কুমিল্লায় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে দুই শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীকে মৃত্যুদন্ড, আরেক নারীকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খানম এ রায় দেন।
মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের বাবুল হোসেনের স্ত্রী ২৮ বছর বয়সী ইয়াসমিন আক্তারকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়। একই গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়। দ-প্রাপ্তরা সর্ম্পকে চাচি শাশুড়ি এবং ভাতিজা বউ।
কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় দ-প্রাপ্ত দুই নারী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক ১৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় দেন। দ-প্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায় শুনে এজলাসেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন দ-প্রাপ্তরা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল লাজৈর গ্রামের প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে আসক্ত ছিলেন। এ ঘটনা দেখে ফেলায় প্রথমে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে মো. বিল্লাল হোসেনের ৬ বছর বয়সী ছেলে আরাফাতকে খুন করেন। ঠিক ওই সময় খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় কিছুক্ষণ পর শাহ আলমের সাত বছর বয়সী ছেলে জসিমকেও ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে লাশ খালে ডুবিয়ে দেয়।
পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়াসমিনকে আটক করে পুলিশে দেয়। ওই হত্যাকা-ের প্রধান আসামি ইয়াসমিনকে সহযোগিতা করে মামলার দ্বিতীয় আসামি মাজেদা বেগম। ঘটনার পর মাজেদা বেগম আত্মগোপন করে। গত বছর র্যাব-১১ মাজেদা বেগমকে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দুর্গম একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
ওই বছরের ২১ এপ্রিল নিহত আরাফাতের বাবা বিল্লাল হোসেন মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিন ও মাজেদাকে এক ও দুই নম্বর আসামি করে এবং অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে হত্যামামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক ইয়াসমিনকে মৃত্যুদ- এবং মাজেদাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী তাইফুর রহমান এবং শাহানা সুলতানা সোমা বলেন, ‘আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’
মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩
কুমিল্লায় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে দুই শিশুকে হত্যার দায়ে এক নারীকে মৃত্যুদন্ড, আরেক নারীকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খানম এ রায় দেন।
মুরাদনগর উপজেলার লাজৈর গ্রামের বাবুল হোসেনের স্ত্রী ২৮ বছর বয়সী ইয়াসমিন আক্তারকে মৃত্যুদ- দেয়া হয়। একই গ্রামের সেলিম মিয়ার স্ত্রী মাজেদা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়। দ-প্রাপ্তরা সর্ম্পকে চাচি শাশুড়ি এবং ভাতিজা বউ।
কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মুজিবুর রহমান জানান, রায় ঘোষণার সময় দ-প্রাপ্ত দুই নারী এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক ১৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে এ রায় দেন। দ-প্রাপ্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রায় শুনে এজলাসেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন দ-প্রাপ্তরা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি নুরুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৪ সালের ২১ এপ্রিল লাজৈর গ্রামের প্রবাসী বাবুল হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে আসক্ত ছিলেন। এ ঘটনা দেখে ফেলায় প্রথমে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে মো. বিল্লাল হোসেনের ৬ বছর বয়সী ছেলে আরাফাতকে খুন করেন। ঠিক ওই সময় খুনের ঘটনা দেখে ফেলায় কিছুক্ষণ পর শাহ আলমের সাত বছর বয়সী ছেলে জসিমকেও ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে লাশ খালে ডুবিয়ে দেয়।
পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে ইয়াসমিনকে আটক করে পুলিশে দেয়। ওই হত্যাকা-ের প্রধান আসামি ইয়াসমিনকে সহযোগিতা করে মামলার দ্বিতীয় আসামি মাজেদা বেগম। ঘটনার পর মাজেদা বেগম আত্মগোপন করে। গত বছর র্যাব-১১ মাজেদা বেগমকে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি উপজেলার দুর্গম একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
ওই বছরের ২১ এপ্রিল নিহত আরাফাতের বাবা বিল্লাল হোসেন মুরাদনগর থানায় ইয়াসমিন ও মাজেদাকে এক ও দুই নম্বর আসামি করে এবং অজ্ঞাতনামা ২-৩ জনকে আসামি করে হত্যামামলা করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক ইয়াসমিনকে মৃত্যুদ- এবং মাজেদাকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী তাইফুর রহমান এবং শাহানা সুলতানা সোমা বলেন, ‘আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।’