিন্দা। তিনি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে এর আগেও ঊষাপোল্ট্রি এলাকার সাবেক সেনাকর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ব্যক্তির জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তিনি জমি দখলের একাধিক মামলার আসামি।
স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকায় ১০ বিঘা জমি নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধ চলে আসছিল। আজ এমএ মতিন, তার স্ত্রী ও ছেলে বিদেশি অস্ত্র নিয়ে জমিতে প্রবেশ করেন। এ সময় হুমায়ূন, কুদ্দুসসহ বেশ কয়েকজন বাধা দিলে মতিন তার ও তার ছেলে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এ সময় কুদ্দুস ও হুমায়ুন দুইজনই গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা এমএ মতিনকে গণধোলাই দিয়ে গুলিবিদ্ধ হুমায়ুন ও কুদ্দুসকে হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসেন আলী বলেন, আমি ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে এসেছি। ঘটনা সত্য। আমি যতদূর জানি মতিনের বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী মতিন ও তার ছেলেকে গণধোলাই দিলে পুলিশ তাদের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা বলেন, দুপুরে হুমায়ুন নামের এক ব্যক্তি বাম হাতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এসেছিলেন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আল-মামুন কবির বলেন, এ ঘটনায় দুই পক্ষই আহত হয়েছে। আমরা তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দিচ্ছি। এখনই কাউকে আটক বলা যাবে না। আমরা আগে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করার চেষ্টা করছি। বিস্তারিত পরে জানাবো।